আপনি কি নতুন ইউটিউব চ্যানেল (YouTube Channel) খোলার কথা ভাবছেন অথবা নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের (Instagram Account) রিচ বাড়াতে চাইছেন। তবে তৈরি করা ভিডিওগুলিকে ভালো করে এডিট করে আপলোড করা খুব জরুরী। হাই কোয়ালিটি ভিডিও (High Quality Video) তৈরিতে যে সমস্ত সফটওয়্যারগুলি দরকার পরে সেইগুলি কম্পিউটারের অনেকটা জায়গাকেই নিয়ে নেয়।
আবার অনেকসময় কম্পিউটার না থাকলে মোবাইল দিয়ে রেকর্ড করে এডিটিং শেষ করে আপলোড করার দরকারও পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে আমরা প্রত্যেকেই এমন কিছু অ্যাপের খোঁজ করি, যেইগুলিতে অতি সহজেই ভিডিও এডিট করা যায়, মোবাইলে বেশি জায়গাও নেয় না। আসুন জেনে নেওয়া যাক এমন কয়েকটি জনপ্রিয় ভিডিও এডিটিং অ্যাপের বিষয়ে-
Kinemaster একটি জনপ্রিয় অ্যাপ ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য। এটি ios, অ্যান্ড্রয়েড, ক্রোম প্রতিটি ডিভাইসেই কাজ করে। এই অ্যাপটির সাহায্যে খুব সহজেই কোনো ভিডিও ফুটেজকে দারুণভাবে এডিট করা সম্ভব। এতে রয়েছে একাধিক ফিল্টার ও এডিটিং ফিচার। যদিও সমস্ত ফিচারের ব্যবহার এবং ওয়াটারমার্ক সরিয়ে ভিডিও এডিট করতে এই অ্যাপটির সাবস্ক্রিপশন নিতে হয়।
জনপ্রিয় ভিডিও এডিটিং অ্যাপগুলির মধ্যে এটি হল অন্যতম। এই অ্যাপে রয়েছে একাধিক ভিডিও এডিটিং ফিচার এবং আকর্ষণীয় ফিল্টার। এই অ্যাপে 4K ভিডিওগুলিকে এডিট করা যায় খুব সহজে। এছাড়াও এতে রয়েছে ক্রোমা-কি অপশন।
এই জনপ্রিয় ভিডিও এডিটিং অ্যাপটির ব্যবহার শিখতে খুব একটা বেশি সময় লাগে না। এতে বিভিন্ন ভিডিও ফিল্টারের সঙ্গে পাওয়া যায় আকর্ষনীয় এফেক্টসমূহ । তবে সমস্ত ফিচারগুলিকে ব্যবহার করতে সাবস্ক্রিপশন নিতে হয়। সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের উপযোগী ভিডিওগুলিকে এডিট করা যায় এই অ্যাপে।
ভিডিও এডিটিং সম্বন্ধে বেসিক আইডিয়া তৈরি করতে এই অ্যাপের জুরি মেলা ভার। এই অ্যাপটি শর্ট ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য উপযুক্ত। এই অ্যাপটি আসে কয়েকটি বেসিক ফিচার নিয়ে। এই অ্যাপটি ফ্রিতেই ব্যবহার করা যায়।
এই ভিডিও এডিটিং অ্যাপে এইচডি এবং এসডি কোয়ালিটির ভিডিও এডিট করা যায়। তবে হাই ডেফিনেশন কোয়ালিটিতে ভিডিও এডিট করতে গেলে সাবস্ক্রিপশনের প্রয়োজন হয়। এই অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড ইউজারদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।
এই ভিডিও এডিটিং অ্যাপে খুব সহজে ভিডিও এডিটিং করা যায়। ভিডিও ট্রিম, এফেক্টের ব্যবহার ও টেক্সট যুক্ত করার জন্য বিশেষ দক্ষতার দরকার পড়ে না। তবে সমস্ত এফেক্ট ব্যবহার করতে সাবস্ক্রিপশনের দরকার হয়।
এই অ্যাপটি বেসিক ভিডিও এডিটিংয়ের কাজ করে। এই ভিডিও এডিটিং অ্যাপটি ফ্রি না হলেও ফ্রি ট্রায়ালের সুযোগ রয়েছে।
এই ভিডিও এডিটিং অ্যাপ বিশেষত বিগিনারদের ব্যবহারযোগ্য। খুব সহজেই এডিট করে সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য ভিডিও কন্টেন্ট বানানো যায়।
মূলত প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে এই অ্যাপটি। এটি একটি ক্রস- ডিভাইস ভিডিও এডিটিং অ্যাপ যেখানে একই ভিডিও-এর ওপর কাজ করা সম্ভব হবে অ্যান্ড্রয়েড, উইন্ডোজ এবং ios ডিভাইসে।