সারা পৃথিবীতে এক বিলিয়ানের বেশি স্মার্টফোন গ্রাহক আছে সেখানে স্মার্টফোন গ্রাহকদের জন্য নতুন নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসবে সেটাই স্বাভাবিক। এর মধ্যে একটি নতুন প্রযুক্তি হল ফ্লেক্সিবেল স্মার্টফোন। স্যামসাং গ্যালাক্সি র ফ্লেক্সিবেল ফোন, হুয়াওয়ে মেটা X বা এই জাতীয় ফোন নতুন নতুন ফ্লেক্সিবেল আর নতুন প্রযুক্তির ফোনের উদাহরণ।
এর সঙ্গে এই প্রশ্নও ওঠে যে আমাদের কি ফ্লেক্সিবেল ফোনের মতন জিনিসের খুব দরকার আছে?? তবে এও ঠিক যে অনেক সময়ে উন্নত থেকে উন্নত প্রযুক্তি দেখানোর জন্যও দরকার হয়। সব সময়ে সব কিছুর ব্যাবহারিক প্রয়োগ সেই অর্থে থাকেনা।
তবে এর সঙ্গে আজকে আমরা আপনাদের এমন কিছু বিষয়ে বলব যা স্মার্টফোনে থাকলে বা বলা ভাল যে এই প্রযুক্তি গুলি স্মার্টফোনে থাকলে বা এলে তা আরও ভাল হয় মানে এই ধরনের ইনোভেনশান স্মার্টফোনে থাকলে হয়ত ভবিষ্যতের স্মার্টফোন আরও ভাল কাজ করবে। আসুন তবে সেই জিনিস গুলি দেখে নেওয়া যাক।
নোটঃ এখানে কিছু সম্ভাব্য আর কাল্পনিক ছবি ব্যাবহার করা হয়েছে।
ভাল ব্যাটারি
এটা সবাই জানে যে স্মার্টফোনের ব্যাটারি তাড়াতাড়ি শেষ হ্যে যায়। গবেষকরা অনেক গবেষনা করে শক্তিশালী ব্যাটারি আনছে যা বেশি চার্জ সাইকেলে চলে। আর এর পরেও কিন্তু ভাল ব্যাটারি আর বেশি সময়ের ব্যাটারি ডিউরেবিলিটির স্মার্টফোন সব সময়ে স্বাগত।
এর মধ্যে একাধিক নতুন গবেষনা বলেছে যে বড় ব্যাটারি এল্কট্রোলেট মেটেরিয়াল, সিলিকনের ব্যাটারি , টিন ব্যাটারি কাজ করে। ভবিষ্যতের স্মার্টফোনের ব্যাটারি হয়ত মাত্র পাঁচ মিনিটে চার্জ হবে কিন্তু সারা দিন চলে যাবে। সত্যি কি তাই হবে!!
ওয়ারলেস চার্জিং
যদি বেশি সময় ধরে চলা ব্যাটারি আনা না সম্ভব হয় তবে সহজ চার্জিং মেথডের প্রয়োজন। আমরা কেবেলের থ্রু স্মার্টফোন চার্জ করি যখন ওয়ারলেস চার্জিং আছে? আরও বেশি ফোনে সব ধরনের বাজেট ফোনে এই ওয়ারলেস চার্জিং আসা দরকার।
এর সঙ্গে এও দরকার যে ওয়ারলেস চার্জিংয়ের ও নতুন পদ্ধতি আসা দরকার। এই সময়ে অ্যাম্বিয়েন্ট বেক্সটকাটার বলে এক প্রযুক্তি আছে যা এই কাজ করতে পারে। আমরা এই ওয়ারলেস সিঙ্গেলের মাধ্যমে তা চার্জ করতে পারবে।
একটি এমন স্মার্টফোনের কথা ভাবুন যা ইনফিনিটি ব্যাটারি লাইফ যুক্ত হবে কারন এটি ওয়ারলেস সিঙ্গেল (যেমন টেলিভিশান টাওয়ারের সিগন্যাল থেকে) চার্জ করে দেবে। আর অন্য ভাবে বললে বলতে হয় যে এতে কোন সেই বা একক পাওয়ারর সোর্স থাকবে না।
আনব্রেকেল ফোন
আপনার হাত থেকে ফোন পরে যায়? আর ফোন পরে গেলে ফোন ভেঙ্গে নষ্ট হওয়ার মতন সমস্যা আপনি দেখেছেন। তবে এমন এক প্রযুক্তি যা ফোন কে আনব্রেকেবেল করবে এলে কেমন হয়। নোকিয়া এমন এক জিনিসে কাজ করছে যা সব থেকে শক্তিশালী মেটিরিয়াল হব (স্টেনলেস স্টিলের থেকে 300 টাইম বেশি শক্তিশালী)।
এর মানে যদি এই পরীক্ষা কাজ করে যায় তবে হয়ত ভবিষ্যতে এমন স্মার্টফোন আসতে পারে যা সত্যি আনব্রেকেবেল হবে।
স্ট্রঙ্গার কেস
শক্ত ফোনের দরকার শক্ত কেস কারন ফোনের সব দিক যাতে সুরক্ষিত থাকে তা দরকার। মোবাইল ফোনের জন্য ভাল খবর এই যে ভবিষ্যতে হয়ত সাফায়ারের মতন জিনিস দিয়ে শক্তিশালী ফোনের শক্তিশালী কেস তৈরি হবে।
সম্ভত অ্যাপেল তাদের টাচ আইডি ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার স্ল্যাশে সাফায়ার ব্যাবহার করবে।
এই ম্যান মেড সাবস্টেন্স পাতলা হবে আর অনেক বেশি স্ক্র্যাচ রেজিস্টেন্স যুক্ত হবে যা একে হাল্কা করবে। কর্নিংও তাদের নতুন কর্নিং গ্লাস নিয়ে কাজ করছে যা সাফারও আরও অনেক কিছুর সঙ্গে থাকেব। এই সব গ্রাহকদের জন্য ভাল হবে।
পেপার ট্যাব
আইপ্যাড মিনিতে পেন্সিল আছে আর এই থিনার ট্যাবলেট কি পাচ্ছে? পেপার ট্যাব পেপারকে পাতলা করবে। এটি একটি পাতলা কাগজের মতন দেখতে হবে আর এটি বেন্ড করতে পারবে যা ইন্টেলের টাচ স্ক্রিন ডিসপ্লেতে আছে। পেপার ট্যাব থেকে কন্টেন্ট ট্রান্সফার করাও সহজ হবে।
এটি এত পাতলা হবে যে 10.7 ইঞ্চির স্ক্রিন অনেক কিছু দেবে। গবেষণা এই ধরনের বিস্ময়কর আবিষ্কারের পথে।
কন্টক্সচুয়াল ইন্টেলিজেন্স
স্মার্টফোন কত স্মার্টহোক না কেন এটি কি আপনাদের হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে? যদি তাই হয় তবে? আর এর জন্য কন্টেক্সচুয়াল ইন্টেলিজেন্ট দরকার (এটি প্র্যাক্টিকাল ইন্টেলিজেন্স নামেও পরিচিতি)। ফোনে আপনার ফিজিকাল সারাউন্ডিংয়ের সেন্সার নিতে পারবে আর এটি কন্টেক্সচুয়াল ইন্টেলিজেন্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে আপনার হ্যে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
ডেপথ সেন্সিং ক্যামেরা
আপনারা 3D প্রিন্টিং বিষয়ে জানেন কিন্তু স্মার্টফোনের 3D স্ক্যানিং বিষয়ে জানেন? ডেপথ সেন্সিং ক্যামেরা 3D স্ক্যানিং, আউগমেন্টেড রিয়ালিটি গেম আর ভাল ছবি তোলার ক্ষমতা রাখে যা ভবিষ্যতের স্মার্টফোনে আসতে পারে। মনে করুন যে একটি আরকেড গেম আপনার বাড়ি স্ক্যান করছে আর এটি সেই ভাবে স্ক্যান করে তা বিল্ড করছে। সেই গেমে আপনার নিজের বাড়ি দেখা যাবে।
আউগেমেন্টেড রিয়্যালিটি
Augmented Reality তে গ্রাহকরা ক্যামেরা সেন্সার আপনার স্মার্টফোন থেকে দরকারি ডিজিটাল লেয়ার থেকে অ্যাড করতে পারবে যেমন টেক্সট, ভিডিও , ছবি সাউন্ড ইত্যাদি। আর এই সব আপনারা ডিরকেটলি সেই জিনিসের ওপর থেকে পাবেন। ভাবুন যে নিজের স্মার্টফোন নিয়ে অচেনা অজানা মিউজিয়ামের সামনে দারিয়ে আছেন আর আপনার ফোন সেই বিষয়ে সব ডিটেল আপনাকে দিয়ে দিল।
আর এর সঙ্গে এও ভাবুন যে আপনার ফোন সিনেমা পোস্টারের দিকে আচধে আর সেই সিনেমার অভিনেতা থেকে শোটাইম বা টিকিটের দাম হলের বিষয়ে সব ডিটেল আপনাদের দিয়ে দেবে। তেমনটাই দেবে কোন রেসটুরেন্টের বিষয়ে খবর।
মাল্টি স্ক্রিন ক্যাপাবেলিটি
আপনার ফোনের স্ক্রিন যদি মাল্টি স্ক্রিন কেপেব্লিটির সঙ্গে আসে? এই ভাবনা থেকে ভাবুন যে আপনার ফোনে আপনারা এক সঙ্গে কত কজাজ করতে পারবেন।
ইনফারেড সাপোর্ট
রিমোটের হিট কেমন তা দেখা যাবে? আপনার স্মার্টফোন রিমোট কন্ট্রোল হবে আর এতে ফোনে IR ব্লাস্টার থাকতে হবে রিমোট কন্ট্রোল অ্যাপ্লিকেশান থাকতে হবে।
এর মানে কি? মানে এই যে আপনি আপনার স্মার্টফোন কে একটি রিমোট কন্ট্রোল হিসাবে ব্যাবহার করতে পারবেন আর এই একটি ফোন কাম রিমোটই আপনার সব রিমোট যুক্ত ডিভাইসের রিমোট হিসাবে কাজ করবে।
ডুয়াল রেকর্ডিং
এই সময়ে স্মার্টফোন গুলি ফ্রন্ট আর রেয়ার ক্যামেরার সঙ্গে আসে তবে দুটি ক্যামেরা একই সময়ে একসঙ্গে কাজ করতে পারেনা তারা আলাদা আলাদা ভাবে কাজ করে। যদি এমন হয় যে স্মার্টফোনের ক্যামেরা যদি এক সঙ্গে ফ্রন্ট আর রেয়ারে কাজ করতে পারে? এর মধ্যে LG র স্যামসাংয়ের কিছু ফোনে এই প্রযুক্তি দেওয়া হয়েছে।
এখানে আমরা যে সব বিষয়ে বল্লাম এর মধ্যে অনেক কিছু একটু একটু করে আসছে, কিছুর ওপরে কাজ হচ্ছে আর কিছু জিনিসের ওপরে হয়ত কাজ শুরু হবে। আবার কিছু প্রযুক্তি এলে সেই সব প্রযুক্তি আসা উচিৎ কিনা? তা মানব জীবন কে সহজ করতে গিয়ে একে অন্য রকমের সমস্যার মধ্যে ফেলে দেবে কিনা? এরকমের একাধিক প্রশ্ন দেখা যাবে।
এ সবের উত্তরও এখনও জানা নেই তবে যে ভাবে স্মার্টফোনে নতুন নতুন জিনিস আসছে তাতে এই ধরনের কিছু বা একদম আলাদা কোন নতুন প্রযুক্তি যে ভবিষ্যতের স্মার্টফোনে থাকবে না তা বলা যায় না। তাই এখন আমাদের এই সব কিছু দেখে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই।