ফেক নিউজ আর আর ছবি এই সময়ে ভারতের স্মার্টফোন গ্রাহকদের জন্য বড় সমস্যার বিষয়। এই সময়ে ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ আর ফেসবুক বা এই ধরনের সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনেক ভয়ঙ্কর জিনিস ছড়িয়ে পরে, আর অনেক সময়ে এতে ভায়োলেন্ট জিনিসও স্প্রেড করে। আর এর প্রভাব বাজে ভাবে সাধারন মানুষের মধ্যে পরে, তারা কোনটি ঠিক কোনটি ঠিক না। আর কোনটিই বা ফেক বুঝে উঠতে পারেন না। এই ধরনের ভিডিও গুলি সধারনত আর্টিফিসিয়ায়ল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে তৈরি হয় আর যা একদম বাস্তবের মতন দেখতে লাগে। এই ধরনের ডিকফেক প্রযুক্তি এমন ভাবে তৈরি করা হয় যে তা দেখে মনে হয় যে এটি সত্যি বাস্তবে হয়েছে। আর এগুলি তখন ভয়ঙ্কর দ্রুতার সঙ্গে স্প্রেড করতে থাকে। ফেসবুক ও অন্যান্য সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এই ধরনের জিনিস বড় ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। আসুন তবে এর কারন দেখা যাক
হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক বা অন্য সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে যে সব ভিডিও পাঠানো হয় তা কম রেজিলিউশানের হয় আর তখন ফেক ভিডিও কোনটি তা বোঝা মুস্কিল হয়ে যায়। যখন মানুষ ফেক নিউস বিষয়ে অবগত হয় তখন প্রশ্ন করে আর এই ডিপ ফেক ভিডিও তাই যা অনেক বেশি ক্রেডিবেল যুক্ত। এটি এদ্র জন্য একটি শক্তিশালী টুল হয়ে যায়।
ডিপ ফেক ভিডিও প্রযুক্তিতে একটি সত্যি কারের ঘটনাকে একদ্ম সম্পূর্ণ ভাবে বিপরীত মেরুতে পরিবর্তন করে দিতে পারে।
সফিস্টেকেড টুল বেসড আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ডিপ ফেক ভিডিও বানায়। আর এই ভিডিও সাধারন মানুষদের পক্ষে বোঝা মুস্কিল হয়ে যায় যে কোনটি ফেক আর কোনটি না।
এই ধরনের ভিডিওতে মানুষ আসলে কি বলছে বা বলেছে তা সম্পূর্ণ ভাবে পরিবর্তন করে দিতে পারে।
আর এই সবের মধ্যে অনেক সময়েই কিন্তু আসল তথ্য বা খবর হারিয়ে যায়। আর এই সব ফেক ভিডিও অনেক সময়েই সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আরও দ্রুতার সঙ্গে ছির্যে পরে।
যদি ফেক ভিডিও বা ছবি মানুষকে হিংস্র করতে পারে তবে এই ধরনের ভিডিও আরও ভয়ঙ্কর হয়। এই ধরনের ভিডিও সাধারনত ব্লগ পোস্ট আর ইমেজ হিসাবে বেশি আসে আর ডিপফেক ভিডিও সহজেই ফোনে আসে আর সবাই বিশ্বাস করে নেয়।
এই ধরনের ডিপফেক ভিডিও কিন্তু খারাপ অভিনয় করলেও অভিনয়ের মাধ্যমে এটি মানুষের মধ্যে আর বেশি করে বিভ্রান্তি ছরায়।
এই ধরনের ভিডিওর সব থেকে বড় সমস্যা এই যে অনেক সময়ে এগুলি স্পাই ক্যামেরার মাধ্যমে শুট করা হয়। আর ওয়েবসাইট আর অনালিনের একাধিক ভুল সাইট থেকে দেওয়া হয়। আর এই ধরনের ভিডিও কিন্তু আপনাদের ভুল বা ম্যালওয়্যার যুক্ত সাইটে নিয়ে যেতে পারে।
এই ধরনের ডিপ ফেক ভিডিও কিন্তু তাদের কিছু টার্গেট নির্দিষ্ট করে কিছু নির্দিষ্ট ব্যাক্তির ক্ষতি করার জন্যও ব্যাবহার করা হয়।
তা হলে এটা স্পষ্ট যে আপনারা যে সব ভিডিও ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যান্য সোশাল মিডিয়া সাইটে পান তার মধ্যে কোনটি আসল আর কোনটি নকল বোঝা বেশ মুস্কিল। ফেক আর ডিপ ফেক ভিডিও আপনাদের বিভিন্ন ভাবে ক্ষতি করতে পারে। তাই সোশাল মিডিয়ার ভিডিও এলে তা দেখে কোন কিছু ভেবে নেওয়া বা সেই ভিডিওর থেকে কোন সিদ্ধান্তে আসা উচিৎ না।