ভারত সরকার দ্বারা সম্প্রতি ভিডিয়ো-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক (TikTok)-সহ চিনের ৫৯টি জনপ্রিয় অ্য়াপ দেশে নিষিদ্ধ করার ঘোষনা করা হয়। এটি চাইনার জন্য় ঠিক একটি ডিজিটাল স্ট্রাইকের মতো, এবং এটি চিন মেনে নিতে পারছেনা। এর ফলে ভারতের এই পদক্ষেপের নেওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্য়েই ভারতীয় সংবাদপত্র ও ওয়েবসাইটগুলির অ্যাক্সেস বন্ধ করল বেজিং। তবে চিনে ভারতীয় ওয়েবসাইটগুলি ছাড়াও অনেক আন্তর্জাতিক সাইট এবং মোবাইল অ্যাপ রয়েছে যা দীর্ঘদিন ধরে নিষিদ্ধ রয়েছে। আজ আমরা আপনাদের এই খবরে কিছু নির্বাচিত ওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্য়াপ সম্পর্কে বলব যা বর্তমানে চিনে ব্লক করা রয়েছে এবং সেগুলি ব্য়বহার করা নিষিদ্ধ।
আসুন এই আন্তর্জাতিক সাইটগুলি এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনগুলি একবার দেখে নেওয়া যাক ...
বর্তমানে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ ফেসবুক ব্যবহার করে। তবে এই অ্যাপ্লিকেশনটি চীনে ব্য়বহার করা নিষিদ্ধ। চীনা ব্যবহারকারীরা ফেসবুকের পরিবর্তে Wechat ব্যবহার করেন।
আজকের যুগে, ইনস্টেন্ট ম্যাসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ সারা বিশ্ব জুড়ে ব্যবহৃত হচ্ছে, তবে চীনে এই অ্যাপটিও নিষিদ্ধ করা রয়েছে। চীনে ব্যবহারকারীরা হোয়াটসঅ্যাপের পরিবর্তে QQ অ্যাপ ব্যবহার করেন।
চিনে সার্চ ইঞ্জিন গুগল ব্য়বহার করা নিষিদ্ধ। এখানে লোকেরা গুগলের পরিবর্তে Baidu ব্রাউজার ব্যবহার করে। আপনাদের জানিয়ে দি যে, চীন সরকার ইন্টারনেটের জন্য খুব কড়া নিয়ম করেছে, যা সেই দেশের মানুষকে অনুসরণ করতে হয়ে।
চীন সরকার দ্বারা আন্তর্জাতিক মাইক্রো-ব্লগিং সাইট টুইটার তাদের দেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। চীনে ব্যবহারকারীরা টুইটারের পরিবর্তে Weibo ব্যবহার করেন।
ফেসবুকের মতো সোশ্য়াল মিডিয়া ইনস্টাগ্রামও চীনে ব্যান করা রয়েছে। চীনের ব্যবহারকারীরা ফটো শেয়ার করার জন্য Wechat ব্যবহার করেন।
বিখ্যাত প্রশ্নোত্তর সাইট কোওরা চীনে নিষিদ্ধ। এখানে ব্যবহারকারীরা Zhihu সাইট ব্যবহার করেন।
গুগলের মালিকানাধীন ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবও চীনে ব্য়ান করা রয়েছে। চীনের মানুষরা ইউটিউবের পরিবর্তে Youku.com এবং Tencent Video ব্য়বহার করে।
আপনি যদি চীনে গুগলের ইমেল সার্ভিস জিমেল ব্য়বহার করতে চান, তবে সেটা হওয়া মুস্কিল। কারন চীনে Gmail ব্য়বহার করা নিষিদ্ধ এবং এটি সেই দেশে ব্য়ান করা রয়েছে।
যথারিতি Google এর জিমেল এবং ইউটিউবের মতো গুগল ম্য়াপ ও ব্য়বহার করা নিষিদ্ধ।
টিন্ডার ডেটিং অ্যাপ চীনে ব্য়বহার করা নিষিদ্ধ রয়েছে। সেই দেশে tinder এর পরিবর্তে Momo ব্য়বহার করা হয়।