আজকের সময়ে বাজারের সমস্ত স্মার্টফোনে সংস্থারা 4G কানেক্টিভিটি অফার করে। এর পাশাপাশি এখন বেশ কিছু স্মার্টফোনে তো 5G সপোর্টও দেওয়া হচ্ছে। তবে এখনও দেশে 5G কানেক্টিভিটি সঠিকভাবে সামনে আসেনি। আমরা যদি 4G কানেক্টিভিটির কথা বলি তবে আজও বেশিরভাগ ব্যবহারকারী এখনও 4G স্মার্টফোনে আটকে আছেন। কারণ এই পর্যন্ত 4G সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল।
যদি ফোনে 4G কানেক্টিভিটি থাকে এবং আপনি 4G ডেটা রিচার্জ করিয়েছেন এবং এমন পরিস্থিতিতে যদি ইন্টারনেট স্পিড না পাওয়া যায় কিংবা থেমে থেমে চলে তবে সমস্য়ার মুখোমুখি পরতে হয়। আপনিও যদি একই ধরণের সমস্যার মুখোমুখি হন, তবে আমরা আপনাকে একটি ট্রিকস বলতে চলেছি, যার মাধ্যমে আপনি আপনার স্মার্টফোনে 4G স্পিড আরও ভাল পেতে পারেন।
4G ডেটা বুস্টার একটি আউটডোর অ্যান্টেনার মাধ্যমে নেটওয়ার্ক আকর্ষণ করে। এটি প্রযুক্তির মাধ্যমে স্লো স্পিড কে 32 গুণ বাড়িয়ে দেয়। এর পর ইন্ডোর অ্যান্টেনার মাধ্যমে 4G স্মার্টফোনে ফাস্ট 4G নেটওয়ার্ক সরবরাহ করে। এটি ব্যবহার করে আপনাকে কল ড্রপ এবং অকেজো নেটওয়ার্কের মুখোমুখি হতে হবে না। এটির সাহায্যে আপনি ফাস্ট ডাউনলোড এবং আপলোড স্পিড পাবেন, কোনও বাধা ছাড়াই ভিডিও দেখতে পারবেন, সহজেই ইমেল করতে পারবেন এবং ভয়েস কল এবং SMS সহজেই পাঠাতে পারবেন।
4G LTE ডেটার স্পিড কেবল তখনই ফাস্ট করে যখন ডিভাইস তার সিগন্যাল ধরে রাখে। এর জন্য আপনার স্মার্টফোনে নজর রাখা দরকার যাতে সময়মতো সফ্টওয়্যার আপডেট করা হক এবং ব্যাটারি ঠিক রাখা হক, এতে আপনার ইন্টারনেট স্পিড ঠিক থাকে। আপনি যখন আপনার স্মার্টফোনের 4G স্পিড পরীক্ষা করেছেন এবং সেরা সার্ভিস প্রোভাইডরকে নিয়েছেন। এমন সময় আপনার নেটওয়ার্ক আরও ভালও করতে LTE বুস্টার কাজে আসতে পারে।
আপনার স্মার্টফোন যদি স্লো কাজ করছে তবে কোখনও ফাস্ট নেটওয়ার্ক আপনাকে সাহায্য করতে পারবেন না। ফাস্ট স্পিডের জন্য সবসময় ইন্টারনেট ব্রাউজারে ক্যাশে ক্লিয়ার করতে হবে। এছাড়া ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকা অ্যাপ বন্ধ করে দেওয়া উচিত। পাশাপাশি যদি ফোনে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ থাকে তবে ডিলিট করে দেওয়া উচিত, এতে আপনার ফোনের স্পিড ফাস্ট করে তুলবে এবং ডেটাও ফাস্ট চলবে। এছাড়া আপনি স্মার্টফোনে লেটেস্ট সফটওয়্যার ব্যবহার করছেন কিনা তাও পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া উচিত।
যে কোনও স্মার্টফোনে আপনি নেটওয়ার্কের ধরণ বেছে নিতে পারেন। এর জন্য আপনাকে ফোনের সেটিংসে যেতে হবে এবং 'নেটওয়ার্ক সেটিংস' এ ট্যাপ করতে হবে। এখানে Preferred Network Type আপনাকে 4G বা LTE সেলেক্ট করতে হবে। এর পরে আপনার নেটওয়ার্ক 3G বা 2G তে শিফ্ট হবে না। এইভাবে আপনি সেরা স্পিড পেতে পারেন।
ব্যাকগ্রাউন্ডে ডেটা ব্যবহার হওয়ার কারণে অনেক সময় আপনি কম ইন্টারনেট স্পিড পান। অনেক অ্যাপের সাহায্যে এবং ডেটা সেটিংসে গিয়ে আপনি দেখতে পারবেন ফোনের কোন অ্যাপ্লিকেশন সবচেয়ে বেশি ডেটা ব্যবহার করছে। যদি প্রয়োজন না হয়, আপনি সেই অ্যাপের জন্য ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা অ্যাক্সেস বন্ধ করতে পারেন।
সাধারনত অ্য়াপগুলি আপডেট রাখার জন্য় ফোনে অটো ডাউনলোড বিকল্প অন করা থাকে। ভাল হবে যদি আপনি এই অপশনটি বন্ধ রাখেন। এই উপায়তে আপনার ইন্টারনেট লিমিটেড ব্য়বহার হবে এবং আপনি ভাল স্পিড পাবেন।
অনেক সময় ফোনের সেটিংসে হেরফের করলেও ইন্টারনেটের স্পিড কমে যায়। এমন পরিস্থিতিতে আপনার ফোনের নেটওয়ার্ক সেটিংস একবার রিসেট করে দেওয়া ভাল।
মোবাইলটি রিস্টার্ট করা ছাড়াও আপনি ফোনের ফ্লাইট মোডটি অন করে অফ করতে পারেন। এর পর, ফোনটি আবার মোবাইল নেটওয়ার্ক সার্চ করে, যা ফোনের ইন্টানেটের স্পিড কয়েকবার বেড়ে যায়।
CACHE ক্লিয়ার করুন
Cache ফাইলগুলি ফোনে দীর্ঘ সময়ের জন্য স্টোর করা থাকে। এই ফাইলগুলির কারণে, শুধু আপনার ফোন নয়, 4G ইন্টারনেটও ধীরে হয়ে যায়। আপনি ফোনে উপস্থিত Cache কমপক্ষে 7-10 দিনের মধ্যে একবার ডিলিট করে ফেলা জরুরী। এর জন্য অটো-ক্লিনার অ্যাপগুলির সহায়তাও নেওয়া যেতে পারে।
রিলায়েন্স জিও, এয়ারটেল এবং ভোডাফোন-আইডিয়াতে আলাদা অ্যাক্সেস পয়েন্ট নেটওয়ার্ক (APN) সেটিংস থাকে। ডিভাইসের নেটওয়ার্ক সেটিংসে গিয়ে আপনার টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডারের জন্য APN সঠিক কিনা আপনি তা পরীক্ষা করতে পারেন। সঠিক স্পিড যদি না আসছে, তবে APN সেটিংস মেনুতে গিয়ে Reset to default কাজটি করা যেতে পারে।
এটি সবচেয়ে সহজ উপায়। ফোনটি রিস্টার্ট করার পর মোবাইল নেটওয়ার্ক সার্চ করে, এর কারন ইন্টারনেটের স্পিড কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এই উপায় ছাড়াও মোবাইল ডেটা একবার বন্ধ করে আবার চালু করতে পারেন।