Android Phone-এ 4G নেটওয়ার্ক ব্য়বহার করেও ফোনে ইন্টারনেটের স্পিড 2G মতো চলে। প্রায় স্মার্টফোন ইউজার্সদের একই সমস্য়া। ভারতে 4G ব্যবহারকারীদের একটি বড় টেলিকম মার্কেট শেয়ার রয়েছে এবং বেশিরভাগ ইউজারদের 4G স্মার্টফোনে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস রয়েছে। আপনার যদি 4G সিম এবং স্মার্টফোন থাকে তবে জরুরি নয় যে আপনি বেস্ট 4G স্পিড পাবেন। এর অনেকগুলি কারণ থাকতে পারে এবং ডিভাইসের কিছু সেটিংস পরিবর্তন করে আপনি ইন্টারনেট স্পিড আগের চেয়ে ভাল করতে পারেন।
আপনি যদি Reliance Jio, Vodafone-Idea বা Bharti Airtel ইউজার হন তবে ডিভাইসে এই সেটিংস পরিবর্তন করে আপনি আরও ভাল 4G স্পিড পেতে পারেন। এই সমস্য়া সমাধানের জন্য় কয়েকটি উপায় ফোলো করলে বাড়তে পারে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে ইন্টারনেট স্পিড। তবে আসুন দেখেনি বিস্তারিত ভাবে এই উপায়....
যে কোনও স্মার্টফোনে আপনি নেটওয়ার্কের ধরণ বেছে নিতে পারেন। এর জন্য আপনাকে ফোনের সেটিংসে যেতে হবে এবং 'নেটওয়ার্ক সেটিংস' এ ট্যাপ করতে হবে। এখানে Preferred Network Type আপনাকে 4G বা LTE সেলেক্ট করতে হবে। এর পরে আপনার নেটওয়ার্ক 3G বা 2G তে শিফ্ট হবে না। এইভাবে আপনি সেরা স্পিড পেতে পারেন।
ব্যাকগ্রাউন্ডে ডেটা ব্যবহার হওয়ার কারণে অনেক সময় আপনি কম ইন্টারনেট স্পিড পান। অনেক অ্যাপের সাহায্যে এবং ডেটা সেটিংসে গিয়ে আপনি দেখতে পারবেন ফোনের কোন অ্যাপ্লিকেশন সবচেয়ে বেশি ডেটা ব্যবহার করছে। যদি প্রয়োজন না হয়, আপনি সেই অ্যাপের জন্য ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা অ্যাক্সেস বন্ধ করতে পারেন।
সাধারনত অ্য়াপগুলি আপডেট রাখার জন্য় ফোনে অটো ডাউনলোড বিকল্প অন করা থাকে। ভাল হবে যদি আপনি এই অপশনটি বন্ধ রাখেন। এই উপায়তে আপনার ইন্টারনেট লিমিটেড ব্য়বহার হবে এবং আপনি ভাল স্পিড পাবেন।
অনেক সময় ফোনের সেটিংসে হেরফের করলেও ইন্টারনেটের স্পিড কমে যায়। এমন পরিস্থিতিতে আপনার ফোনের নেটওয়ার্ক সেটিংস একবার রিসেট করে দেওয়া ভাল।
ফোনের ফ্লাইট মোডটি অন করুন
মোবাইলটি রিস্টার্ট করা ছাড়াও আপনি ফোনের ফ্লাইট মোডটি অন করে অফ করতে পারেন। এর পর, ফোনটি আবার মোবাইল নেটওয়ার্ক সার্চ করে, যা ফোনের ইন্টানেটের স্পিড কয়েকবার বেড়ে যায়।
Cache ফাইলগুলি ফোনে দীর্ঘ সময়ের জন্য স্টোর করা থাকে। এই ফাইলগুলির কারণে, শুধু আপনার ফোন নয়, 4G ইন্টারনেটও ধীরে হয়ে যায়। আপনি ফোনে উপস্থিত Cache কমপক্ষে 7-10 দিনের মধ্যে একবার ডিলিট করে ফেলা জরুরী। এর জন্য অটো-ক্লিনার অ্যাপগুলির সহায়তাও নেওয়া যেতে পারে।
রিলায়েন্স জিও, এয়ারটেল এবং ভোডাফোন-আইডিয়াতে আলাদা অ্যাক্সেস পয়েন্ট নেটওয়ার্ক (APN) সেটিংস থাকে। ডিভাইসের নেটওয়ার্ক সেটিংসে গিয়ে আপনার টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডারের জন্য APN সঠিক কিনা আপনি তা পরীক্ষা করতে পারেন। সঠিক স্পিড যদি না আসছে, তবে APN সেটিংস মেনুতে গিয়ে Reset to default কাজটি করা যেতে পারে।
এটি সবচেয়ে সহজ উপায়। ফোনটি রিস্টার্ট করার পর মোবাইল নেটওয়ার্ক সার্চ করে, এর কারন ইন্টারনেটের স্পিড কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এই উপায় ছাড়াও মোবাইল ডেটা একবার বন্ধ করে আবার চালু করতে পারেন।