WhatsApp এখন আমাদের জীবনের যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বন্ধু হোক বা আত্মীয় কিংবা অফিসের কারও সঙ্গে যাই কথা থাক না কেন এখন সেটা সহজেই WhatsApp -এর মাধ্যমে করে ফেলা সম্ভব। এই চ্যাটিং আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে, ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা বাড়াতে, তাঁদের প্রাইভেসি বজায় রাখতে একাধিক ফিচার এনেছে WhatsApp। গত বছর লঞ্চ হয়েছে এমন সেরা 20টি ফিচার দেখুন WhatsApp -এর।
গত বছর লঞ্চ হওয়া অন্যতম সেরা ফিচার হল WhatsApp Community। এটার সাহায্যে এক ধরনের গ্রুপকে একসঙ্গে এক ছাতার তলায় রাখা যায়। ফলে প্রয়োজনে চট জলদি সেখানে গ্রুপ খুঁজে পাওয়া যায়। মেসেজ করা যায়। এছাড়া কেউ চাইলে সাবগ্রুপ তৈরি করতে পারেন। কোনও রকম ঘোষণাও করা যায়।
কোনও বিষয়ে মতামত নেওয়ার হলে এখন আর নানা আলোচনার প্রয়োজন নেই। স্রেফ একটা ইন চ্যাট পোল তৈরি করলেই সমস্যা মিটে যাবে। সহজেই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে এই ফিচারের সাহায্যে।
একটি গ্রুপ এখন অনেক বেশি সংখ্যক সদস্য যোগ করা যায়। আগে যেটা প্রথম 256 ছিল সেটা বাড়িয়ে মাঝে 512 করা হয়। শেষে 1024 জন করা হয়। অর্থাৎ বর্তমানে 1024 জনকে একটি গ্রুপে যোগ করা যাবে।
অনেক সময় অনেকেই একটি নির্দিষ্ট গ্রুপে সেই গ্রুপের জন্য অপ্রয়োজনীয় মেসেজ পাঠান। সেক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। এসব ক্ষেত্রের জন্য অ্যাডমিনদের অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা এখন যে কোনও কারও মেসেজ ডিলিট করতে পারবেন।
প্রাইভেসি বজায় রাখার জন্য এখন অনলাইন স্ট্যাটাস চাইলে ব্যবহারকারীরা হাইড করে রাখতে পারবেন। আপনি অন আছেন এই কথাটা আপনি এখন যাঁদের জানাতে চান কেবল তাঁরাই জানবেন। দরকারে আপনি সকলের থেকেও সেটা লুকিয়ে রাখতে পারবেন।
আগে কেউ গ্রুপ ছাড়লে সেটা সকলে দেখতে পেত। এতে অনেকেই নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতেন। এখন আর সেই ঝামেলা নেই। আপনি নিঃশব্দে এখন WhatsApp গ্রুপ ছেড়ে চলে যেতে পারবেন। কেবল অ্যাডমিন জানতে পারবেন আপনি গ্রুপ ছাড়লে।
আপনি হুট করে ভুলবশত কোনও মেসেজ ডিলিট করে ফেললে এখন সেটা ফিরে পেতে পারবেন। এখন ভুল করে ডিলিট ফর মি করে দিলে সেটা আনডু করা যাবে।
আগে যেখানে মাত্র কয়েকজনকে নিয়েই ভয়েস বা ভিডিও কল করা যেত WhatsApp- এ, এখন সেখানে 32 পর্যন্ত মানুষ থাকতে পারেন। ফলে বেশি সংখ্যক মানুষ নিয়ে এখন ভিডিও বা ভয়েস কল করা যাবে WhatsApp- এ।
WhatsApp ব্যবহারকারীরা এখন নিজেদের মেসেজ পাঠাতে পারবেন। রিমাইন্ডার দেওয়ার জন্য, চট করে কিছু নোট করার জন্য এই ফিচার সাহায্য করবে ব্যবহারকারীদের।
আপনি এখন চাইলে কলে থাকাকালীন আপনি কাউকে মেসেজ পাঠাতে পারবেন। প্রয়োজনে সেই কল মিউট করতে পারবেন।
এখন জুম বা গুগল মিটের মতো WhatsApp- এও কল লিংক তৈরি করা যাবে। এটার জন্য ব্যবহারকারীদের অ্যাক্টিভ WhatsApp অ্যাকাউন্ট থাকতেই হবে। এটা মনে রাখবেন।
ধরুন আপনি কারও সঙ্গে কলে আছেন, সেই কলে আরও একজন যুক্ত হলেন। তিনি যখন যুক্ত হবেন তখন আপনার কাছে সেই নোটিফিকেশন আসবে। ফলে এখন কলে নতুন কেউ জয়েন করলে সেটার নোটিফিকেশন পাবেন।
এখন কেউ যদি আপনাকে ভয়েস মেসেজ পাঠান তাহলে আপনি তার চ্যাট থেকে বাইরে বেরিয়েও সেই ভয়েস শুনতে পারবেন। ভয়েস শোনার জন্য এখন আর আগের মতো চ্যাটের মধ্যে থাকতে হবে না।
ভয়েস নোট রেকর্ড করার সময় আগে থামা যেত না। এখন সেই সুযোগ উপলব্ধ হয়েছে। ফলে আপনি ভয়েস রেকর্ড করার সময় কিছু ভুলে গেলে থেমে আবার রেকর্ড করতে পারবেন এই ফিচারের সাহায্যে।
এখন আপনি ভয়েস রেকর্ড করার পর সেটা আগে শুনে তারপর কাউকে পাঠাতে পারেন। অর্থাৎ ড্রাফট রিভিউ অপশন পাবেন। যদি মনে করেন সেটা ডিলিট করলে নতুন করে রেকর্ড করতে পারবেন।
আপনি এখন চাইলে ভয়েস রেকর্ডিংয়ের গতি বাড়াতে বা কমাতে পারবেন। ব্যবহারকারীরা 1.5 থেকে 2 গুণ পর্যন্ত স্পিড বাড়াতে পারবেন।
এখন কেউ মেসেজ পাঠালে সবসময় সেটার উত্তর লিখে দিতে হবে এমনটা নয়। নিজের মনের ভাব আপনি এখন চাইলে ইমোজি দিয়েই বোঝাতে পারবেন। ইমোজি রিঅ্যাকশন এসেছে মেসেজের ক্ষেত্রে।
ফেসবুকের মতো এখন WhatsApp- এও অবতার এসেছে। ব্যবহারকারীরা চাইলে নিজেদের অবতার বানিয়ে সেটা স্টিকার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন বা প্রোফাইল পিকচার হিসেবে রাখতে পারেন।
আগে বড় ফাইল পাঠানো যেত না WhatsApp -এ। কিন্তু এখন 2 GB পর্যন্ত বড় সাইজের ফাইল পাঠানো যায় WhatsApp -এ। আগে এই সাইজ ছিল মাত্র 100 MB।
ব্যবহারকারীরা এখন চাইলে তাঁদের অ্যাকাউন্টের তথ্য, সেটিংস, প্রোফাইল ফটো সহ চ্যাট হিস্টরি সব অ্যান্ড্রয়েড ফোন থেকে আইফোনে ট্রান্সফার করতে পারবেন তাও সহজেই।