Apple -এর Vision Pro অর্থাৎ এই কোম্পানির AR VR হেডসেট অবশেষে লঞ্চ করে গেল। WWDC 2023 -এ আত্মপ্রকাশ ঘটাল এই ডিভাইস। এখানে মাথা ঘোরানো দুর্দান্ত সব ফিচার আছে। এটির দাম রাখা হয়েছে 3,499 ডলার।
এটির সঙ্গে বাজারে টক্কর হবে Meta Quest 3 -এর, সেটির দাম রাখা হয়েছে 499 ডলার। দামের দুটোর মধ্যে বিপুল পার্থক্য। কিন্তু ফিচারের নিরিখে কোনটা বেশি ভাল আর কেন? দেখুন।
Vision Pro হল একটি ফার্স্ট Gen প্রোডাক্ট যেখানে কাটিং এজ টেকনোলজি পাওয়া হবে। এটির একটি ছোট অংশ গেমিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। Apple -এর এই ডিভাইসে সাপোর্ট করবে 100 টির বেশি Apple Arcade Games।
অন্যদিকে Meta -এর Quest 3 -এ আছে পৃথিবীর সব থেকে শ্রেষ্ঠ লাইব্রেরি। Quest 3 তার পূর্বসূরিদের 500 টি বিভাগে বলে বলে গোল দিতে পারবে। Apple -এর তরফে বলা হয়েছে এই Vision Pro আদতে একটি স্পেশিয়াল কম্পিউটার সেন্টার্ড ডিভাইস প্রোডাক্টিভিটি এবং কনটেন্ট কনসাম্পশনের দিক দিয়ে।
আরও পড়ুন: WWDC 2023-এ ঘোষিত হল Apple-এর সেরা 5 প্রোডাক্ট, তালিকায় Vision Pro ছাড়া আর কী কী আছে?
Apple -এর Vision Pro অ্যালুমিনিয়াম অ্যালয় দিয়ে তৈরি। এটি একটি 3D ল্যামিনেটেড গ্লাসের সিঙ্গুলার পিস। এখানে লাইট সিল এবং হেড ব্যান্ডে সফট টেক্সটাইল ফিনিশ পাওয়া যাবে।
অন্যদিকে Quest 3 প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি। দুটোর হেড ব্যান্ডের সাইজ অ্যাডজাস্ট করা যায়।
Apple -এর হেডসেটে আছে 1.41 ইঞ্চির মাইক্রো OLED প্যানেল যেখানে 3 এলিমেন্ট লেন্স, 23 মিলিয়ন পিক্সেল এবং 4K রেজোলিউশন পাওয়া যাবে। অন্যদিকে Quest 3 -এ আছে সিঙ্গেল LCD প্যানেল, 2064X2208 পিক্সেলের রেজোলিউশন প্রতিটা চোখে। যদিও Apple -এর ব্রাইটনেসের ধারপাশে নেই Quest।
আপনার যদি প্রেসক্রিপশন ভিত্তিক চশমা পরতে হয় এই হেডসেট পরার সময় তাহলে এই বক্সের গ্লাস স্পেসারকে আপনার চোখের পাওয়ার অনুযায়ী বানিয়ে নিতে হবে। একই সঙ্গে আপনাকে ফেসিয়াল ইন্টারফেস ফিল্মকে সরিয়ে দিতে হবে এবং তার বদলে সেই স্পেসার যুক্ত করে ফিল্মটা আবার আটকে দিন। Apple -এর ক্ষেত্রে Zeiss অপটিক্যাল ইনসার্ট পেয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন: WWDC 2023: আসছে iOS 17, কোন কোন iPhone-এ সাপোর্ট করবে জানেন? রইল তালিকা
Quest 3 -এ আছে Snapdragon CPU এবং GPU। এটা শক্তিশালী হলেও Apple -এর M2 প্রসেসরের ধারপাশেও আসবে না এটা ক্ষমতার বিচারে। এছাড়া এখানে আলাদা R1 কো প্রসেসর আছে সেন্সর ম্যানেজ করার জন্য।
R1 -এ 12 ক্যামেরা, 5 সেন্সর, 6 মাইক্রোফোন ম্যানেজ করতে হয়। অন্যদিকে Quest 3 -এ আছে কেবল 2 কালার ক্যামেরা, 2 মনোক্রম ক্যামেরা এবং একটি ডেপথ সেন্সর। অ্যান্ড্রয়েড 13 -এর সাহায্যে চলে এটি।
Vision Pro -তে আছে Vision OS। Apple- এর ডিভাইসে 2 দিনের ব্যাটারি লাইফ পাবেন।