একটি সেরার সেরা টিভি খুজছেন? কিন্তু বুঝতে পারছেন নে যে কী দেখে বুঝবেন যে কোন টিভি সেরা আর কোন টিভিতে একদম সাম্প্রতিক তম প্রযুক্তি ব্যাবহার হয়েছে? ঠিক কোনটা দেখা দরকার আর কোনটা অত গুরুত্বপূর্ণ নয়?চিন্তা নেই সেই জন্যই আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে।
এই সময়ে একটি টিভি কেনার আগে অনেক কিছু অপশান আছে। আর তার মধ্যে অনেক অপশানই বেশ ভাল। আর এই সবের জন্য আজকের এই গাইডলাইন আপনাদের সাহায্য করবে বলেই আসা রাখি।
এই সময়ে টিভি কেনার আগে একটি সঠিক ডিসপ্লে থাকা খুবই দরকার। মানে টিভি কেনার আগে টিভির ডিস্প্লে বিষয়ে জেনে নেওয়া দরকার। এটা খেয়াল রাখতে হবে যে ডিসপ্লে কিন্তু আপনারা আপগ্রেড করতে পারবেন না। আর যত ভাল ডিসপ্লে হবে তাদে দেখার অভিজ্ঞতাও তত বেশি ভাল হবে।
এই সময়ে বিভিন্ন ধরনের ডিসপ্লে যুক্ত টিভি আছে। আসুন সে সব দেখে নেওয়া যাক। এই সময়ে টিভিতে LED, OLED আর QLED ডিসপ্লের টিভি পাওয়া যায়। আর এই সব কটিতেইএ LED প্রযুক্তি ব্যাবহার করা হয়েছে। বেশির ভাগ LED টিভি আমাদের ভাল ভিউইঞ অভিজ্ঞতা দেয়। আর সিনেমাটিক এক্সপিরিয়েন্সের জন্য OLED আর QLED টিভি ভাল আর এই সময়ে LED< OLED আর QLED অনেক টিভি আছে।
এই সময়ের টিভিতে ব্যাবহার করা এটি সব থেকে বেশি ব্যাবহৃত প্রযুক্তি। এটি দেখার অভিজ্ঞতা ভাল দেয় আর এটি যেকোন ভিউং প্লেস থেকে ভাল করে টিভি দেখার অভিজ্ঞতা অফার করে। বেশির ভাগ হাই এন্ড টিভি LED(লাইট ইমিটিটিং ডিওড) টিভি হয়। এই টিভি গুলি LCD Tv আর CRT TV র থেকে বেশি ভাল হয়।
IPS টিভি ট্রু টু লাইফ কালার অফার করে (178 ডিগ্রি)তে। Non IPS প্যানেল টিভির ওভারল কস্ট কমায়। আর এদের ভিউইং অ্যাঙ্গেল ন্যারো হয়। যারা সেরা ভিউংয়ের অভিজ্ঞতা চান আর যারা সেরা ভিউইং অভিজ্ঞতা চান তাদের জন্য IPS ডিসপ্লে ভাল আর IPS আর Non IPS তখনই ম্যাটার করবে যখন আপনারা LED টিভি আর OLED ar QLED টিভি কিনবেন। তবে বেশিরভাগদের জন্য Non IPS ডিসপ্লে কাজ করে।
OLED (ওর্গানিক লাইট-ইমিটিং ডিওড) টিভি হাই ডিগ্রি কালার অ্যাকুয়েরেসি সাপোর্ট করে, ভাল কন্ট্রাস্ট দেয়ার আর ওয়াইড ভিউং অ্যাঙ্গেল ভার্চুয়ালি ব্লার করে।
QLED ( কোয়ান্টার ডট LED) টিভি গুলি LED টিভি আর এগুলি ব্রাইট লেভেল আর পিকচার কোয়ালিটি অফার করে। আর এটি বেশি কালার রিডিউস করতে পারে।
স্যামসাং বা মিসটুপিসির মতন টিভি কোম্পানি গুলি কার্ভড টিভিও তৈরি করে। আর এতে দর্শক ইম্প্রেসিভ ছবি দেখতে পায়।
এটাই আপনার সব প্রশ্নের আসল প্রশ্ন। আপনারা যদি একটি CRT টিভি থেক আপগ্রেডেশান চান তবে একটি বাজেট HD টিভি করাই ভাল আর এর পরে আপনরা ধিরে ধিরে ফুল HD টিভিও পাবেন আর এর পরে 4K টিভিতে আপগ্রেডেশানও দরকার।
মনে রাখবেন যে প্লাজমা বা CRT LCD টিভি এখন আউটডেটেড আর আপনারা যদি এই ধরনের টিভি থেকে আপগ্রেড করতে চান তবে লেটেস্ট 4K টিভি ভাল এগুলি OLED, QLED টিভি।
যত বেশি রেজিলিউশান হবে তত ভাল ছবির কোয়ালিটি পাওয়া যাবে। রেজিলিউশান আসলে একটা নাম্বার যা সাধারনত চওড়া আর উচ্চতা মেজার করে। বেশি পিক্সাল নাম্বার আপনাকে বেশি ক্লারিটি আর শার্পনেশ দেয়। HD-Ready (720p), Full HD (1080p) or UHD (4K).
আর এর মধ্যে প্রথমটির রেজিলিউশান হয় 1366×766পিক্সাল। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে এটি হবে 1920×1080 পিক্সলা আর তৃতীয় ক্ষেত্রে 4K 3840×2160 পিক্সাল হয়।
এখানে আমরা রেজিলিউশানের ওপর কিছু টিভির কন্টেন্টের বিষয়ে বলেছি।
Resolution | Clarity and Pixels | Content | Indicative Starting Prices |
HD Ready Also known as
| 1x (1 Million) |
|
|
Full HD Also known as
| 2x (2 Million) |
|
|
4K Also known as
| 8x of HD Ready (8 Million) 4x vs Full HD |
|
|
রিফ্রেস রেট
রিফ্রেস রেট যত বেশি হবে টিভির ইমেজ তত বেশি স্মুথ হবে। সাধারনত একটি সিনেমার 24 ফ্রেম পার সেকেন্ডে শুট করা হয় আর টিভি বেশি রিফ্রস রেট অফার করলে একটি ট্র্যাডিশেনাল 120 আর 240Hz (ফ্রেম পার সেকেন্ড) ভাল। বেশিরভাগ টিভিই 60GHz রিফ্রেস রেট অফার করে। এটি প্রতিদিনের টিভি দেখার জন্য যথেষ্ট। আর বেশি রিফ্রেস রেটে গেম খেলা বা অ্যাকশেন আর স্পোর্টস দেখার অভিজ্ঞতা ভাল হয়।
কনট্রাস্ট রেশিও
হায়ার কন্ট্রাস্ট রেশিও সিনের বেশি ভিসুয়াল ডিটেল দেয়। কালো কালো বা গ্রে বলে মনে হয়।
ব্রাইটনেস ইমেজ আর কন্ট্রাস্ট রেশিওর মধ্যে পার্থক্য আছে হোয়াইট /ব্ল্যাক হল কন্ট্রাস্ট রেশিও।আর তাই নাইট মোড থাকলে আপনারা রাতের সিনে অন্ধকারের ডিটেল ভাল করে দেখতে পারবেন।
OLED টিভিতে ইনফিনিটি কন্ট্রাস্ট রেশিও থাকে। আর আপনি সেরা পিকচার কোয়ালিটি চাইলে এটাই সেরা।
HDR বা হায়ার ডায়নামিক রেঞ্জ
বেশি ভিভিড, ট্রু লাইফ ইমেজ দেখা যায় যে কোণ সিনের। HDR এখন অনেক বেশি কালারা প্রডিউস করে। আর সঙ্গে থাকে অনেক বেশি ব্রাইটনেশ। HDR য়ের 2টি স্ট্যান্ডার্ড আছে। HDR 10 আর ডল্বি ভিশান। বেশির ভাগ টিভিই HDR আর HDR 10 যুক্ত হয় বা ডল্বি ভিশান যুক্ত হয়। এই সময়ে ডল্বি ভিশান সাধারনত ফ্ল্যাগশিপ টিভিতেই দেখা যায়।
নেটফ্লিক্স বা গেমিং কন্সোলের জন্য HDR কন্টেন্ট থাকে। এই বিষয়ে অনেকে অনেক কিছু বললেও সবসময়ে খেয়াল রাখবেন যে HDR য়ের দুটি স্ট্যান্ডার্ড আছে HDR 10 আর ডল্বি ভিসান।
কী করে HDR জাজ করবেন
আসলে HDR জাজ করার অনেক উপায় নেই। মনে রাখবেন যে HDR Ps4 Pro ইত্যাদিতে কেবেপেল হয়। আপনারা ম্যানুয়ালি HDMI 2.0 ফুল ব্যান্ডওইচ টিভিতে সেটিং করতে পারবেন।
ভিসুয়াল এলিমেন্টঃ
TV সাইজঃ আপনারা রুম অনুসারে টিভির সাইজ দেখুন
আপনারা জন্য সঠিক টিভির সাইজ আপনাকে ভাল সিনেমা দেখার বা ইম্প্রেশিভ টিভি দেখার অভিজ্ঞতা দেবে। একটি বড় টিভি অনেক বেশি ইম্প্রেসিভ টিভি দেখার অভিজ্ঞতা দেবে। টিভি 19 ইঞ্চি থেকে শুরু করে 85 ইঞ্চি সব রকমের সাইজে পাওয়া যায়। আপনার ঘরের অনুসারে টিভি ক্যাবিনেট বা স্ট্যান্ড নিন। আর একটি 4k টিভি 43 ইঞ্চির বড় টিভি হয়।
এখানে এর মধ্যে কোনটি আপনাদের জন্য সেরা সেই বিষয়ে আমরা একটি তালিকা নিয়ে এসেছি।
S.No. | Screen Size (Diagonal in Inch) | Width (inch) | Height (inch) | Assumed Resolution | Modified Viewing Distance |
1 | 24 inch | 21-24 inches | 13.5 – 15 inches | HD Ready | 3-6 ft |
2 | 32 inch | 29 – 35 inches | 18 – 20 inches | HD Ready | 4-8 ft |
3 | 40 inch | 36 – 38 inches | 21.5 – 23 inches | FHD | 5-10 ft |
4 | 43inch | 39 – 44 inches | 23 – 26.5 inches | FHD | 5-10 ft |
5 | 49inch | 43 – 44 inches | 25 – 28 inches | FHD | 6-12 ft |
6 | 55inch | 49 – 50 inches | 28 – 31 inches | FHD | 8- 13ft |
7 | 43inch | 39 – 44 inches | 23 – 26.5 inches | 4K UHD | 4-10 ft |
8 | 55inch | 49 – 50 inches | 28 – 31 inches | 4K UHD | 6 – 13 ft |
9 | 65 inch | 58 – 65 inches | 33 – 48 inches | 4K UHD | 8-15 ft |
পোর্ট আর ক্যাপাবেলিটিস
টিভির পোর্ট অন্য ডিভাইসের কন্টেন্ট অ্যালাউ করে আর এটি টিভির ইন্টিগ্রেটেড কেন্টারটেনমেন্ট হাবে দেখা যায়। বেশি পোর্ট নিশ্চিত করে যে আপনার টিভিতে কেবেল দরকার নেই আপনারা সেটটপ বক্সে মাধ্যমেও গেমও খেল তে পারবেন।
পোর্ট গুলি আপনাদের অন্য ডিভাইস থেকে অনেক ইনপুট আর আউটপুট অফার করে। আর এই ইনপুট আউটপুটের কিছু স্পেসিফিক টাইপও আছে।
অন্যতম দরকারি পোর্ট টাইপ হল HDMI পোর্ট। আর এটি ডিজিটাল কেবেলের মাধ্যমে ভিডিও আর সাউন্ড সিগন্যাল বা গেমিং কন্সোল সাপোর্ট করে। আর এগুলি ব্লু রেয়ার প্লেয়ার, ফায়ার TV বা ল্যাপটপের সঙ্গে কানেক্ট করা যায় এর মাধ্যমে। USB পোর্ট ফায়ার টিভির মতন পাওয়ার ডিভাইস কানেক্ট করতে সাহায্য করে। VGA পোর্টও থাকে টিভিতে।
একটি RCA পোর্ট SD সেটের জন্য ভাল। একটি HD সেটটপ বক্স HMDI পোর্ট যুক্ত হয়।
টিভি কানেক্ট করার জন্য HDMI সব থেকে ভাল অপশান।
স্মার্টটিভিঃ সারা বিশ্বের কন্টেন্ট
স্মার্টটিভি আপনাকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন কন্টেন্ট স্ট্রিমের অনুমতি দেয়। এখন একটি স্মার্টটিভিকে আপনারা একটি বড় স্মার্টফোন হিসাবে ভাবতে পারেন। এতে নেটফ্লিক্স, হটস্টারের মতন অ্যাপও পাবেন।
অপারেটিং সিস্টেম
একটি ভাল অপারেটিং সিস্টেম ব্যাবহার করা সহজ হয়। স্মার্টফোনের মতন স্মার্টটিভিও অপারেটিং সিস্টেমে চলে। এই সময়ে সব থেকে জনপ্রিয় হল অ্যান্ড্রয়েড স্মার্ট টিভি। আর এটি প্যাচওয়েল নামে পরিচিত। এটি অ্যান্ড্রয়েডের অপারেটিং সিস্টেম যা গুগলের দ্বারা সার্টিফায়েড। এটি গুগল গেম বা গুগল মিউজিক সাপোর্ট করে।
আপনার ফোনের কন্টেন্ট প্লে করা
আপনারা ফোনের ভিডিও বা ছবি এখানে দেখতে পারবেন।
কিছু টিভিতে বিল্ট ইন ফিচার থাকে যা ফোন থেকে কন্টেন্ট নিতে পারে। এদের ‘মিরারিং’ বলা হয়। এই ফিচার আপনাকে আপনার ফোন থেকে সিনেমা ইত্যাদি বড় স্ক্রিনে দেখার অনুমতি দেবে।
প্রায় সব স্মার্টটিভিই আপনার ফোন থেকে মিরারের অনুমতি দেয়।
সাউন্ড
বেশি ভাল স্পিকার বেশি ভাল সাউন্ডের অভিজ্ঞতা দেয়।
সাধারনত সাউন্ড ওয়াটে মেজার করা হয়। সাধারত টিভির সাউন্ড 10-20w য়ের মধ্যে থাকে। বেশির ভাগ টিভি দুটি স্পিকার যুক্ত হয়।
কিছু টিভির স্পিকার ডল্বি ডিজিটয়াল THX সার্টিফায়েড হয়। আর এর মানে এই যে আপনার সেটটপ বক্স বা ব্লু রে থেকে স্ট্রিম হয় তবে আপনার টিভি এর স্পেশাল সাউন্ড দিতে পারবে।
এই সময়ের বেশিরভাগ টিভিই থিন প্যানেলের হয় আর এরা অ্যাকুয়েরেটির ক্ষেত্রে যে খুব ভাল কাজ করে তা নয়। আর এক্ষেত্রে আপনাদের হোম থিয়েটার অ্যাড করতে হবে।