আর এক মাস পরেই দীপাবলি। পুজোও প্রায় এসেই গেল। তার আগেই দেশের চারটি মহানগরীতে চালু হতে চলেছে 5G পরিষেবা। তবে এই গোটা বিষয় নিয়ে মানুষের মনে একাধিক বিষয়ে নানান প্রশ্ন আসছে। 4G সিমেই কি 5G পরিষেবা পাওয়া যাবে, অতিরিক্ত কত টাকা লাগবে ইত্যাদি।
বর্তমানে গোটা দেশ জুড়ে রিলায়েন্স জিও (Reliance Jio) এবং এয়ারটেলের (Airtel) অসংখ্য গ্রাহক আছে। আর এই দুটি সংস্থাই খুব শীঘ্রই দেশে 5G পরিষেবা আনতে চলেছে। সেই কথা দুই কোম্পানির তরফেই ঘোষণা করা হয়েছে। তবে Jio এবং Airtel এর তরফে এই পরিষেবার জন্য বেশি টাকা নেওয়া হবে না বলেই জানানো হয়েছে। অর্থাৎ 4G ট্যারিফেই গ্রাহকরা 5G এর মতো ভালো পরিষেবা পাবেন। আপাতত ভারতের চারটি শহর, দিল্লি, কলকাতা, মুম্বাই এবং চেন্নাইয়ে 5G পরিষেবা চালু করার প্রস্তুতি চলছে।
ভারতে এখন 5G ফোনের সংখ্যা ভীষণই সীমিত। এবং এই 5G স্মার্টফোনগুলোর অধিকাংশই নির্দিষ্ট স্পেকট্রাম ব্যান্ড সাপোর্ট করে না। ফলে প্রাথমিক ভাবে 5G পরিষেবার জন্য গ্রাহক পাওয়া বেশ কঠিন বিষয় হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই এই দুই সংস্থাই আলাদা ভাবে 5G পরিষেবা চালু করবে না, তার বদলে এখন যে প্ল্যানগুলো আছে তাতে নির্বাচিত গ্রাহকদের 5G পরিষেবা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
4G থেকে 5G আপগ্রেডেশন এর জন্য নতুন সিম নিতে হবে না। শুধু টেলিকম অপারেটরদের জানাতে হবে যে আপনার কাছে একটি 5G Phone আছে। এটা জানালেই আর সমস্যা হবে না। টেলিকম সংস্থাগুলো এই অবস্থায় স্রেফ একটা মেসেজ পাঠিয়ে সরাসরি 4G থেকে 5G তে রূপান্তর করে দেবে।
জিও এবং এয়ারটেল প্রায় একই সঙ্গে দেশে 5G পরিষেবা আনতে চলেছে। 29 আগস্ট মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) ঘোষণা করেছে যে দীপাবলির সময় এই সংস্থা দেশে দিল্লি, কলকাতা, মুম্বাই এবং চেন্নাইয়ে 5G পরিষেবা আনতে চলেছে। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন 2023 সালের ডিসেম্বরের মধ্যে গোটা ভারতে এই 5G পরিষেবা চালু হয়ে যাবে। অন্যদিকে এয়ারটেলের তরফে জানানো হয়েছে যে অক্টোবরের মধ্যেই তারা 5G পরিষেবা চালু করতে চলেছে। 2024 সালের মার্চের মধ্যে তারা দেশের 5000 এর অধিক সংখ্যক জায়গায় এই 5G পরিষেবা পৌঁছে দিতে চায়। তবে গোটা বিষয়ে Vodafone Idea এখনও কিছু জানায়নি।