1 অক্টোবর ভারতে লঞ্চ হয়ে গিয়েছে 5G পরিষেবা। ইন্ডিয়ান মোবাইল কংগ্রেসের অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এই পরিষেবা লঞ্চ করেন। দেশের এখন কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চলেই কেবল 5G পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে। Jio এবং Airtel আপাতত ভারতে 5G পরিষেবা লঞ্চ করেছে। কিন্তু এই দুই টেলিকম কোম্পানি দেশের মাত্র কয়েকটি শহরেই তাদের পরিষেবা চালু করেছে। হলে কী হবে, যতই 5G পরিষেবা চালু হোক এখনও অবধি কোনও প্ল্যান প্রকাশ্যে আসেনি। কিন্তু গ্রাহকদের এটা বলা হয়েছে যে তাঁরা 4G এর সিম এবং ডেটা প্যাকেই 5G পরিষেবা পাবেন। ফলে এখন গোটা দেশ জুড়ে 5G পরিষেবার প্ল্যানের দাম কত হবে সেসব নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছে।
Airtel, এবং Jio দুই কোম্পানির তরফে জানানো হয়েছে যে দেশে যতদিন না পুরোপুরি ভাবে 5G চালু করা হচ্ছে ততদিন গ্রাহকরা এমনই 5G পরিষেবা পাবেন। আর এখানেই গ্রাহকদের মনে প্রশ্ন উঠছে যখন 5G পুরোদমে রোল আউট করে যাবে তখন কি নতুন প্ল্যান নিতে হবে 5G পরিষেবার জন্য? একেবারেই তাই। 4G এর যা প্ল্যান আছে সেটা তেমনই থাকবে কিন্তু 5G পরিষেবার জন্য নতুন করে প্ল্যান আনবে প্রতিটা টেলিকম সংস্থা এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
এখনও Airtel বা Jio কেউই জানায়নি যে তাদের 5G পরিষেবার প্ল্যানের দাম কেমন হবে। কিন্তু এটা সকলেই অনুমান করছেন যে 4G এর তুলনায় 5G দাম অনেকটাই বাড়বে। তবে হ্যাঁ এটা ঠিক, এখন যেমন আমরা 4G প্ল্যানগুলো একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর পর রিচার্জ করি, তেমনই 5G প্ল্যান হবে।
Airtel তার সমস্ত গ্রাহকদের 5G পরিষেবা দিচ্ছে শুধু একটি 5G স্মার্টফোন থাকলেই। কিন্তু জিও এক্ষেত্রে একটা নির্দিষ্ট সীমা বেঁধে দিয়েছে। যাঁরা 239 টাকার কম রিচার্জ করছেন তাঁরা 5G এর সুবিধা পাবেন না। আপনাকে অন্তত 239 টাকার রিচার্জ করতেই হবে 5G এর সুবিধা আপাতত পেতে গেলে।
কিন্তু আদতেই কত দাম হবে 5G প্ল্যানের সেটা এখনও কোনও টেলিকম সংস্থা জানায়নি। এর নেপথ্যে কারণ এয়ারটেলের এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন যে, যেহেতু ভারতে এখন 5G ব্যবহারকারীর সংখ্যা ভীষণই সীমিত সেহেতু আলাদা করে কোনও প্ল্যান আনা হবে না। যখন 5G প্ল্যান আনা হবে তখন সমস্ত প্ল্যানকে নতুন করে সাজানো হবে বলেই খবর। 4G এর তুলনায় অনেকটাই বেশি স্পিড মিলবে 5G তে। এর ফলে দামও গ্রাহকদের বেশি দিতে হবে।