যাদের 4G তে আর মন ভরছে না, তাদের জন্য রয়েছে সুখবর! Depertment of Telecom জানিয়েছে, এই বছরেই লঞ্চ হতে চলেছে 5G পরিষেবা। রিপোর্ট অনুযায়ী, 2022 এর মাঝামাঝি 5G স্পেকট্রাম ডিস্ট্রিবিউশন প্রসেস শুরু হবে। যদিও এই স্পেকট্রাম ডিস্ট্রিবিউশন প্রসেস শুরুর অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডার কোম্পানিগুলি 5G নিয়ে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করেছে। কলকাতার পাশাপাশি দেশের সব বড় শহরগুলিতে করা হয়েছে টেস্ট।
বিশেষ সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে যে, প্রথমে 13 টি শহরে এই পরিষেবা শুরু হবে। বিভিন্ন কোম্পানির 5g টেস্টিং এর সময় Jio কোম্পানির টেস্টিং এর একটি ছবি ভাইরাল হয়েছিল। যা থেকে 5G বিষয় বিভিন্ন ডেটা জানা যায়।
Jio এর 5G টেস্টিং এর একটি স্ক্রিনশট দেশের এক বড় নিউজ মিডিয়া খুজে পায়। সেই মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, Jio 5G এর মাধ্যমে Jio তার গ্রাহকদের 420 Mbps ডাউনলোড স্পিড ও 412 Mbps আপলোড স্পিডের সুবিধা দেবে। এর latency Jio 4G এর দিয়ে অনেকটাই কম।
Jio 4G এর সাথে 5G স্পিডের তুলনা করলে দেখা যাবে 4G এর দিয়ে 5G প্রায় 10 গুণ স্পিড দেবে। কারণ Jio 4G এর ডাউনলোড স্পিড 46.82 Mbps এবং আপলোড স্পিড মাত্র 25.31 Mbps। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন 5G এর স্পিড 4G এর থেকে প্রায় 15 গুণ বেশি হতে চলেছে।
বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন স্পিড এতো বেশি হবেনা। কারণ, লিক হওয়া স্ক্রিনশটটি টেস্টিং এর রেজাল্ট। এই সময় কেউ এই নেট ব্যবহার করছে না। কিন্তু 5G লঞ্চ করলে দেশের সবচেয়ে বেশি ইউজড নেটওয়ার্ক এর গ্রাহকরা সবাই 5G তেই শিফট করবে। অর্থাৎ 5G গ্রাহকের সংখ্যা ছাড়াবে কোটিরও বেশি। সুতরাং 5G এর স্পিড কোনোভাবেই 420 Mbps হওয়া সম্ভব নয়।
এছাড়াও, স্ক্রিনশটের টেস্টটি হয়েছিল মুম্বাই শহরে। সেখানকার সার্ভারের স্পিড আর অন্য শহরের সার্ভারের স্পিড এক হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম। এবিষয় বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যখন4G এর টেস্টিং হয় 2016 সালে, তখন স্পিড উঠেছিল প্রায় 135 Mbps। কিন্তু যখন এটি লঞ্চ করা হল এবং অসংখ্য মানুষ ব্যবহার করা শুরু করলো এর স্পিড 20-30 Mbps-এ নেমে আসে।
5G লঞ্চ করার বিষয় Reliance Jio সবচেয়ে এগিয়ে, লঞ্চ হতে পারে 2022 এর মাঝামাঝি সময় । যদিও, শোনা যাচ্ছে Vodafone-Idea এবং Airtel ও খুব শীঘ্রই 5G পরিষেবা আনতে চলেছে। রিউমর অনুযায়ী, 2022 সালের শেষে অথবা 2023 সালের শুরুর দিকে আসতে পারে Vi 5G এবং Airtel 5G। অপরদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের BSNL এখনও পর্যন্ত 4G নেটওয়ার্ক-ই চালু করে উঠতে পারেনি। দীর্ঘদিন ধরে তর্ক-বিতর্ক চললেও কবে এটি BSNL গ্রাহকদের জন্যে আসবে, তা জানা যায়নি।