BSNL 4G লঞ্চ করতে চলেছে শীঘ্রই। এবং তারা 4জি লঞ্চ করার পরই ভারতের টেলিকম ইন্ডাস্ট্রির চেহারা আমূল বদলে যেতে বসেছে যে তা বলাই যায়। বিএসএনএলের সিএমডি, পিকে পারওয়ার জানিয়েছেন বিএসএনএল তৈরি হচ্ছে এই বছরের আগস্টে 4জি লঞ্চ করার জন্য। এবং এই বছরের শেষের মধ্যে গোটা দেশ জুড়ে বিএসএনএলের 4জি লঞ্চ করে যাবে। এবং বিএসএনএল এবার সরাসরি প্রাইভেট টেলিকম সংস্থাগুলোকে টেক্কা দেবে।
অনেকগুলো বছর হয়ে গেল ভারতের টেলিকম ইন্ডাস্ট্রিতে তেমন নতুন কোনও সার্ভিস লঞ্চ করেনি। এরপর এই ইন্ডাস্ট্রিতে যে বড় পরিবর্তনটা আসবে সেটা 5জির লঞ্চ নয়, বরং বিএসএনএলের 4জি নেটওয়ার্ক। ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড বা বিএসএনএল রাষ্ট্র দ্বারা চালিত একটি সংস্থা, তো তারা যদি 4জি নেটওয়ার্ক লঞ্চ করে তাহলে সেটা দেশের টেলিকম ব্যবস্থাকে আমূল বদলে দেবে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
ইউজাররা জিও, এয়ারটেল, ভিআইয়ের সঙ্গে আরও একটা অপশন পাবেন। বিএসএনএলের বিজনেস মডেল যেহেতু একটু অন্য ধরনের সেহেতু তারা সম্পূর্ন প্রফিট কেন্দ্রিক নয়। যদিও তারা চলে আমাদের ট্যাক্সের টাকাতেই, তবুও তাদের প্ল্যান ইত্যাদি প্রাইভেট সংস্থাগুলোর থেকে অনেকটাই কম হয়ে থাকে। আর প্রাইভেট টেলিকম সংস্থাগুলো গ্রামে সাধারণত সার্ভিস প্রোভাইাড করে না, বিএসএনএল কিন্তু সেটা করবে।
22 এর আগস্টের মধ্যেই বিএসএনএল 4জি লঞ্চ করবে। বিএসএনএল সিএমডি পিকে পারওয়ার আরও জানিয়েছেন এই বছরের শেষের মধ্যে গোটা দেশ জুড়েই লঞ্চ করে যাবে এই নেটওয়ার্ক।
এখন প্রাইভেট টেলিকম সংস্থাগুলোর রাজ চলে টেলিকম ইন্ডাস্ট্রিতে। এই মুহূর্তে বিএসএনএল তাদের কম্পিটিটর হিসেবে এলে ছবিটা হয়তো বদলাবে। বিএসএনএল অনেক সমস্যা সমাধান করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। বিএসএনএল যদি ভাল মানের 4জি নেটওয়ার্ক দেয় এবং ভবিষ্যতে 5জি লঞ্চ করে তাহলে বর্তমানে ভারতের টেলিকম ইন্ডাস্ট্রির যে ছবি সেটা সম্পূর্ন যে বদলে যাবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
সি ডট বা সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অফ টেলিম্যাটিক্স এবং আর অ্যান্ড ডি আর্ম অফ ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকমিউনিকেশন কাজ করছে যাতে ভারতের নিজস্ব 5জি নেটওয়ার্ক বাজারে আনা যায়।
বিএসএনএলের উত্থান এখন পুরোপুরি নির্ভর করছে তাদের হাতেই যে তারা কত ভাল সার্ভিস দেবে, তারা কবে 4জি এবং 5জি লঞ্চ করবে। 5জি লঞ্চ করলে একদম নতুন ধরনের একটা রেভিনিউ আয় করা শুরু করবে বিএসএনএল। 4জি লঞ্চ করার সঙ্গে যে তাদের গ্রাহকের সংখ্যা বাড়বে তাও বলা যায়।