বিগত কয়েকদিন ধরেই Airtel এর গ্রাহকরা কল ড্রপ সমস্যায় ভুগছিলেন। কিন্তু রবিবার দিন যেন সমস্ত অসুবিধাই ছাপিয়ে গেল এই টেলিকম সংস্থা। এদিন Airtel এর যত গ্রাহক ছিলেন কলকাতায় তাঁরা এক অদ্ভুত রাতের সাক্ষী থাকলেন। আচমকাই ফোন থেকে উড়ে গেল নেটওয়ার্ক! (Airtel Down)। তবে যে এমনটা খালি টেলিকম সার্ভিস গ্রহণকারীদের এই সমস্যা হয়েছিল সেটা নয়, ব্রডব্র্যান্ডের গ্রাহকদেরও মুখোমুখি হতে হয়েছিল এই উদ্ভট পরিস্থিতির।
ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম এবং ব্রডব্র্যান্ড পরিষেবা দিয়ে থাকে যে সংস্থা সেই Airtel এর বিরুদ্ধে তার গ্রাহকরা ক্ষোভ উগড়ে দেয় টুইটারে (Twitter)। তবে এমন পরিস্থিতির শিকার যে কেবল কলকাতার গ্রাহকরাই হয়েছেন সেটা নয়, উত্তরপাড়া, বালি, ব্যারাকপুর থেকেও একই সমস্যার অভিযোগ এসেছে।
বিভিন্ন এলাকার গ্রাহকরা সেদিন রাত এগারোটার পর থেকেই অভিযোগ করতে শুরু করেন যে তাঁরা নেটওয়ার্কের সমস্যায় ভুগছেন। Airtel এর ব্যাপক সংখ্যক গ্রাহক এই সমস্যার মধ্যে পড়েছিলেন। যদি কিছু কিছু গ্রাহকরা এমন কোনও সমস্যার সম্মুখীন হননি। তাঁদের ফোনে আগের মতোই স্বাভাবিক পরিষেবা চালু ছিল।
বেশ কয়েক ঘণ্টা ভোগান্তির পর রাত দুটো থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে। কিন্তু তাতে মোটেই শান্ত হননি গ্রাহকরা। এতক্ষণ যে তাঁদের ভোগান্তির শিকার হতে হল সেই কথা বারংবার তাঁরা টুইটারে পোস্ট করতে থাকেন। বয়ে যায় মিমের বন্যা। কোম্পানির তরফে জানানো হয় নেটওয়ার্ক না ফিরলে গ্রাহকরা যেন ফোন রিস্টার্ট করেন। এমনটা এক গ্রাহক অভিযোগ জানানোর পর তাঁর পোস্টে এই টেলিকম সংস্থা জানায়।
যদিও বেশ কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন টেলিকম সংস্থার গ্রাহকরা নানান সমস্যায় ভুগছেন, যেমন কল ড্রপ, খারাপ এবং স্লো নেটওয়ার্ক, ইত্যাদি। কিন্তু রবিবার রাতে যেটা হল তাতে অনেকেই স্তম্ভিত! Airtel এর গ্রাহকরা এভাবে পরিষেবা স্তব্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে কারও সঙ্গেই যোগাযোগ করতে পারছিলেন না, যাঁরা রাতে কাজ করেন তাঁরাও সমস্যায় পড়েন।
Airtel এর গ্রাহকরা কিছুতেই মনে করতে পারছেন না যে শেষ কবে এভাবে সমস্যায় পড়েছিলেন তাঁরা। বিশেষ করে ডেটা অফ কবে হয়েছিল তাও আগে থেকে কিছু না জানিয়েই। প্রিপেইড, পোস্টপেইড- দুই গ্রাহকদের এই সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছিল। কিন্তু কেন এমনটা হয়েছিল সেই বিষয় কিছুই জানায়নি এই সংস্থা।