জিও-র ফ্রি-অফারে গত কয়েক মাস ধরেই তপ্ত ভারতীয় টেলিকম ক্ষেত্র। রিলায়েন্সের মোবাইল সংস্থাটির বিরুদ্ধে হেন জায়গা নেই যেখানে প্রতিযোগী অন্য মোবাইল সংস্থাগুলি নালিশ করেছে।
মঙ্গলবার জিও নিয়ে মুকেশ অম্বানির সাংবাদিক সম্মেলনের কথা জানাজানি হতেই কানাঘুষো শুরু হয়। মাত্র ২০ মিনিটের জন্য এদিন বক্তব্য রাখেন রিলায়েন্স জিও-র কর্ণধার। তার মধ্যেই জিও-র গ্রাহক সংখ্যা ১০ কোটি ছুঁয়ে যাওয়ায় অভিনন্দন জানান। আর এর পরেই সেই ঘোষণা।
মাত্র ৩০৩ টাকায় জিও-প্রাইম নামে যে অফার রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রি বাজারে নিয়ে আসতে চলেছে, তা আসলে ‘ফ্রি-অফার’- বলেই মনে করছেন অধিকাংশ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী। কারণ, জিও-প্রাইমেও আনলিমিটেড জিও-ভয়েসকল করা যাবে। এমনকী, ইন্টারনেট ডেটা ব্যবহারেও বিধিনিষেধ থাকবে না বলে ঘোষণা করেন মুকেশ।
বলতে গেলে, জিও নিয়ে মুকেশের ঘোষণার পরই মোবাইলের শেয়ারবাজারে ওঠা-নামা হতে থাকে। মুহূর্তের মধ্যে এয়ারটেল ও আইডিয়ার ৩ শতাংশ করে শেয়ারের মূল্য পড়ে যায়। জানা যায়, মুম্বই স্টক এক্সচেঞ্জে এয়ারটেলের শেয়ারে সূচক পড়ে ৪ শতাংশ। আইডিয়ার শেয়ারের মূল্য পড়ে যায় ২ শতাংশ।
শেয়ার বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জিও-র নয়া ঘোষণা কিছুটা হলেও বাজারে একটা অস্থিরতা তৈরি করেছে। যার জেরে দাম পড়েছে এয়ারটেল, আইডিয়ায়। জিও-র জন্য ব্যবসা গুটিয়ে পালানোর পরিস্থিতি হয়েছে, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দফতরে এমনই বয়ান দেয় এয়ারটেল। এদিন যেভাবে তাদের শেয়ারের দাম পড়ল, তাতে এয়ারটেল কি প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেয় সেটাই এখন দেখার।