ভারতে এক টানা বেশ কয়েকদিন ধরে 5G স্পেকট্রাম নিলাম চলল। অবশেষে কয়েকদিন আগে তা শেষ হয়েছে। আর এর মধ্যেই বিভিন্ন সংস্থা দ্রুত 5G network পরিষেবা চালু করার প্রতিশ্রুতি দিতে শুরু করেছে। Airtel এর তরফে জানানো হয়েছে চলতি মাসেই তারা 5G পরিষেবা চালু করবে। বিশেষ পিছিয়ে নেই Jio, Vodafone-Idea। 5G চালু হয়ে গেলে অনেক বেশি স্পিড পাওয়া যাবে। তবে এক্ষেত্রে একটা আশঙ্কার মেঘও উঁকি দিচ্ছে। 5G চালু হলে কি তবে 4G স্মার্টফোন বন্ধ হয়ে যাবে? সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে এখন।
5G Spectrum Auction এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার 1.5 কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। আগামী 20 বছরের জন্য 5G এর সত্ব বিক্রি করেছে সরকার। এই নিলাম এয়ারটেল 43084 কোটি টাকা, Reliance Jio 88078 কোটি টাকা এবং ভোডাফোন আইডিয়া 18799 কোটি টাকা খরচ করেছে। এই তিনটি টেলিকম সংস্থাই এই নিলামে অংশ নিয়েছিল। আপাতত দেশের 13টি শহরে চালু করা হবে 5G network পরিষেবা।
5G এর অর্থ হল পঞ্চম জেনারেশন। এর আগে একে একে লঞ্চ হয়েছে 2G, 3G এবং 4G। আজ থেকে দশ বছর আগে 4G পরিষেবা লঞ্চ করা হয়েছিল। এই 4G চালু হওয়ার পর কিন্তু 2G কিংবা 3G পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়নি। আগের মতোই চলেছে। একমাত্র Jio ছাড়া অন্যান্য সমস্ত টেলিকম সংস্থা আজও তাদের 2G পরিষেবা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের একটা বড় সংখ্যক মানুষ আজও 2G ফোন ব্যবহার করেন। তাঁরা এই 2G পরিষেবার উপরেই নির্ভরশীল। তাছাড়া আজও দেশের অনেক জায়গাতেই 4G পৌঁছয়নি। অধিকাংশ জায়গাতেই 2G একমাত্র ভরসা। সেখানে এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে 5G এলেও অন্যান্য পরিষেবাগুলো বহাল তবিয়তে থাকবে।
সব সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে 5G এলেও বন্ধ হবে না 4G। সেটা চলবে। ফলে আপনার পুরনো 4G স্মার্টফোন সানন্দেই চলবে। ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। এই বিষয়ে জেনে রাখুন এখন, আপাতত দেশের মোট 13 শহরে শুরু হচ্ছে 5G পরিষেবা। গোটা দেশে এই পরিষেবা চালু হতে এখনও বহু সময় লাগবে। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় যেমনটা বলা হচ্ছে যে 5G এলে 4G এর স্পিড কমে যাবে। তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে উঠবে এটা একদম ভুল। আপনি নিশ্চিন্তে আপনার 4G ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ 5G network নিলে তার জন্য 5G ফোন থাকা বাধ্যতামূলক।