iPhone 14-এর ভার্চুয়াল সিম সম্পর্কে এই বিষয়গুলো জানেন? eSIM কী ধারণা আছে?
আমেরিকার আইফোন 14 ভ্যারিয়েন্টে আছে ESIM
এই সিমের সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান থাকা প্রয়োজন
কীভাবে এটাকে অ্যাক্টিভেট করা যাবে বা ব্যবহার করা যাবে দেখে নিন
অ্যাপেলের (Apple) নয়া চমক। iPhone 14 সিরিজের ফোনগুলোতে এই কোম্পানি সিম কার্ডের স্লট বাদ দিয়ে দিয়েছে স্মার্টফোনের গোটা দুনিয়াকে চমকে দিয়ে! তার বদলে দেওয়া হয়েছে eSIM। তবে এই সুবিধা এখনও ভারত বা অন্যান্য দেশে এটা উপলব্ধ হয়নি। মার্কিন টেক জায়েন্ট অন্যান্য দেশে iPhone 14-তে eSIM দেয়নি। তবে এই বিষয়ে উল্লেখযোগ্য, এবার প্রথমবার কেবল eSIM স্লট যুক্ত মডেল আনলেও অ্যাপেলের তরফে eSIM এর কথা 2018 সালেই ঘোষণা করা হয়েছিল অ্যাপেলের তরফে।
যখন এই সংস্থা Apple Watch 3 LTE লঞ্চ করে তখনই eSIM এর কথা প্রকাশ্যে এনেছিল অ্যাপেল। আর এর পর থেকেই আইফোনে eSIM দিতে শুরু করে এই কোম্পানি। তবে তখন এই eSIM এর সঙ্গে দেওয়া হতো একটি ফিজিক্যাল সিমের জায়গা, আরেকটা eSIM এর জায়গা।
দীর্ঘদিন ধরেই ভারতেও এই বিষয়টা নিয়ে বেশ আলোচনা চলেছে। ভারতের টেলিকম সংস্থাগুলো যেমন Jio, Airtel, Vodafone Idea এখনই আইফোনের জন্য eSIM পরিষেবা অফার আনতে চলেছে। ভারতের গ্রাহকরা এই eSIM এর স্লট অ্যাক্টিভেট করেন না। কিন্তু যেই অ্যাপেল তাদের আইফোন 14 মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মডেলে কেবল eSIM এর স্লট আনল তখন আরও একবার বিষয়টা নিয়ে চর্চা শুরু হল।
কিন্তু এই eSIM জিনিসটা কী আসলে?
Embeded subscriber indentity module হচ্ছে এই eSIM শব্দের পুরো অর্থ। এটা আসলে একটি ভার্চুয়াল সিম কার্ড। এই ভার্চুয়াল সিম কার্ড ফোনের মধ্যে এম্বেড করে দেওয়া হয়। আর যেই ফোনে eSIM এর ব্যবস্থা করা থাকে সেখানে এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বিষয়টা সহজে যদি বুঝতে চান তাহলে এটা অনেকটা ইন্টারনাল মেমোরির মতো। এটাকে এক্সটেন্ড করা যাবে না, কিন্তু এতে তথ্য সেভ করা যাবে। বিভিন্ন টেলিকম অপারেটরদের দ্বারা অর্থাৎ জিও, এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়ার মতো সংস্থা সাহায্য করে eSIM এর জন্য সিম কার্ড ডিজিটাল ভাবে স্থানান্তরিত করতে এবং একই সঙ্গে অ্যাক্টিভেট করতেও সাহায্য করে থাকে।
তবে হ্যাঁ এই বিষয়ে অবশ্যই যেটা বলা উচিত সেটা হল, এই eSIM এর সঙ্গে কিন্তু ইন্টারনেটের কোনও সংযোগ নেই নেতা কেবল আপনার সিমের একটি ডিজিটাল কপি। তবে হ্যাঁ, আপনি যেই ভার্চুয়াল সিম বা eSIM চালু করবেন অমনি আপনার ফিজিক্যাল সিম বন্ধ হয়ে যাবে। দুটো একসঙ্গে চালু থাকতে পারবে না। আবার দুটি ফোনেও একই eSIM চালু রাখা যাবে না। কিন্তু আপনি চাইলে অবশ্যই আপনার ফোনের সঙ্গে স্মার্টওয়াচে এই একই eSIM এর তথ্য ভাগ করে নিতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি আইফোন এবং অ্যাপেল ওয়াচ LTE এর সঙ্গে একই eSIM এর তথ্য ভাগ করে নিতে পারবেন।
ফিজিক্যাল সিম যেভাবে প্রতিস্থাপন করা যায় eSIM এ কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। যদি আপনি সেটা করতে চান তাহলে আপনাকে যেতে হবে টেলিকম অপারেটরের কাছে।
এই eSIM এর সুবিধা আর অসুবিধা কী?
প্রথমত দীর্ঘদিন ফিজিক্যাল সিম ব্যবহার করার পর আচমকা eSIM ব্যবহার করতে শুরু করলে আপনি সেটাকে মিস করতে শুরু করবেন। বা আপনার ফোন যদি খারাপ হয়ে যায় আপনি তার থেকে কিন্তু আর সিম বের করে নিতে পারবেন না। এছাড়া আপনি দেশে বিদেশে ঘোরার সময় যদি একটি সিম কার্ডের স্লট ছাড়াই ফোন ব্যবহার করেন তখন বিদেশের এয়ারপোর্টে গিয়েই স্থানীয় সিমের সঙ্গে ভার্চুয়াল সিম বদলাতে পারবেন না। সামান্য কোনও প্রয়োজনের জন্যও আপনাকে যেতে হবে টেলিকম অপারেটরদের কাছে।
তবে এটার সুবিধা হচ্ছে, আপনার ফোন যদি চুরি হয়ে যায় তখন আপনার ফোন আর কোনও ভাবেই ব্যবহার যোগ্য থাকবে না, কারণ এতে সিম ঢোকানোর বা বদলানোর জায়গা থাকবে না। ফলে আপনার ফোনের উপর সেই মালিকানা ফলাতে পারবে না।