আমরা অনেক সময়ই বাড়ি থেকে ফোন ফুল চার্জ দিয়ে বেরোই না। এর ফলে অর্ধেক রাস্তা গিয়ে, বা সারাদিন কাজের পর ফোনের চার্জ শেষ হয়ে যায়। এবার ধরুন বাড়ি বা অফিসে নয় পথে চার্জ শেষ হল, এদিকে জরুরি কল করার আছে আপনার। তখন কী করবেন? পাবলিক প্লেসে চার্জ দেওয়ার জায়গা থাকলে নিশ্চয় দেবেন? আজকাল তো হামেশাই বাস স্ট্যান্ড, এয়ারপোর্ট কিংবা স্টেশনে এমন পাবলিক চার্জিংয়ের ব্যবস্থা দেখা যায়। অনেকে চার্জও দেন। আপনারও যদি এই পাবলিক চার্জার পয়েন্ট থেকে চার্জ দেওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে এখনই সতর্ক হন!
পাওয়ার ব্যাংক না থাকলে পাবলিক প্লেসে চার্জ দেওয়ার অভ্যাস ছাড়ুন। কারণ এখন OTP এর মাধ্যমে লোক ঠকানোর যে অভ্যাস ছিল সেটা পুরনো হয়ে গিয়েছে। এখন নতুন যুগে এসেছে নতুন সাইবার ক্রাইমের পদ্ধতি। আপনি যে পাবলিক চার্জিং প্লেস থেকে চার্জ দিলেন সেখানে লাগানো থাকে মাইক্রো চিপ। আর এভাবেই আপনার ফোনের তথ্য আপনার অজান্তেই চলে যাচ্ছে প্রতারকদের কাছে।
আমরা যত বেশি টেক নির্ভর, টেক স্যাভি হয়ে উঠছি তত বেশি চালাক হয়ে উঠছে প্রতারকরা। আবিষ্কার করছে নিত্য নতুন প্রতারণার ফাঁদ। আগে যেমন OTP -এর মাধ্যমে প্রতারণা করা হতো এখন সেটা পুরনো হয়ে গিয়েছেন সাধারণ মানুষ অনেকটাই সচেতন হয়ে গিয়েছেন। তাই নতুন উপায়ে মানুষ ঠকানোর পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে প্রতারকরা। পাবলিক চার্জিং পয়েন্টকে বেছে নিয়েছে তারা। আর এই ফাঁদের নাম দেওয়া হয়েছে জুস জ্যাকিং।
এটি একটি অত্যন্ত ভয়ংকর লোক ঠকানোর পদ্ধতি। বিভাস চট্টোপাধ্যায়, একজন সাইবার বিশেষজ্ঞ এই বিষয়ে বলেছেন যে আমরা অনেক সময় রাস্তায় বেরিয়ে পথে ঘাটের যে কিয়স্ক আছে সেখান থেকে চার্জ দিই। আর এই চার্জ দেওয়ার সময় যে USB কেবিল ব্যবহার করেছি সেখানে প্রতারকরা OMG কেবিল লাগিয়ে রাখে। আর এই কেবিলের সাহায্যে তারা আমাদের ফোনের নানা তথ্য নিয়ে নিতে পারে। শুধু তাই নয়। আমাদের অজান্তে আমাদের ফোনে ম্যালওয়্যার পর্যন্ত ঢুকিয়ে দিতে পারে। তাই আগে থেকে সবার সাবধান হওয়া উচিত।
তবে কেবল পাবলিক চার্জিং প্লেস নয়। আমরা অনেক সময় নিজেদের কাছে পাওয়ার ব্যাংক না থাকলে অন্যের থেকে ধার নিই রাস্তায়। এটাও করা উচিত নয়। এখানেও লুকিয়ে থাকতে পারে বিপদ। কারণ মাইক্রো চিপ পাওয়ার ব্যাংকেও লাগানো থাকতে পারে। এটার সাহায্যে আপনার ফোনের তথ্য প্রতারকদের কাছে চলে যেতে পারে।
ঠিক যেমন ভাবে আপনি আপনার পাবলিক প্লেসে চার্জ দেবেন না, অন্যের পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করবেন না তেমনই পাবলিক WIFI-ও ব্যবহার করবেন না। এতেও ক্ষতি হতে পারে। আপনার ইমেল আইডি থেকে পাসওয়ার্ড, এমনকি ব্যাংকের নানা তথ্য তারা হাতিয়ে নিতে পারে আপনার ফোন থেকে।