Mukesh Ambani এর Reliance Jio তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের টেক্কা দিতে এবং দারুন দারুন চমক আনতে একেবারে সিদ্ধহস্ত! প্রতি বছরই এই সংস্থা কোনও না কোনও নতুন অফার নিয়ে হাজির হয়ে যায়। বর্তমানে দেশে ব্যাপক ভাবে বিক্রি হচ্ছে জিওর ফিচার ফোন। মুকেশ আম্বানি তখন ঘোষণা করেছিলেন জিও স্মার্টফোনের কথা। এই সংস্থার স্বপ্নই হল 2G মুক্ত ভারত গড়ার। তাই তারা Google এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতের বাজারে স্মার্টফোন আনার পরিকল্পনা এবং উদ্যোগ নিয়েছে। এই স্মার্টফোনের দাম 3,000 থেকে 4,500 টাকার মধ্যে রয়েছে।
Jioর তরফে এবার আনা হতে চলেছে 5G স্মার্টফোন। সম্প্রতি দ্যা ইকোনমিক টাইমসের একটি রিপোর্টে এই ফোনের দাম সম্পর্কে জানানো হয়েছে। আর তারপরই রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই সংবাদমাধ্যমের অনুযায়ী রিলায়েন্স জিও 12,000 টাকার মধ্যেই Jio 5G Smartphone আসতে চলেছে। যদিও এই বিষয়ে এখনও জিওর তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছুই জানানো হয়নি।
এই ফোনের দাম নাকি 8,000 থেকে 12,000 টাকার মধ্যেই থাকতে চলেছে, এমনটাই জানিয়েছে দ্যা ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, জিও যেভাবে একটা বিপুল সংখ্যা 2G ব্যবহারকারীদের 4Gতে ট্রান্সফার করেছিল এবার 5G ক্ষেত্রেও সেই একই ভাবনা ভেবেছে এই সংস্থা।
Jio 5G খরচের দাম 4G এর তুলনায় প্রায় 20% বাড়াতে চলেছে বলেই জানা গিয়েছে। এর ফলে এক একজন ব্যবহারকারী প্রতি 188 টাকার গড় লাভ করবে এই সংস্থা। এছাড়াও এই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে যে আগামী 2 বছরের মধ্যে অনেকটাই বাড়বে এই সংস্থার ব্যবহারকারীর সংখ্যা। সেটা বেড়ে 1 কোটি 20 লাখ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। 2025 সালের মধ্যে এই সংখ্যা আরও 1 কোটি বাড়বে বলে অনুমান করা হচ্ছে জিওর তরফে তখন গ্রাহক প্রতি এই সংস্থার লাভ বাড়বে 208 টাকা।
সবার আগে আপনাকে যেতে হবে MyJio অ্যাপে অথবা Jio.Com ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সেখান থেকে আপনি এই ফোন কিনতে পারেন।
এই সংস্থার তরফে এখনও স্পষ্ট করে জানানো হয়নি যে তাদের 5G ফোনে কোন কোন ফিচার থাকবে, তবে মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী এই ফোনে থাকতে পারে একটু 6.5 ইঞ্চির HD+ IPS LCD ডিসপ্লে যেখানে থাকবে 1600X720 পিক্সেল রেজোলিউশন। এছাড়া Qualcomm Snapdragon 480 প্রসেসর থাকবে বলেই শোনা গিয়েছে যার সঙ্গে 4GB RAM এবং 32GB ইন্টারনাল স্টোরেজ থাকবে।
গ্রাহকরা মাইক্রো এসডি কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন এই ফোনে। অ্যান্ড্রয়েড 11 সফটওয়্যারের সাহায্যে এই ফোনটি চলবে। থাকত পারে 5000mAh ব্যাটারি সহ ডুয়াল রিয়ার ক্যামেরা যেখানে 13 এবং 2 মেগাপিক্সেলের সেন্সর এবং ফ্রন্ট ক্যামেরায় 8 মেগাপিক্সেলের সেন্সর থাকতে পারে বলে অনুমান করে হচ্ছে।
6 বছর আগে জিও যেভাবে গোটা টেলিকম জগতটাকে ওলটপালট করে দিয়েছিল, অন্যান্য সমস্ত সংস্থাকে মাশুল কমাতে বাধ্য করেছিল এবারও সেই একই উন্মাদনা এই সংস্থা দেখাতে পারে কিনা সেটা কয়েকদিনের মধ্যেই বোঝা যেতে চলেছে।