অনেকেরই বদভ্যাস থাকে যে তাঁরা বাথরুম গেলেও সঙ্গে করে ফোন নিয়ে যান। কেউ কেউ অভ্যাসে, কেউ কাজ করবেন বলে, কেউ আবার গেম খেলা বা ভিডিও দেখার জন্য। সম্প্রতি একটি গবেষণায় জানানো হয়েছে 10 জনের মধ্যে 6 জন বাথরুমে ফোন নিয়ে যান।
Nord VPN -এর একটি সমীক্ষার একটি তদন্তে এই তথ্য জানানো হয়েছে। আপনারও কি এই অভ্যাস আছে? থাকলেই সতর্ক হোন। না চাইতেই কিন্তু আপনি বিপদ ডেকে আনছেন।
সদ্য করা এই গবেষণার রিপোর্ট অনুযায়ী 61.6% মানুষ বাথরুমে ফোন নিয়ে যান কেবল সোশ্যাল মিডিয়া ঘাঁটাঘাঁটি করার জন্য। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, ইত্যাদি ব্যবহার করার জন্য আমরা বাথরুমে ফোন নিয়ে যান। আর 33.9% মানুষ খবর পড়ার জন্য বা টুকটাক ফোন দিয়ে সেরে ফেলা যায় এমন কাজ করার জন্য ফোন বাথরুমে নিয়ে যান। অনেকেই আবার ফোন বা মেসেজ করার জন্য বাথরুমে ফোন নিয়ে যান। এঁদের সংখ্যা 24.5%।
Yahoo লাইফ ইউকেকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ডক্টর হাগ হেডেন যিনি কিনা একন সংক্রমিত জরোগ বিশেষজ্ঞ তিনি জানিয়েছেন টয়লেট সিটে যত না তাড়াতাড়ি জীবাণু থাবা বসায় তার থেকে 10 গুণ বেশি জীবাণু ফোনে ঝটপট থাবা বসায়। আর জীবাণু ভর্তি স্মার্টফোন ব্যবহার করার অর্থ হাতে সেই জীবাণু লেগে যাওয়া যা পরে পেটে বা মুখে যায় এবং রোগ ঘটায়।
তিনি আরও বলেন আমাদের ফোনটাই একটা ইনফেকশনের উৎস হিসেবে কাজ করে। আমাদের ফোনের টাচস্ক্রিন থেকে ক্রস কন্টামিনেশন হওয়ার চান্স থাকে।
Yahoo Life UK -এর রিপোর্ট অনুযায়ী স্মার্টফোনের স্ক্রিনে 28 দিন পর্যন্ত জীবাণু বাসা বেঁধে থাকতে পারে। ফলে বুঝতেই পারছেন এতদিন টাচস্ক্রিনে জীবাণু থাকার অর্থই হল জীবাণু এবং প্যাথোজেনের বংশ বৃদ্ধি করার একেবারে আদর্শ জায়গা।
কিছুদিন আগেই আরও একটি রিপোর্ট এ জানানো হয়েছিল Staphylococcus হচ্ছে এমন একটি জীবাণু যা সব থেকে বেশি ফোনের স্ক্রিনে দেখা যায়। আর এই জীবাণু ফোনের স্ক্রিন থেকে সোজা মুখে, চোখে বা নাকে ঢুকে যেতে পারে স্রেফ স্পর্শের মাধ্যমে। আর এই জীবাণু কিন্তু বেশ ক্ষতিকর। এটার করিবে রেসপিরেটরি বা স্ক্রিন ইনফেকশন হতে পারে।
তাছাড়া বাথরুমে টাচস্ক্রিন স্মার্টফোন ইউজ করার অর্থই হল জীবাণু এবং প্যাথোজেনে ফোন ভর্তি হয়ে যাওয়া। তাই বাথরুমে গেলে এবার থেকে আপনার সঙ্গী যেন আর ফোন না হয়। নিজের পাশাপাশি ফোনকেও সুস্থ রাখুন!