জল্পনা তৈরি হয়েছিল যে ভারত সরকার নাকি ব্যান করে দিতে পারে 12,000 টাকার কম দামী চাইনিজ স্মার্টফোন
কিন্তু কেন্দ্রের তরফে জানানো হল কেন্দ্রীয় সরকারের এমন কোনও পরিকল্পনা নেই
রাজীব চন্দ্রশেখর, ভারতের বর্তমান কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জানান এই জল্পনা পুরোটাই ভুল
Chinese Smartphone নাকি ভারতে ব্যান হয়ে যেতে পারে। বেশ কিছুদিন ধরেই এমনটা কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু এটা সত্য না মিথ্যা সেটার কোনও প্রমাণ মিলছিল না। কিন্তু এখন কেন্দ্রের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হল এটা কেবলই গুজব। রাজীব চন্দ্রশেখর, কেন্দ্রের বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে জানান যা যা রটেছে পুরোটাই গুজব।
29 আগস্ট, সোমবার রাজীব চন্দ্রশেখর জানান তিনি এই বিষয়ে কিছুই জানেন না। আর কেন এমনটা রটল সেটাও তিনি জানেন না। ভারত সরকার মোটেই 12 হাজার টাকার কম দামের চিনা স্মার্টফোন ব্যান করছে না। এটা একদম ঠিক যে ভারতীয় যে সংস্থাগুলো আছে সেগুলোকে বাজারে জায়গা করে দেওয়া জরুরি, কিন্তু সেটা করার জন্য ভারতীয় সরকার এখনই চিনা কোম্পানির ফোনগুলোকে বা চিনের স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলোকে ব্যান করার কথা ভাবছে না। উল্টে ফোন রপ্তানির দিকে এই সংস্থাগুলোকে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। একই সঙ্গে তিনি জানান এই চিনা সংস্থাগুলো ফোন তৈরির জন্য কোথা থেকে কাঁচা মাল কিনছে, কী ভাবেই বা তাদের ফোন কেনাবেচা চলছে সেই দিকে আরও স্বচ্ছতা আনতে হবে।
এর আগেও একাধিকবার, ভারত এবং চিনের মধ্যে কোনও টানাপোড়েন হলেই তার প্রথম কোপ পড়েছে তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে। এছাড়াও বেশ কিছু চিনা অ্যাপকে ভারতীয় সরকার ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ করেছে তথ্য চুরির অভিযোগে। এছাড়া প্রশাসন একাধিক চিনা মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থায় হানা দিয়েছিল কারণ তাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ এসেছিল বলে। তার মাঝে এমন গুজব ছড়ানোয় অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। কারণ বর্তমানে অধিকাংশ ভারতবাসীর হাতে যে ফোন দেখা যায় সেগুলো কোনও না কোনও চিনা সংস্থার তৈরি। কম বা মাঝারি দামের স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে ভারতীয় ব্র্যান্ডগুলো এখন অবধি সেভাবে গ্রাহকদের মনে দাগ কাটতে পারেনি। সেক্ষেত্রে অনেকেই এই চিনা সংস্থার ফোনগুলোকেই বেছে নেন।