Study on Mobile Addicted Generation: বাড়ির একরত্তি সারাক্ষণ ফোনে ডুবে? গবেষণা কী জানাচ্ছে দেখুন
সারাক্ষণ ফোন ঘাঁটেন?
অজান্তে বিপদ ডাকছেন না তো?
গবেষণা বলছে যাঁরা অতিরিক্ত ফোন ঘাঁটে তাঁরা শ্রবণশক্তি হারাচ্ছেন
সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে দিল্লি নয়ডা এলাকায় শিশু এবং কিশোরদের মধ্যে স্পিচ সাউন্ড ডিসঅর্ডার দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ তাদের কথা বলা এবং কানে শোনায় সমস্যা হচ্ছে। 6 থেকে 12 বছর বয়সীদের মধ্যে এটা 42.4% দেখা গিয়েছে আর 13 থেকে 18 বছর বয়সীদের মধ্যে এটা 31.1% দেখা গিয়েছে।
শুধু তাই নয়, ফ্লুয়েন্সি ডিসঅর্ডারও দেখা গিয়েছে উক্ত বয়সের শিশুদের মধ্যে। 20.7% শিশু যাদের বয়স 6 থেকে 12 তাদের এই সমস্যা রয়েছে। আর 13 থেকে 18 বছর বয়সীদের মধ্যে এই সমস্যার পরিমাণ 17.1%।
তবে ল্যাঙ্গুয়েজ বা ভাষাগত সমস্যা প্রচণ্ড বেশি এদের মধ্যে। একরত্তিদের মধ্যে এই সমস্যা যেন আরও বেশি, অর্থাৎ যাঁরা সবে সবে কথা বলছে তারা। 0 থেকে 5 বয়সীদের মধ্যে ভাষাগত বা কথা না বলার সমস্যার হার 69%! আর 13-18 বছর বয়সীদের মধ্যে সেটা 48.2%।
ভয়েস ডিসঅর্ডারের সমস্যাও দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন বয়সের বাচ্চাদের মধ্যে। তবে সব থেকে বেশি এই সমস্যা দেখা গিয়েছে 19 থেকে 25 বছর বয়সীদের মধ্যে, এখানে হার 17%। 11.6% ভয়েস ডিসঅর্ডারের হার দেখা যায় 13 থেকে 18 বছর বয়সীদের মধ্যে।
ভেস্টিবুলার ডিসঅর্ডার আছে আরও একটি পরিণত বয়স্কদের মধ্যে, অর্থাৎ 26 থেকে 60 বছর বয়সী যাঁরা তাঁদের। প্রায় 8.7% শতাংশ মানুষ এই সমস্যায় ভোগেন। 0-5 বছর বয়সী খুদেরা মাল্টিপল কমিউনিকেশন ডিসঅর্ডারে ভোগে ভীষণ, সংখ্যাটা মোটেই কম নয়। প্রায় 37%। আর এটাই 6-12 বছর বয়সীদের মধ্যে 33.9% দেখা যায়।
কাশ্মীরে 57.6% মহিলা এবং 42.4% পুরুষ কমিউনিকেশন ডিসঅর্ডারে ভোগেন। জম্মুতে সংখ্যাটা 33.6% এবং 66.4% যথাক্রমে।
গবেষণা কী বলছে?
ইন্ডিয়ান স্পিচ অ্যান্ড হিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশন হেলথ পার্লামেন্টের সঙ্গে এবং আন্তর্জাতিক পেশেন্ট ইউনিয়নের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতের সব থেকে বড় ডোর টু ডোর সার্ভে করেছে এই ডিসঅর্ডারের উপর। যাঁরা এগুলো নিয়ে কাজ করেন তাঁরাই গোটা জিনিসটা নিজেরা করেছেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে। আর এখানেই জানা গিয়েছে দিল্লি, জম্মু কাশ্মীর অঞ্চলের মানুষদের মধ্যে এই সমস্যা ভয়ানক আকার নিয়েছে।
এই গবেষণার ফান্ডিং করেছে ISHA, দিল্লি। এই সার্ভেতে 10,228টি পরিবার থেকে 53,801 জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে দিল্লি অঞ্চলে। জম্মু কাশ্মীরে 1257টা পরিবারের 6000 মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
মে মাস থেকে জুন পর্যন্ত এই গবেষণা চলেছে। দিল্লি অঞ্চলে মোট 3.05% মানুষ ডিসঅর্ডারে ভুগছেন আর জম্মু কাশ্মীরে সেটা 2.4%।
Subhasmita Kanji
I am Subhasmita Kanji from Kolkata. I have completed my Masters in Geography from University of Calcutta. In Media sector I have worked for several eminent houses like 4th Pillars, Bangla Jago Tv, Hindustan Times Bangla, and Digit Bangla. View Full Profile