নতুন ডিভাইসে আপনার ফোনে থাকা ছবি, ভিডিও ট্রান্সফার করতে করতে হয়রান? তবে বলে রাখি, এই ডেটা ট্রান্সফার না করেও অন্য ডিভাইসে আপনার ফোনে থাকা সমস্ত তথ্য সহজেই অ্যাকসেস করতে পারেন অন্য উপায়ে। আপনারা চাইলে ক্লাউড স্টোরেজ (Cloud Storage) ব্যবহার করতে পারেন যাতে একই সঙ্গে বিভিন্ন ডিভাইস থেকে আপনার ফোনে থাকা সমস্ত তথ্য অ্যাকসেস করা যায়। ডেটা ব্যাকআপ করতে চাইলে ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করতে পারেন।
গুগল সার্ভিসের (Google Services) উপর ভরসা করুন ট্রান্সফার না করেও আপনার তথ্য যে কোনও জায়গায় অ্যাকসেস করার জন্য। এটা বিশ্বাসযোগ্য এবং একই সঙ্গে সব থেকে নিরাপদ অপশন আপনার যে কোনও ডেটা সেভ করে রাখার জন্য তাও কোনও থার্ড পার্টি সার্ভিসে। আজকালকার দিনে গুগলে (Google) অ্যাকাউন্ট নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল! কিন্তু জানেন কি গুগল আমাদের একাধিক সুবিধা দিয়ে থাকে যার অর্ধেকের বিষয়ে আমরা জানি না।
আপনারা চাইলেই খুব সহজে গুগল ফটোজে (Google Photos) আপনার সমস্ত ছবি এবং ভিডিও আপলোড করে রাখতে পাবেন, কারণ এটা ভীষণই সহজ একটি পদ্ধতি। আর একবার গুগল ফটোজে সেগুলো আপলোড করে দিলে সব জায়গা থেকেই সেটা অ্যাকসেস করতে পারবেন।
প্রথমে আপনাকে যেতে হবে গুগল ফটোজ অ্যাপে। এবার তাদের লাইব্রেরি সেকশনে ট্যাপ করুন।
এবার আবার ফটো সেটিংসে ক্লিক করুন এবং তারপর ব্যাকআপ অপশনে ক্লিক করুন এবং Sync অপশন এনাবেল করে দিন।
দেখে নেবেন যে অ্যাপে আপনার ডেটা ব্যাকআপ হল কিনা। অনেক সময় ঠিক করে এনাবেল করা হয় না। ফলে তখন ব্যাকআপ হয় না। তাই চেক করে নেবেন।
এবং একই সঙ্গে অরিজিন্যাল কোয়ালিটিতে ছবিগুলো যেন আপলোড হয় সেটাও দেখে নেবেন। এই অপশনটি ব্যাকআপ অ্যান্ড সিঙ্ক অপশনের নিচেই দেওয়া আছে। স্ক্রিনের একদম নিচে এই বাটন রয়েছে।
যেই মুহুর্তে Google Photos এ আপনার ব্যাকআপ সাকসেসফুল হয়ে যাবে তখন আর আপনাকে কিছুই করতে হবে না। শুধু আপনার গুগল অ্যাকাউন্টে লগইন করুন এবং সেখানে গুগল ফটোজ অ্যাপ খুলুন, সেখানেই আপনার সমস্ত ডেটা পেয়ে যাবেন।
গুগল মোট 15 GB ফ্রি ক্লাউড স্টোরেজ স্পেস দিয়ে থাকে জিমেইল, ফটো, ড্রাইভ, ইত্যাদি রাখার জন্য। আপনি যদি এই লিমিট ছাড়িয়ে যান তাহলে আপনাকে টাকার বিনিময়ে গুগলের থেকে স্পেস কিনতে হবে। 100GB ক্লাউড স্টোরেজ স্পেস কেনার জন্য আপনাকে প্রতি বছর 1,300 টাকা করে খরচ করতে হবে।