এই সময়ে প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন স্মার্টফোনের কোম্পানি কোন না কোন নতুন স্মার্টফোন লঞ্চ করে চলেছে। আর এই সব স্মার্টফোনের মধ্যে কিছু কম দামের, কিছু মিড রেঞ্জ আবার হাই রেঞ্জের স্মার্টফোনও আছে। আসলে সব রেঞ্জের স্মার্টফোনের মধ্যেই এখন অনেক নতুন আর আপগ্রেটেড ফিচার্স আর স্পেক্স দেওয়া হয়ে থাকে। আর তাই এখন স্মার্টফোন কেনার আগে আমাদের অনেক সময়ে কনফিউশানের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।
আপনারাও হয়ত কোন না কোন সময়ে স্মার্টফোন কেনার আগে তাই চিন্তিত হয়ে পরেন যে কোন স্মার্টফোন কেনার আগে ঠিক কী দেখা উচিত! আর আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের বলব যে স্মার্টফোন কেনার আগে কী কী দেখা উচিত। মানে এখানে স্মার্টফোন কেনার কিছু গাইড আপনাদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে।
প্রসেসার
বেনিফিটঃ প্রসেসার যত বেশি শক্তিশালী হবে ফোন হ্যাং হওয়ার সম্ভবনা তত কম হবে।
এটা কীঃ আসলে একটি ফোনের প্রসেসার ফোনের ব্রেন। যত বেশি শক্তিশালী প্রসেসার হবে, স্মার্ট ছবি এডিটিং হবে, অ্যাপ আরও বেশি দ্রুত ওপেন হবে। গেমিং ল্যাগ বিহীন হবে। আর এই সময়ের সব থেকে শক্তিশালী মোবাইল ফোনের প্রসেসার হল কোয়াল্কম স্ন্যাপড্র্যাগন 845 । আর এটি OnePlus 6 বা Asus Zenfone 5 Z য়ের মতন ফোনে দেওয়া হয়েছে। কিছু দিন আগে এই স্ন্যাপড্র্যাগন 845 মোবাইল CPU তে একদম প্রথমে ছিল আর তাই এটি খারাপ হবে না।
প্রসেসার ব্র্যান্ড
বেনিফিটঃ কম দামের ফোনের ক্ষেত্রে ভাল
এটা কীঃ বেশিরভাগ অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন কোয়াল্কম বা মিডিয়াটেকের প্রসেসারে সঙ্গে আসে। এর মধ্যে কোয়াল্কম হাই এন্ড প্রসেসার দেয় আর মিডিয়াটেক সেখানে মিড রেঞ্জের জন্য বা এন্ট্রি লেভেল স্মার্টফোনের জন্য প্রসেসার ডিজাইন করে। প্রসেসার পাওয়ার আর ব্যাটারি লাইফের মধ্যে ব্যালেন্স করে। আপনারা যদি একটি স্যামসং বা হনারের ডিভাইস কেনেন তবে এটি এক্সিয়ন্স বা কিরিন CPU যুক্ত হবে। অ্যাপেলের নিজস্ব প্রসেসার iPhone য়ের জন্য আছে, আর এর লেটেস্ট প্রসেসার হল A11 Bionic চিপ। স্ন্যাপড্র্যাগন আর মিডিয়াটেকের মধ্যে সাধারনত স্ন্যাপড্র্যাগনের চিপ বেশি ভাল পার্ফর্মেন্স করে।
প্রো টিপঃ যখন প্রসেসারের কথা ওঠে তখন হায়ার নাম্বার হারা পার্ফর্মেন্স দেয়। যেমন স্ন্যাপড্র্যাগবন 845, স্ন্যাপড্র্যাগন 660 র থেকে ভাল আর এটি স্ন্যাপড্র্যাগন 450 র থেকে ভাল।
প্রসেসার স্পেসিফিকেশান
সব প্রসেসারের একটি স্পেসিফিকেশান থাকে। এতে এদের কোর থাকে। জেখন 1.4GHz অক্টা কোর প্রসেসার বা 2.0GHz কোয়াড কোর প্রসেসার। তবে সব সময়ে বেশি কোরই যে ভাল হবে তা নয়। বেশি ক্লক স্পিড এটি করে।
কোর
বেনিফিটঃ বেশি কোর= ভাল পার্ফর্মেন্স
এটা কীঃ কোর হল প্রসেসারের মাসেল। যত বেশি কোর থাকবে সেই প্রসেসার ততবেশি শক্তিশালী হবে। আর তাও অক্টা কোর কোয়াড কোর প্রসেসারের থেকে বেশি শক্তিশালী। আর এটি ডুয়াল কোরের থেকে বেশি শক্তিশালী। প্রসেসারর ভেতরে ফিক্সড কোর থাকে, আর এটি আপনারা চেঞ্জ করতে পারবেননা। তবে একটি ফোন কেনার সময়ে কোন কোর যুক্ত প্রসেসার চান তা আপনারা বাছতে পারবেন।
মিথঃ সব সময়ে বেশি নাম্বারের প্রসেসারের জন্য যাওয়া।
সত্যিঃ সব সময়ে আপনার হাইয়েস্ট প্রসেসার দরকার নেই, আর যদি আপনি গেমিং য়ের ভক্ত না হন তবে কখনোই না।
ক্লক স্পিড
বেনিফিটঃ আপনার ক্লক স্পিড যত বেশি হবে তত বেশি ভাল পার্ফর্মেন্স দেবে।
এটা কীঃ ক্লক স্পিড হল তাই যে আপনার প্রসেসার কত তাড়াতাড়ি আপনার প্রসেসারকে ফাস্ট করতে পারে। এটি সাধারনত GHZ দিয়ে মাপা হয়। এই সময়ে 2.9GHz ক্লক স্পিড ভাল।
গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট
গ্রাফিক প্রসেসিং ইউনিট বা GPU অনেকটাই গেমিং বা পার্ফর্মেন্সের জন্য দায়ি হয়। GPU প্রসেসারের একটি অংশ আর এটি নিয়ে আপনাদের খুব একটা ভাবার নেই কারন আপনারা স্মার্টফোনের জন্য GPU বাছতে পারবেন না।
ডিসপ্লে
বেনিফিটঃ ফোন এক হাত বা দু’হাতে ব্যাবহার করার বিষয়
এটি কী! এই সময়ের স্মার্টফোনের ডিসপ্লে সাইজ যত দিন যাচ্ছে তত বড় হচ্ছে। বড় ডিসপ্লে বড় ফোন। তবে এতে সব থেকে দরকারি হল ভিউং মানে দেখার অভিজ্ঞতা।
5 ইঞ্চির কম
যে সব স্মার্টফোনের ডিসপ্লে সাইজ 5 ইঞ্চির কম তা সেই সব ইউজার্সদের জন্য ভাল যারা এক হাতে ফোন ব্যাবহার করা পছন্দ করেন।
5.5ইঞ্চি থেকে 6 ইঞ্চি’
এই ডিসপ্লে সাইজের ফোন তাদের জন্য ভাল যারা ফোনে সোশাল মিডিয়া করা, ছবি তোলা অন্য কাজ বা কল করে থাকেন। আর এই ডিসপ্লে সাইজে ভিডিও দেখার অভিজ্ঞতাও ভাল।
6.5 ইঞ্চির বেশি
এই সাইজের ফোন তাদের জন্য ভাল যারা মুলত ফোনে গেমিং পছন করেন।
অ্যাস্পেক্ট রেশিও
বেনিফিটঃ আপনার ছোট আকারে কী করে বড় স্ক্রিন দেখতে পারবেন।
এটি কীঃ অ্যাস্পেক্ট রেশিও ডিসপ্লের মোট লম্বা আর চওরার ডিটারমেশান। এই সময়ে 18:9, 19:9 অ্যাস্পেক্ট রেশিও স্ট্যান্ডার্ড।
ভিসুয়াল টিপঃ স্মার্টফোনে 5.5 ইঞ্চির ডিসপ্লেতে 16:5 আর 18:9 ভাল।
প্যানেল টাইপ
বেনিফিটঃ ভাইব্রেন্ট কালার, উন্নত ব্যাটারি লাইফ আর অসাধারন ভিউইংয়ের অভিজ্ঞতা যা সব ডিসপ্লে প্যানেলে দেখা যায়।
এটা কীঃ এই সময়ের স্মার্টফোন IPS-LCD বা OLED প্যানেল ডিসপ্লে দেয়। IPS-LCD প্যানেল তাদের জন্য ভাল যারা ফোনে ছবি এডিট করেন বা কালার অ্যাকুরেটি চান, তবে আপনারা যদি ভাইব্রেন্ট কালার চান তবে HDR ভিডিও বা ভাল ব্যাটারি চান তবে OLED প্যানেল যুক্ত স্মার্টফোন বাছা সঠিক হবে। ডিসপ্লের ব্রাইটনেশ রেটিংও দেখা দররকার এটি কম করে 150nits দিনের মাঝা মাঝি সময়ের জন্য ভাল। আর IPS আর OLED দুটি প্যানেলই ভাল ভিউইং অ্যাঙ্গেল দেয় আর তাই এটা নিয়ে আপনাদের বেশি ভাবার বা চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।
প্রো টিপঃ AMOLED, সুপার AMOLED, অপ্টিক AMOLED ইত্যাদি আর বিভিন্ন OLED প্রযুক্তি যুক্ত মিরার ডিফারেন্সের হলেও অনেকটাই একই রকমের।
রেজিলিউশান
বেনিফিটঃ হায়ার রেজিলিউশান= শার্প ইমেজ
এটা কীঃ রেজিলিউশান এমন একটি নাম্বার যা আপনাকে ডিসপ্লে তে কত পিক্সাল আছে তা বলবে। এতি সাধারনত চওরা+লম্বা হিসাবে আসে। বেশি হায়ার রেজিলিউশান হাই আর ক্লিয়ার শার্পনেস দেয়। ফুল HD ডিসপ্লে ভাল।
প্রোটিপঃ কম রেজিলিউশানের ডিসপ্লের থেকে হায়ার রেজিলিউশানের ডিসপ্লে বেশি ব্যাটারি নেয়।
HDR vs Non HDR
বেনিফিটঃ আপনি এর আগে এই রকমের কালারের অভিজ্ঞতা পান নি।
এটা কীঃ আপনার স্মার্টফোনের ডিসপ্লেতে যে কালার থাকে তাকে কালার স্পেস বলে। বেশিরভাগ non HDR ফোন যে কোন ধরনের সিনেমা দেখার জন্য যথেষ্ট আর আপনি যদি আরও বেশি ভাল ভিসুয়াল অভিজ্ঞতা চান তবে আরও বেশি স্মার্ট HDR আপনার ফোনে থাকা দরকার।
প্রো টিপঃ বেশির ভাগ HDR ডিসপ্লেতে আপনার কাছে HDR কন্টেন্ট থাকা দরকার। যা আপনারা এখন নেটফ্লিক্স বা প্রাইম ভিডিওতে পাবেন।
র্যাম
বেনিফিটঃ বেশি র্যাম= ভাল মাল্টি টাস্কিং
এটা কীঃ র্যামের ক্ষেত্রে আপনার ফোনে এই সময়ে র্যাম 6GB শুধু না এখনতো 8GB র্যামের ফোনও আসা শুরু করেছে। অথচ এক সময়ে 1Gb বা 2GB/3Gb র্যামও অনেক মনে হত।
1GB বা 2GB র্যামের বিষয়ে
স্মার্টফোনে এই র্যাম থাকলে তা তাদের জন্য ভাল যারা ফোন রিসিভ করা বা ফোন করার থেকে বেশি ফোন ব্যাবহার করেন না।
3 বা 4GB র্যাম
যে স্মার্টফোনে 3/4GB র্যাম থাকে তা তাদের জন্য ভাল যারা সোশাল মিডিয়াতে বেশি যায় বা ফোনে অনেক ভিডিও দেখে। আর এই র্যামের সঙ্গে অল্প বিস্তর গেমিংও করা যায়।
6GB র্যাম
এই র্যাম পাওয়ার ইউসারদের জন্য মানে যারা ফোনের পার্ফর্মেন্স একটুও কম হোক চায় না তাদের জন্য। এই র্যামের ফোন সেরা পার্ফর্মেন্স দেয় আর এটি হেভি গেমিংয়ের জন্য আইডিয়াল।
8GB র্যাম
এখন কিছু স্মার্টফোন 8GB র্যামের সঙ্গেও আসছে তবে এই র্যাম এখন যত বেশি ব্যাবহার হচ্ছে তার থেকে বেশি দেখানোর কাজে আসে।
স্টোরেজ
বেনফিটঃ আপনার ফোনে যত বেশি স্টোরেজ থাকবে তত বেশি গেম, অ্যাপ, ছবি বা ভিডিও ফোনে রাখতে পারবেন।
এটা কীঃ স্মার্টফোনের স্পেসের অ্যামাউন্ট হল স্টোরেজ। আর এটি GB দিয়ে মাপা হয়। ফোনে যত বেশি স্টোরেজ থাকবে ফোনে তত বেশি গেম, অ্যাপ বা ছবি ভিডিও ইত্যাদি রাখতে পারবেন। এখন ফোনে 32Gb বা 64GB স্টোরেজ থাকা মানে অনেকটাই স্টোরেজ থাকা।
প্রো টিপঃ যদি আপনারা অনেক বেশি ছবি তোলেন বা বেশি সিনেমা গান ইত্যাই ডাউনলোড করেন তবে আপনারা সেই ফোন কেনা উচিত যা হাই স্টোরেজ অফার করার সঙ্গে সঙ্গে মাইক্রো SD কার্ড স্লটের অপশানও দেয়।
মিথঃ স্টোরেজ হল তাই যা আপনি ফোনের স্পেসে ব্যাবহার করতে পারবেন। ফোনের স্টোরেজ অপশানে গিয়ে ফোনে কত স্টোরেজ বাকি আছে তা আপনারা দেখতে পারবেন।
এক্সপেন্ডেবেল স্টোরেজ
বেনিফিটঃ আরও বেশি স্টোরেজ
এটা কীঃ এক্সপেন্ডেবেল স্টোরেজ মানে সোজা কথা এর মাধ্যেম আপনার ঘরের জায়গা বাড়ানো হচ্ছে। মাইক্রোএসডি কার্ডের মাধ্যমে আপনারা আরও অনেক বেশি স্টোরেজ রাখার সম্ভবনা পাচ্ছেন। তবে সব স্মার্টফোনই মাইক্রো এসডি কার্ড স্লট থাকেনা। যেমন iPhone বা OnePlus 6 আর এর মানে যে এখানে আপনারা স্টোরেজ বাড়াতে পারবেন না।
প্রো টিপঃ মাইক্রো এসডি কার্ড কেনার আগে দেখে নিন যে ফোনের এক্সপান্ডেবেল স্টোরেজ ক্যাপাসেটি কত।
ব্যাটারি
বেনিফিটঃ বেশি ক্যাপাসেটি মানে আপনার আরও বেশিক্ষণ ফোন ব্যাবহার করতে পারবেন।
এটা কীঃ সাধারনত ব্যাটারি ক্যাপাসিটি mAhয়ে মাপা হয়। সাধারনত লো ব্যাটারি ক্যাপাসিটির থেকে হায়ার ব্যাটারি ক্যাপাসেটি বেশি ভাল। তবে ব্যাটারি কতক্ষণ চলবে তা প্রসেসারের ওপর নির্ভর করে। আর এর সঙ্গে ডিসপ্লের রেজিলিউশানও এর জন্য দায়ি থাকে। একি ব্যাটারি ক্যাপাসেটি যুক্ত দুটি ফোন দুটি আলাদা ব্যাটারি পার্ফর্মেন্স দিতে পারে।
প্রো টিপসঃ সাধারনত বেশি ব্যাটারি মানে বড় ফোন।
ওয়ারলেস চার্জিং
বেনিফিটঃ মানে ফোন টেবিলে রাখুন আর এটি চার্জ হতে দেখুন।
এটা কীঃ এই সময়ের অনেক স্মার্টফোনে ওয়ারলেস চার্জিং দেওয়া হচ্ছে। ফোনটি রাখুন আর ওয়ারলেস চার্জার রাখুন ফোন চার্জ হতে শুরু করবে। এর সব থেকে বড় সুবিধা এই যে এদের জন্য কোন কেবেলের দরকার হয়না আর এটি কোথাউ যাতায়াতের সময়ে বেশি করে কাজে লাগে।
প্রো টিপঃ এখনও এই ওয়ারলেস চার্জিং একটি নতুন প্রযুক্তি আর এটি আপনার ফোন সাধারন চার্জারের থেকে একটু স্লো চার্জ করবে।
ফাস্ট চার্জিংঃ
বেনিফিটঃ আপনার ফোন কিছুক্ষণের মধ্যে তৈরি করে দেয়।
এটা কীঃ ফাস্ট চার্জিং আপনার ফোনকে সাধারন চার্জের থেকে তাড়াতাড়ি চার্জ করে দেয়। আর সাধারনতে এতে আপনার ফোন 0থেকে 50 শতাংস পর্যন্ত 30 মিনিটের মতন সময়ে চার্জ হয়ে যায়।কোয়াল্কম কুইক চার্জ 3.0 হল সব থেকে পরিচিত ফাস্ট চার্জার।
প্রো টিপঃ আপনার ফোন সারা রাত চার্জে বসাবেন না। এটি খুব কম সময়ে ফোন চার্জ করে দেয়।
প্রোটেকশান
বেনিফিটঃ ফোনের গুরুত্বপূর্ণ স্ক্রিনকে আচমকা পরে নষ্ট হওয়ার হাত থেকে বাঁচায়।
এটা কীঃ ডিসপ্লে খুবই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। আর এতে এক্সট্রা প্রোটেকশান দেওয়া হয়। গোরিলা গ্লাস সব থেকে বেশি ব্যাবহার করা হয় এক্ষেত্রে। তবে এটিই একমাত্র প্রোটেকশানের জিনিস নয়। অ্যাসাহাই গ্লাস বা বন্ডেড গ্লাসও এই ক্যাটাগরিতে পরে।
প্রোটিপঃ গোরিলা গ্লাস আপনার স্মার্টফোন কে বাঁচাবে তা নয় তাই ফোন ব্যাবহারে খেয়াল রাখুন
ডিজাইন
বেনিফিটঃ ভাল ডিজাইন আসলে ফিল গুড ফ্যাক্টার দেয়।
এটা কীঃ শেপের মতন ডিজাইন অত সহজ না।ফোনে বিভিন্ন মেটিরিয়ালের ওপর এটি নির্ভর করে।
মেটিরিয়াল
ফোনটি গ্লাস, মেটাল না অন্য কিছু দিয়ে তৈরি।
কালার
ডিজাইনের ক্ষেত্রে কালার একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
ইরগনমিক
আসলে আপনি একটি ফোন হাতে নিয়ে ঠিক কতটা কম্ফর্টেবেল তাই হল এই ইরগনমিক। এক হাতে ব্যাবহার করা যায় এমন কোণ স্মার্টফোন চাইলে 18:9 অ্যাস্পেক্ট রেশিওর ফোন আপনার জন্য ভাল।
ডাস্ট আর ওয়াটার রেজিস্টেন্স
সাধারনত IP রেটিং থেকে জানা যায় যে কোন ফোন ডাস্ট আর ওয়াটার রেজিস্টেন্স যুক্ত কিনা। একটি IP68 য়ের প্রোটেকশান ডাস্ট আর ওয়াটার রেজিস্টেন্সের জন্য সেরা আর সেখানে IP67 আর IP65 ঠিক ঠাক।
ক্যামেরা
ভাল ক্যামেরা ভাল ছবি তোলে তবে এই সময়ে স্মার্টফোনের জন্য এখন ক্যামেরা একটি প্রধান আর আসল ব্যাপার হয়ে যাচ্ছে। একটি ভাল ক্যামেরার স্মার্টফোনই সবাই খুঁজে থাকেন। আর অনেক কিছু মিলিয়ে একটি ফোনের ক্যামেরা ভাল হয়।
রেজিলিউশান
রেজিলিউশান মানে ডিটেল। মানে রেজিলিউশান আসলে ক্যামেরার নাম্বার অফ পিক্সাল দেখে। সাধারনত ধরা হয় যে ক্যামেরাতে যত বেশি রেজিলিউশান থাকবে ক্যামেরা তত ভাল হবে। তবে এটা ঠিক নয় যে ক্যামেরার মেগাপিক্সাল যত বেশি হবে তা তত বেশি ডিটেল ছবি নেবে। এর মানে এই যে ক্যামেরা সেন্সার কত মেগাপিক্সাল পর্যন্ত ছবি তুলতে পারে।
লেন্স
ক্রিস্টাল ক্লিয়ার হেজ ফ্রি ইমেজ দেয়। লেন্স লাইটে ফোকাস করে আর একটি টিপিকাল প্লাস্টিক লেন্সে থেকে একটি ক্যামেরার গ্লাস লেন্স অনেক বেশি দামি হয়। আপনারা অনেক সময়ে জাইসের লাইকা ব্র্যান্ডিং ক্যামেরাতে দেখতে পারবেন। আর এর থেকে সেই ক্যামেরা যে সেরা তা আপনারা বুঝে নিতে পারবেন।
অ্যাপার্চারঃ কম আলো তে বেশি ভাল ছবি তুলতে সাহায্য করে। অ্যাপার্চার f/1.4 এই ভাবে লেখা থাকে আর তাই আপনারা লেন্সে শুধু অ্যাপার্চারের নাম্বার দেখতে পাবেন। লাইট হিসাবে ক্যামেরা ওপেন করা হয় যা অ্যাপার্চার নাম্বার এন্সিওর করে।
ফোকাস মেথড নিশ্চিত করে যে আপনি যাতে কখনও দরকারি শট মিস না করেন। অটো ফোকাস, PDFA এই জাতীয় বিভিন্ন ফোকাসের নামে। একটু লাইট ফোকাস ক্যামেরার ক্ষেত্রে দরকার হয়।
স্টেবিলাইজেশান
ব্লার ফ্রি ইমেজ দেওয়াই এর প্রধান কাজ। যখন ছবি বা ভিডিও তোলা হয় তখন
তা কত অপ্টিকাল আর ইলেক্ট্রবিক ইমেজ স্টেবিলাইজেশান দেয় তাই দেখার। অপ্টিক্লা ইমেজ স্টেবিলাজেশান EIS য়ের থেকে বেশি কাজ করে।
ডুয়াল ক্যামেরা
যত বেশি ক্যামেরা থাকবে তত ভাল ছবি তোলা যাবে। দুটি ক্যামেরা আসার পরে ছবি তোলার অভিজ্ঞতা আগের থেকে ভাল হয়ে গেছে। দুটি ক্যামেরার একটি ফোকাল লেংথ ভাল করে আর একটি টেলি মোনোক্রোম সেন্সার।
ট্রিপেল ক্যামেরা
শার্প জুমের অভিজ্ঞতা দেয়। একটি ট্রিপেল লেন্সের ক্যামেরা আপনাকে অনেক বেশি ফ্লেক্সিবিলিটি দেয় আর এটি ভাল জুম অর্গানাইস করে।
পোট্রেড মোড
DSLR য়ের মতন ছবি তোলার অভিজ্ঞতা। পোট্রেড মোড বা বোখে মোড যা ব্যাকগ্রাইন্ড ব্লার করে যার ছবি তোলা হচ্ছে সেই ব্যাক্তির ছবি ভাল করে তুলতে সাহায্য করে। গুগল পিক্সাল ২ য়ে অসাধারন পোট্রেড মোড আছে।
সেলফি ক্যামেরা
অন্য কারোর সাহায্য ছাড়াই এর মাধ্যমে নিজের ছবি তোলা যায়। ফ্রন্ট ফেসিং ক্যামেরা আপনাকে আপনাদের ছবি তুলতে সাহায্য করে। এখন ক্যামেরার ফ্রন্টে ফ্ল্যাশও দেওয়া হচ্ছে। বিউটিফিকেশান ফিল্টার স্কিন প্লাস্টিকের মতন করে দেয় আর তাই সঠিক সেটিংসের মাধ্যমে ছবি তুলুন।
ভিডিও মোডঃ
সব স্মৃতিই সুমধুর আর সেই সব কিছু ভিডিওর মাধ্যমে সেভ করে রাখা যায়।
রেজিলিউশানঃ হায়ার রেজিলিউশানের মানে ভিডিও বা রেকর্ডিং আরও শার্প হবে। ভিডিও 4k তে 1080p আর 720p তে রেকর্ড করা যায়। হায়ার রেজিলিউশানের মানে এই যে আপনারা বড় স্ক্রিনে কোয়ালিটি খারাপ না করে সেই ভিডিও দেখতে পারবেন। হায়ার কোয়ালিটির ভিডিও আপনার স্টোরেজের অনেকটাই নিয়ে নেবে। আর তাই এই দিকটি খেয়াল রাখতে হবে।
ফ্রেম রেটঃ
হায়ার ফ্রেম রেট মানে আরও বেশি স্মুথ প্লেব্যাক। ফ্রেম রেট রিফ্রেস মানে যে আপনারা তোলা ছবি এক সেকেন্ডে কতটা নেওয়া যায়। মিনিমান ফ্রেম রেট 24 ফ্রেম পার সেকেন্ড আর এটি 60fps পর্যন্ত যেতে পারে।
স্লো মোশান
বিভিন্ন ভিডিও স্লো টাইম ডাউনে আসে। সুপার স্লো মোশান ভিডিও আসলে একটি অনেক হাই ফীন 180,240 য়ে শুট করা হয়। আর এই ধরনের ভিডিও আপনি প্লে করলে আসলে মুভিং জিনিস খুব স্লো মোশানে দেখায়।
অপারেটিং সিস্টেম
আপনি ফোন ব্যাবহার করে কতটা খুসি তা আপনার ফোনের অপারেটিং সিস্টেমে ব্যাবহার করছেন তার ওপর নির্ভর করছে। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে কিছু ইউনিক ফিচার হার্ডওয়্যার আর সফটোয়্যার দুই ক্ষেত্রেই থাকে। অ্যান্ড্রয়েডের সব ভার্সানের মধ্যে স্টক অ্যান্ড্রয়েড ফোন আপনার ফোনকে দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাবহার করলেও স্লো করেনা।
কাস্টমার অ্যান্ড্রয়েড UI
এটি একটি এক্সট্রা ফিচার যা স্টক অ্যান্ড্রয়েডের অংশ নয়। যেখানে গুগল স্টক অ্যান্ড্রয়েড ব্যাবহার করে তখন হুয়াওয়ে স্যামসং ও আরও অনেক অ্যান্ড্রয়েড স্টক অ্যান্ড্রয়েডে লেয়ার দেয়। যেমন হুয়াওয়ের EMUI স্যামসং য়ের ভার্সান স্যামসাং এক্সপিরিয়েন্স নামে পরিচিত। যাই হোক কাস্টম ভার্সান আর অ্যান্ড্রয়েড র্যাম আর প্রসেসিংয়ের ক্ষেত্রে একটু ডিমান্ডিং।
অ্যান্ড্রয়েড গো
লো এন্ডের ডিভাইস অ্যান্ড্রয়েডের এই ভার্সান ব্যাবহার করতে পারে। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য গুগল একটি বিল্ট লেভেল ভার্সান স্পেসিফিকেশান এনেছে যা 1GB র্যামের ফোনের জন্য ব্যাবহার করা যায়।
অ্যান্ড্রয়েড ওয়ান
অ্যান্ড্রয়েড ওয়ান প্রোগ্রামে গুগল দেখে যে এখানে হার্ডওয়্যার আর সফটোয়্যাররে ম্যাচ করে। এর এখানে ইউজার্সদের সেরা অ্যান্ড্রয়েড অভিজ্ঞতা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। অ্যান্ড্রয়েড গো 1Gb র্যামের জন্য হলেও অ্যাণ্ড্রয়েড ওয়ান এর বেশি র্যামের জন্য ব্যাবহার করা হয়।
সিকিউরিটি
অন্য কেউ যাতে আপনাদের ব্যাক্তিগত বিষয়ে নাক না গলাতে পারে তা দেখা হয়। এখন ফোন লক করার অনেক উপায় আছে। যাতে আপনি ছাড়া অন্য কেউ আপনার ফোনে আসতে না পারে।
ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সার
এর মাধ্যমে স্মার্টফোন সহজেই আনলক করা যায় আর এটি ফোনকে অনেক বেশি সুরক্ষিত রাখে। আপনার ইউনিক ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমেই ফোন আনলক করা যাবে আর সেই সঙ্গে এক্মতি ইউনিক প্যাটার্ন বা লক নাম্বারও থাকে যা আপনি ছাড়া আর কেউ আনলক করতে পারবেনা।
ফেস আনলক/ফেস আইডি
ফোনের দিকে তাকালেও ফোন আনলক হয়ে যাবে। অনেক ফোন ফেস আনলক ফিচারের সঙ্গে আসে। আসলে এটি একটি অ্যাপল OnePlus য়ের মতন ফোন নিয়ে আসে। তবে এখন অনেক ফোনই এই ফিচার রাখে। আর এর মানে এই যে আপনি শুধু ফোনের দিকে তাকালে তবেই ফোন আনলক হবে।
কানেক্টিভিটি
স্মার্টফোনে কানেক্টিভিটির মধ্যে ব্লুটুথ থেকে শুরু করে অনেক কিছুই আছে।
ডুয়াল সিম VS হাইব্রিড সিম
আপনার কাছে যদি দুটি সিম কার্ড থাকে তবে ডুয়াল সিম কার্ড যুক্ত ফোন আপনার জন্য আইডিয়াল। তবে অনেক স্মার্টফোনে হাইব্রিড সিম কার্ড সাপোর্ট করে। মানে দুটি সিম কার্ডের স্লটের একটি মাইক্রো এসডি কার্ডের স্লট। আর এর মানে আপনি সেই ফোনে হয় দুটি সিম কার্ড রাখতে পারবেন আর না হলে একটি সিম কার্ডের সঙ্গে একটি মাইক্রো SD কার্ড রাখা যাবে।
ডুয়াল VoLTE
ভয়েস ওভার LTE বা VoLTE ভয়েস কলিংয়ের জন্য একটি দ্রুত উপায়। এটি প্রথমে রিলায়েন্স জিও নিয়ে আসে আর পরে এয়ারটেলও এই সিস্টেমটি নিয়ে আসে। কেউ যদি ডুয়াল VoLTE স্মার্টফোন ব্যাবহার করেন তবে এটি একটি হট ফিচার যা এখন আপনারা ব্যাবহার করছেন। স্মার্টফোন 4G সিম্বল দেখালে তা সিম কার্ডেও থাকে।
NFC বা নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশান
NFC দুটি ফোনের মধ্যে ব্লুটুথের মাধ্যমে সহজে কানেক্ট করতে পারে। যদি দুটি ফোনে NFC থাকে তবে ফোন দুটিকে কাছাকাছি আনুন আর আপনি চাইলে ডিভাইস দুটি পেয়ার করতে পারবেন। এটি ব্লুটুথ স্পিকারের সঙ্গে কানেক্ট করার জন্য একটি খুবই ভাল উপায়।
অডিও জ্যাক
3.5mm অডিও জ্যাক অডিও পিসের জন্য খুবই ভাল ব্যাপার। এর মাধ্যমে আপনারা ফোনের গান বা অন্য কোন অডিও ফাইল সহজেই শুনতে পারবেন। USB –C 3.5mm সব সময়ে কম্পিপাটিবেল না