হাতে স্মার্টফোন থাকবে তাতে প্রয়োজনীয়, অপ্রয়োজনীয় গুচ্ছের অ্যাপ থাকবে না সেটা হয় নাকি! এখানে যেমন কাজের জন্য জরুরি অ্যাপ থাকে তেমনই এমন একাধিক অ্যাপ থাকে যা কোনও কাজে লাগে না। আর এই ধরনের অ্যাপ খামোকা ফোনে থাকা মানে ফোনের জায়গা দখল করে রাখা অকারণ। আর এই অ্যাপ না যায় ডিলিট করা, যা যায় অন্য কিছু করা। তখন বাধ্য হয়ে ফোন থেকে অন্যান্য জিনিস ডিলিট করে দিতে হয়। এমন অবস্থায় আমরা সবাই কখনও না কখনও পড়েছি। আর এই পরিস্থিতি যে কতটা বিরক্তিকর সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না নিশ্চয়!
আমার আপনার মতো যাঁরা সাধারণ অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারী তাঁদের এই সমস্যার কথা মাথায় রেখে প্রতিবাদ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকারের কম্পিটিশন কমিশন অব ইন্ডিয়া। আর এই সংস্থার চাপে পড়েই বেশ বড়সড় বদল আনছে Google। আর গুগলের বদল মানেই অ্যান্ড্রয়েড ফোনে বদল আসা। জানা গিয়েছে অন্য একটি ভ্যারিয়েন্ট ব্যবহার করতে পারবেন এখন ভারতীয় ব্যবহারকারীরা এই গুগল মোবাইল সার্ভিসের বদলে। এখানে গুগলের কোনও ইনবিল্ট অ্যাপ থাকবে না মোবাইলে। যিনি ফোন কিনবেন তিনি তাঁর পছন্দ অনুযায়ী অ্যাপ রাখতে পারবেন। এতদিন গ্রাহকদের এই স্বাধীনতা ছিল না।
এবার ভারতে যে মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো আছে সেগুলো দুটির মধ্যে, অর্থাৎ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডিস্ট্রিবিউশন এগ্রিমেন্ট বা ইন্ডিয়ান মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডিস্ট্রিবিউশন এগ্রিমেন্ট এর মধ্যে একটি বেছে নিতে পারবেন। কেউ যদি দ্বিতীয়টি বাছেন তাহলে মোবাইল সংস্থাগুলোর ক্ষেত্রে ইনবিল্ট কোনও অ্যাপ রাখতেই হবে এমন কোনও ব্যাপার থাকছে না। কিন্তু হ্যাঁ, এক্ষেত্রে এই মডেল কেবল ভারতেই বিক্রি করা যাবে, তার বাইরে নয়।
তবে যে ভারতেই কেবল এমন নয়া চুক্তি আনা হল সেটা নয়, একাধিক দেশেই এমন বহু চুক্তি রয়েছে। যেমন উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, ইউরোপের EMADA বা তুরস্কের TMADA, ইত্যাদি। এই চুক্তিতে বলা আছে প্রতিটি মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থা 11টি ইনবিল্ট অ্যাপ রাখতে বাধ্য ফোনে। একই সঙ্গে থাকবে সার্চ ইঞ্জিন এবং সার্চ বার। তবে ভারতীয় চুক্তিতে নিয়ম আলাদা। এখানে কোনও ইনবিল্ট অ্যাপ রাখা বাধ্যতামূলক নয়। গ্রাহকদের যেটা প্রয়োজন সেটা তাঁরা প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন। সেই স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে উল্লেখযোগ্য, Google যদি যায় তারা এই মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলোকে টাকা দিয়ে এই অ্যাপগুলো রাখতে বাধ্য করতে পারে। বা সংস্থাগুলো চাইলে অন্য কোনও থার্ড পার্টি অ্যাপকে প্রাধান্য দিতে পারে। এক্ষেত্রে যে গুগলের কোনও ইনবিল্ট অ্যাপ রাখা যাবে না এমনটা নয়। সার্চ বার কিংবা সার্চ ইঞ্জিন রাখার ক্ষেত্রেও কোনও বাধ্যতামূলক কিছু রাখা হচ্ছে না। গ্রাহকরা কোন ব্রাউজার বা সার্চ ইঞ্জিন বাছবেন সেটাও তাঁদের হাতেই থাকবে।