2023 সালে স্মার্টফোনের বাজার কেমন হবে? এই সেক্টর কী ফাটিয়ে ব্যবসা করবে? দেখুন ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ব্র্যান্ডের Flagship ফোনগুলো নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। নজর কাড়ছে। এই বিষয়ে বলা যায় IQOO 11 5G ফোনটির কথা। এছাড়া Tecno মোবাইলের তরফেও বাজেটের মধ্যে দারুন ভাল একটি Flagship ফোনের পর্দা উন্মোচন করা হয়েছে। Phantom X2 ফোনটিতে আছে একাধিক দুর্দান্ত ফিচার। কিন্তু Flagship ফোন ছাড়া, 15,000 টাকার মধ্যে যে বাজেট ফ্রেন্ডলি ফোনগুলো আছে সেগুলোর কী হবে?
বিগত কয়েক বছরে 15,000 টাকার মধ্যে যে ফোনগুলো পাওয়া যায় সেগুলো বেশ অনেকটাই উন্নতি করেছে, বদল এনেছে। কিন্তু এখন ধীরে ধীরে দেখা যাচ্ছে সেগুলো যেন এক জায়গা স্থির হয়ে যাচ্ছে। উন্নতি নেই কোনও। যেটা বদলাচ্ছে সেটা হল দাম। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে Redmi Note ফোনগুলোর কথা। আগে এই ফোনগুলো বেশ সস্তা ছিল। আর এখন সেগুলোর দাম বেশ বেড়ে গিয়েছে। এছাড়া Realme -এর যে নম্বর সিরিজ আছে, অর্থাৎ Realme 9, Realme 10 ইত্যাদির দাম প্রতি বছর বাড়ানো হচ্ছে। তবে যাই হয়ে যাক না কেন 2023 সালে দাঁড়িয়ে এখন ক্রেতা বা গ্রাহক হিসেবে আপনার কিছু জায়গায় আপোস করা মোটেই উচিত নয়। এর মধ্যে আছে ফোনের ডিসপ্লে, চার্জিং, ইত্যাদি।
উন্নতমানের ডিসপ্লে: আজকাল সমস্ত ব্র্যান্ডের ফোনেই দেখা যাচ্ছে যে তারা রিফ্রেশ রেটের উপর বেশি জোর দিচ্ছে ডিসপ্লে প্যানেল কোয়ালিটির বদলে। ফলে অনেক ব্র্যান্ড এই করতে গিয়ে AMOLED ডিসপ্লের বদলে LCD ডিসপ্লে দিচ্ছে ফোনে। কিন্তু বেশি ভাল রঙ এবং ভিউয়িং অভিজ্ঞতা মেলে AMOLED ডিসপ্লেতে। ব্র্যান্ড এবং কাস্টমার দুজনকেই মনে রাখতে হবে ডিসপ্লে হচ্ছে একটি ফোনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পড়াশোনা হোক, গেম খেলা হোক বা কাজ সবের জন্যই ভাল ডিসপ্লে প্রয়োজন। যদি ডিসপ্লে ভাল না হয়, আদতে ফোনটা বেকার হয়ে যাওয়া।
আল্ট্রা ওয়াইড ক্যামেরা: গত কয়েক বছরে সব ফোনের ব্র্যান্ডকে কোয়াড ক্যামেরা দিতে দেখা যাচ্ছিল ফোনে। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই গ্রাহকরা বুঝলেন এক চারটির মধ্যে 2 আদতেই কোনও কাজের নয়। ফলে এখানে দাঁড়িয়ে ব্র্যান্ডগুলোকে আশ্বাস দিতে হবে যে সব ফোনে যেন একটি করে ভালো পিক্সেল যুক্ত প্রাইমারি ক্যামেরা এবং একটি আল্ট্রা ওয়াইড ক্যামেরা থাকে। কারণ অনেক সময় বাজেট ফোনে থাকা ম্যাক্রো বা পোট্রেট ক্যামেরা অত ভাল হয় না। উল্টে আল্ট্রা ওয়াইড ক্যামেরা অনেক কাজে লাগে।
33W চার্জিং: আজকাল বাজেট, মিড রেঞ্জ, হাই রেঞ্জ- কম বেশি সব ফোনেই 5000 mAh ব্যাটারি মেলে। কিন্তু বাজেট ফোনগুলোর ক্ষেত্রে দেখা যায় চার্জিং স্পিড কখনও 10W, কখনও 18W তো কখনও 22W! ফলে এটা ঠিক করা প্রয়োজন। 2023 সালে দাঁড়িয়ে সব ফোনেই অন্তত 33W ফাস্ট চার্জিং এর সুবিধা থাকা আবশ্যক। এটার সাহায্যে দ্রুত মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে ফোন চার্জ দেওয়া যাবে। Xiaomi এবং Realme -এর তরফে এটা শুরু করা হয়েছে, বাকিদেরও এক পথে হাঁটা প্রয়োজন।
5G: যেহেতু দেশে ইতিমধ্যেই এই পঞ্চম জেনারেশনের নেটওয়ার্ক উপলব্ধ হয়ে গিয়েছে সেহেতু 15,000 টাকার মধ্যে সমস্ত ফোনেই 5G সাপোর্ট থাকা বাধ্যতামূলক করা হোক। ফলে 2023 সালে এটাও একটা অতি আবশ্যক ফিচার হয়ে দাঁড়িয়েছে স্মার্টফোনগুলোর ক্ষেত্রে। কারণ আজকাল অধিকাংশ গ্রাহকরাই চাইছেন তাঁদের ফোনে দ্রুত গতির ইন্টারনেট সাপোর্ট করুক।
সহজ ইউজার ইন্টারফেস: এবার সফটওয়্যারের কথা বলা যাক। অপারেটিং সিস্টেম উন্নত করা প্রয়োজন OEM গুলোর। গ্রাহকরা সহজ ইউজার ইন্টারফেস পেতে চান। Oppo, ইত্যাদি ব্র্যান্ড তাদের Color OS এর সাহায্যে বেশ ভালো কাজ করছে। কিন্তু অতিরিক্ত অপশন থাকা সবসময় ঠিক জিনিস নয়।