যখন প্রথম দিকে ল্যাপটপ এসেছিল সেই সময়ে ল্যাপটপ নিয়ে যাতায়াত করা খুব একটা আরামাদায়ক হতনা। কারন সেই সময়ে ল্যাপটপ অনেক বেশি ভারি হত। তবে যদি দিন এগোচ্ছে, প্রযুক্তি উন্নত থেকে উন্নততর হচ্ছে তত ল্যাপটপও আগের থেকে প্রতিদিন অনেক বেশি কম্প্যাক্ট হচ্ছে। আসলে এখন স্মার্টফোনের মতন প্রযুক্তিগত দিক থেকে ল্যাপটপও অনেক বেশি উন্নত হচ্ছে। তবে এসবের সঙ্গে একটি নতুন সমস্যা দেখা যাচ্ছে তা হল ব্যাটারির সমস্যা। আর আপনারা যখন কোথাউ যান সেই সময়ে রাস্তায় সব থেকে বেশি এই সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়। ফোনের ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা দিলে পাওয়ার ব্যাঙ্কের মাধ্যমে তা চার্জ করে সেই সমস্যার হাত থেকে রেহাই পেলেও ল্যাপটপের ক্ষেত্রে তা হয়না।
আমরা আগেও আপনাদের বলেছি আর আবারও বলছি যে ল্যাপটপ যত বেশি উন্নত ফিচারের সঙ্গে আসছে তার ব্যাটারির সমস্যা ততবেশি দেখা দিচ্ছে। আর পাওয়ার ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ল্যাপটপ চার্জ দেওয়া সম্ভব নয় আর সে চেষ্টা করলে রাস্তা ঘাটে বড়সড় দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও থেকে যায়। আর তাই আজকে আমরা আপনাদের এমন কিছু সহজ উপায় বলব যার মাধ্যমে আপনারা ল্যাপটপের ব্যাটারি লাইফ বাঁচাতে পারবেন।
যে কোন স্মার্ট ডিভাইস যাতে ডিসপ্লে আছে তার বেশি ব্যাটারি শেষ হওয়ার কারন ডিসপ্লে। আর এই খরচ বাঁচানোর জন্য সবার আগে স্ক্রিন ডিম করে দিন। আর এই রকম করলে আপনার ল্যাপটপের ব্যাটারিতে অনেক পার্থক্য দেখা যাবে।
আর এর পরে আপনাদের নিজেদের ল্যাপটপের পাওয়ার সেটিংসে কিছু পরিবর্তন করতে হবে। উইন্ডোতে আপনারা এই ধরনের কিছু শক্তিশালী পাওয়ার ফিচার পাবেন। আর এর মধ্যে পরিবর্তন করে আপনারা অনেক কিছু দেখতে পারবেন। আপনারা না জানলে আপনাদের বলে রাখি যে আপনারা কি করে এরকম করবেন। এর জন্য প্রথমে আপনাদের সার্চ বক্সে যেতে হবে আর সেখানে পাওয়ার টাইপ করতে হবে, আর এর পরে আপনাদের পাওয়ার সেভারের লিস্ট বাছতে হবে। আর ইউন্ডো মোবিলিটিতে গিয়েও আপনারা ব্যাটারি লাইফ বাঁচানোর কিছু নিয়ম পেয়ে যাবেন।
আমাদের ফোনে মতন আমরা ল্যাপটপেও ওয়াই-ফাই বটন অন করে ভুলে যাই যে এটি অন আছে। আর আমরা ওয়াই-ফাইয়ের রেঞ্জে এলেই তা কাজ শুরু করে দেয়। আর এর মানে এই যে এখানেও বেশি ব্যাটারি খরচ হয়। আপনারা যদি ওয়াই-ফাই নিজেদের ফোনের সঙ্গে সঙ্গে ল্যাপটপ থেকেও বন্ধ করে দেন তবে আপনাদের দুটি ডিভাইসেরই ব্যাটারি বেঁচে যাবে।
যদি আপনাদের ডিস্ক ড্রাইভে কিছু থাকে তবে ল্যাপটপের ব্যাটারি তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। তবে আপনারা যদি এটি খালি রাখেন তবে এতে থাকা ল্যাপটপের ব্যাটারি শেষ হয়না আর ব্যাটারি লাইফও বেঁচে যেতে পারে।
উইন্ডোতে আপনারা কিছু হ্যান্ডি বিল্ট ইন ফিচার্স পাবেন, তবে এর মধ্যে এমন কিছু থাকে যা নিজে থেকেই কাজ করা শুরু করে দেয়। আর এর থেকে বাচার জন্য আর ল্যাপটপের ব্যাটারি সেভ করার জন্য আপনাদের এগুলি বন্ধ করতে হবে। আর এর পরে আপনাদের ল্যাপটপের ব্যাটারির ক্ষেত্রে বেশি ভাল থাকবে।
এই আর্টিকেলে বলা এই ছোট ছোট সহজ উপায় গুলি যদি একবার ট্রাই করে দেখেন তবে দেখবেন যে আপনার ল্যাপটপের ব্যাটারি আগের থেকে অনেক বেশি সেভ হচ্ছে। আর এই স্টেপ গুলি ফলো করে আপনাদের ল্যাপটপের ব্যাটারি সেভ হচ্ছে কিনা বা হলে কতটা হচ্ছে তা আমাদের জানাতে ভুলবেন না।