আজকাল তো সবই মুঠোফোনে বন্দি। জামা কাপড় অর্ডার করা হোক বা সবজি, ওষুধ হোক বা খাবার সবই অনলাইনে এক ক্লিকেই উপলব্ধ। Zomato, Swiggy থেকে হামেশাই আমরা খাবার অর্ডার করে থাকি। অনেকেই আবার এটিকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। কিন্তু এই যাঁরা এই মাধ্যমকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তাঁরা কেউ কেউ অতিরিক্ত কিছু অর্থ রোজগার করার জন্য অসাধু উপায় অবলম্বন করছেন। ঘুষ নিয়ে তো কেউ কেউ আবার দারুন সস্তায় খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন। কোথাও আবার 1,000 টাকার খাবার মাত্র 200 থেকে 300 টাকায় ডেলিভারি করা হচ্ছে। কিন্তু এটা কী করে সম্ভব? আসলে ঘটছেটা কী?
Zomato -এর এই ডেলিভারি স্ক্যামের কথা খোদ এই সংস্থার সিইও প্রকাশ্য আনলেন। LinkedIn-এ তিনি পোস্ট করে এই প্রতারণা চক্রের কথা ফাঁস করে দেন। দীপিন্দর গোয়েল, Zomato -এর সিইও LinkedIn এ পোস্ট করেন এই বিষয়ে। বিনয় সাতি নামক এক ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রথমে বিষয়টা পোস্ট করেন। তিনি জানান এক Zomato ডেলিভারি এজেন্ট তাঁকে বলেন যে অনলাইনে কেন টাকা দেন? ক্যাশ পেমেন্ট করুন। তিনি জানান তাঁকে সেই এজেন্ট বলেন মাত্র 200 টাকাতেই 700-800 টাকার খাবার পাওয়া যাবে। কিন্তু সেটা কীভাবে সম্ভব? এই ডেলিভারি এজেন্ট Zomato -কে দেখাবে যে গ্রাহক খাবার নিতে চাননি। অথচ খাবার দেওয়া হবে সেই একই গ্রাহককে। আর এই কাজের জন্য তিনি গ্রাহকের থেকে 200-300 টাকা ঘুষ হিসেবে নিয়ে নেবেন।
বিনয় তাঁর এই পোস্টে Zomato -এর সিইওকে মেনশন করে লেখেন যে আপনি নিশ্চয় বলবেন না যে আপনি এই বিষয়টা জানেন না? আর এই সমস্যা জানার পর যদি আপনি সমস্যার সমাধান করতে না পারেন তাহলে আপনাদের IIM -এর লোকেরা কী করছে? বিনয় সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পোস্ট করার পরই সেটা ভাইরাল হয়ে যায়। তিনি এই পোস্টে আরও জানান যে হয় তিনি এই অফার নিতেন বা যে প্রতারণা চক্র চলছে সেটা ফাঁস করে দেবেন। সচেতন নাগরিক হিসেবে তিনি দ্বিতীয়টা বেছে নেন।
বিনয়ের এই পোস্টে Zomato -এর তরফে জানানো হয় যে তাঁরা এই সমস্যা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এবং এই বিষয় নিয়ে তাঁরা কাজ করছেন। তবে একা Zomato নয়, Swiggy সহ একাধিক অনলাইন ক্যাব বুকিং অ্যাপ ব্যবহার করে অনেকেই এই অসাধু ব্যবসা চালান। অতিরিক্ত রোজগারের পথ হিসেবে এটা তাঁরা বেছে নেন। অনেকেই আবার নিজেদের পকেট বাঁচাতে এতে সাথ দেন। কিন্তু বিনয় সেটা না করে সত্যতা প্রকাশ্যে আনেন।