নিজের নিকটজনকে এভাবে বাঁচান ভয়াবহ ‘মোমো চ্যালেঞ্জ’ য়ের হাত থেকে
সম্প্রতি আমাদের রাজ্যে কিছু অস্বাভাবিক ভাবে বাচ্চাদের মৃত্যু থেকে এই গেমের হাত আছে বলে মনে করা হচ্ছে
আপনাদের নিশ্চই মনে আছে গত বছরের ভয়ঙ্কর মারন গেম ব্লুহোয়েলের কথা আর আজকে আমরা এই সময়ের বহু চর্চিত ‘ মোমো চ্যালেঞ্চ’ বিষয়ে আপনাদের কিছু সতর্কতা র কথা জানাচ্ছি।
সম্প্রতি আমাদের রাজ্যে কিছু অস্বাভাবিক ভাবে বাচ্চাদের মৃত্যু থেকে এই গেমের হাত আছে বলে মনে করা হচ্ছে। আর সম্প্রতি এক IT কর্মিও এই ধরনের মেসেজ পেয়ে কলকাতা পুলিসকে জানান।
সম্প্রতি এও জানা গেছে যে অনলাইনে বিদেশের নম্বর নিয়ে কোন অ্যাপের মাধ্যমে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে কিছু দুষ্কৃতি। তাদের হাত থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য পুলিস ও প্রশাসন নিজেদের কাজ করছে আর এবার এর সঙ্গে নিজদের কিছু সচেতনতাও এই ভয়ঙ্কর গেমের হাত থেকে আমাদের বাঁচতে সাহায্য করবে।
এই মোমো চ্যালেঞ্চ হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজের মাধ্যমে ছড়াচ্ছে । আননোন নম্বর থেকে ভয়াবহ মোমোর ছবি র ডিপি যুক্ত একটি নাম্বার থেকে মেসেজ আসছে। আর সেই মেসেজের লিঙ্ক খুললেই আপনি ঢুকে যাবেন এই খেলায় আর এর পর একের পর এক ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জ আর শেষ পরিণতি মৃত্যু। আসুন তবে এই মারন গেমের হাত থেকে বাচার কিছু উপায় আমরা এখানে জেনে নি।
আর এই মোমোর মেন টার্গেট অল্প বয়সি বাচ্চা বা কিশোর কিশোরি। আর তাই নিজেদের পড়িবারের প্রতি সজাগ থাকুন। আসুন দেখে নেওয়া যাক এই বিষয়ে কিছু দরকারি তথ্য।
কি করে বুঝবেন যে কেই এই গেমের খপ্পরে পরেছে
১। যদি কোন বাচ্চা বা কেউ নিজেতেই মগ্ন থাকে আর নিজের পড়িবার বা বন্ধুদের সঙ্গে সময় না কাটায় তবে হতে পারে যে সে এই গেমের খপ্পরে পরেছে।
২। যদি বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার কথা বলে তবে সাবধান হন, আর তার দিকে খেয়াল করুন।
৩। বাচ্চাদের ঘুমাতে যাওয়া বা ঘুম থেকে ওঠার বিষয়ে খেয়াল রাখুন এতে যদি কোন আচমকা পরিবর্তন দেখা যায় তবে সাবধান হোন।
৪। খেয়াল রাখুন যে সে খুব বেশি চিন্তিত নেই তো!
মোমো চ্যালেঞ্জের হাত থেকে কি করে বাচাবেন
১। আপনি যদি জানতে পারনে যে আপনার নিকটজন এই গেম খেলছে তবে প্রথমে গেম থেকে তাকে দূরে করার চেস্টা করুন। এটা খুব সহজ না হলেও এটাই প্রথম পদক্ষেপ।
২। আর এবার ইন্টারনেট প্রোগ্রাম তাড়াতাড়ি বন্ধ করে দিন
৩। লোকাল পুলিসকে তাড়াতাড়ি খবর দিন
৪। আর এবার তার সঙ্গে সময়ে কাটান যে এই গেমের খপ্পরে পরেছিল।
৫। এটি একটি নেশার মতন তাই নেশা নিরাময় দরকার আর এই সময়ে সব সময়ে তার কাছে থাকুন আর তাকে মানসিক সাপোর্ট দিন।
৬। বেশিক্ষন বাচ্চাকে একা রাখবেন না
৭। চাইল্ড সাইকোলজারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন
৭। বকা বা মারামারি করবেন না
আর সবার শেষে আমরা বলব যে কি করে এটা খেয়াল রাখবে যে আপনার সন্তান যাতে এই ধরনের গেমের খপ্পরে না পরে
১। বাচ্চাকে সময় দিন যাতে তাকে সোশাল মিডিয়ায় বেশি সময় না কাটাতে হয় তা দেখুন।
২। এই গেম বা এই ধরনের গেমের বিষয়ে কথা বলে আগে থেকেই তাকে সচেতন রাখুন।,
৩। এটা খেয়াল রাখুব যে আপনারা সন্তান ইন্টারনেটে বা ওয়েবসাইটে যাতে বেশি সময় না কাটায়। কারন এইভাবে বাজে খপ্পরে পরার সম্ভাবনা আছে।
৪। ইন্টারনেট কানেকশানে পেরেময় কন্ট্রোলের সুবিধা নিন যা অ্যান্টি ভাইরাসের সঙ্গে আসে।
৫। বাড়িতে চোখের সামনে কম্পিউটার রাখুন, কারন কখন এই ধরনের কোন গেম কোন মাধ্যমে আসবে কেউ বলতে পারেনা।
এর মধ্যে আমরা একটা বিষয়ে জেনেছি যে যে বা যারা সোশাল মিডিয়াতে নিরাশা জনক পোস্ট করেছেন বা করেন তারাই এই মেসেজ পেয়েছেন। তাই সোশাল মিডিয়ার যে কোন পোস্ট করার আগে ভাবুন। আর কোন ব্যাক্তিগত তথ্য কাউকে না দেওয়াই ভাল। মনে রাখবেন কখনও ব্লু হোয়েল কখনো মোমো চ্যালেঞ্জ আর কখনও বা অন্য কোন ভাবে এভাবেই কিছু মানুষ আমাদের আতঙ্কিত করতে চায়। তাই সব সময়ে সাবধান থাকুন।