বহুকাল ধরেই আমাদের প্রাথমিক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নিরিক্ষা হয় ইঁদুরের ওপরে। আর সেখানকার সাফল্য আর ব্যর্থতার ওপর নির্ভর করে সেই পরীক্ষার সফলতা বা ব্যার্থতা। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন কি যে কেন এই সমস্ত পরীক্ষাই হয় ইঁদুরের ওপরে। কি ভাবছেন ?? তবে আসুন আজকে একবার এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে দেখার চেষ্টা করা যাক।
আসলে ইঁদুর বৈজ্ঞানিকদের পরীক্ষার ক্ষেত্রে সেভাবে কোন ক্ষতি করেনা। আসলে এতাও মনে রাখতে হবে যে ইঁদুরের প্রজনন খুব তাড়াতাড়ি হয়। আর এর মানে আপনি একটি বা একাধিক পরীক্ষার জন্য অনেক বেশি সংখ্যক প্রাণী পাওয়া যায়। আর তাও সস্তায়। আর এদের একবারেই একাধিক প্রজন্মের ওপরেও কাজ করা যায়।
আর এর সঙ্গে এও মনে রাখতে হবে যে ইঁদুর হল সেই ধরনের প্রাণী যাদের লিবিডো বেশি। আর আমাদের ৯০ শতাংশর বেশি জিন ইঁদুরের সঙ্গে মেলে। আর তাই মানুষের জিনের ওপর কিসের কেমন প্রভাব পরবে তা বুঝতে সুবিধা হয়। জেনেটিক ছারাও ইঁদুরের বায়োলজিকাল সিস্টেম ( যেমন অর্গান) অনেকটাই মানুষের মতন কাজ করে।
আর এছাড়া বিজ্ঞানীরা ইঁদুরের ওপরে পরীক্ষা করে তার আরও একটি কারন এই যে এদের মধ্যে জেনেটিকালি মডিফায়েড হয়। আর এর মানে এই যে বৈজ্ঞানিকরা এদেরকে ম্যানুপুলেট করতে পারে আর জিনকে ইনঅ্যাক্টিভ করতে পারে।