ফের ফিরছে করোনা আতঙ্ক। নতুন করে ছড়িয়ে পড়ছে এই মারণ রোগ। আবারও চরিত্র বদলেছে করোনা। এবং এই ভ্যারিয়েন্ট আরও শক্তিশালী আরও ভয়ঙ্কর বলেই দাবি করা হচ্ছে। চিনে ফের আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আর তার মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে নানা তথ্য। এবং বলাই বাহুল্য এই তথ্যের অধিকাংশই ভুল। কিন্তু সাধারণ মানুষ এই তথ্যগুলো সঠিক না বেঠিক সেটা যাচাই না করেই সেটা বিশ্বাস করছেন। ফলে আতঙ্ক আরও ছড়াচ্ছে। কেউ সঠিক তথ্য সামনে তুলে ধরলে কনফিউসন আরও বাড়ছে। বাড়ছে ধন্দ। কিন্তু আসল খবরটা কী? কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হল সোশ্যাল মিডিয়ায় যে খবর ছড়াচ্ছে সেটা ভুল।
চিনে ইতিমধ্যেই ভয়ঙ্কর হারে ছড়াচ্ছে করোনা। ফলে আশঙ্কার প্রহর গুনছে ভারতও। বৃহস্পতিবার সংসদে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে এক দফা। বিকেলে প্রধানমন্ত্রী ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের সঙ্গে মিটিংয়ে বসেছিলেন। মনে করা হচ্ছে আবারও মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হবে। একদিকে করোনা ছড়ানোর ভয় তার মধ্যে ভুয়ো খবরের আতঙ্ক। দুইয়ে মিলে জর্জরিত সাধারণ মানুষ। কোনটা সঠিক খবর কোনটা ভুল তথ্য কিছুই বোঝা যাচ্ছে না।
অনেকেই দাবি করছেন ওমিক্রণের অভিযোজন হয়েই নাকি এই XBB ভ্যারিয়েন্ট তৈরি হয়েছে। কারও পোস্টে আবার দাবি করা হয়েছে এই ভ্যারিয়েন্ট নাকি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট এর তুলনায় 5 গুণ বেশি শক্তিশালী। একটি পোস্টে তো সোজাসুজি বলা হয়েছে যে ভ্যারিয়েন্ট ফুসফুসের উপর আঘাত করে। ভীষণ ক্ষতি করে দেয় ফুসফুসের। তবে এই রোগের নাকি কোনও উপসর্গ নেই। আবার রিপোর্ট নাকি নেগেটিভ আসে! তাই নাকি দ্রুত মানুষের মধ্যে ছড়ায়। এমন বহু তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর এসব দেখে শুনে সবাই ভীষণ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
তবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হল এটা সম্পূর্ণ ভুল তথ্য। সরকারি টুইটার হ্যান্ডেলে এই ভুয়ো মেসেজের স্ক্রিনশট পোস্ট করে জানানো হয় এই সর্বৈব ভুল। একই সঙ্গে জানানো হয় যে এই মেসেজের মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। তবে হ্যাঁ, সাবধানের মার নেই! তাই সতর্কতা হিসেবে অবশ্যই জনবহুল এলাকায় গেলে মাস্ক পরুন, স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। পারলে ভিড় এড়িয়ে চলুন।