2022 সালের ভারতের Union Budget-এ ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে দেশের অর্থমন্ত্রী Nirmala Sitharaman একপ্রকার সকলকে চমকে দিয়েই নতুন ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এবার নিজস্ব Digital Currency পেতে চলেছে ভারত। ব্লকচেইন টেকনোলজি ব্যবহার করেই ডিজিটাল কারেন্সি চালু হতে চলেছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এই কারেন্সির নাম রাখা হয়েছে Central Bank Digital Currency (CBDC)। ডিজিটাল কারেন্সি গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পরার পর দিয়েই কেন্দ্রীয় সরকার নিজস্ব কারেন্সি সম্পর্কে ভাবনা-চিন্তা এবং গবেষণা চালাচ্ছিল। গতবছর সংসদেই সরকার থেকে জানানো হয়েছিল RBI এই CBDC চালু করার চেষ্টা চালাচ্ছে। বহু অপেক্ষার পর অবশেষে ভারতীয় ইনভেস্টরসরা পেতে চলেছেন নিজস্ব কারেন্সি।
যদিও Bitcoin বা অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সির এই দেশে ভবিষ্যতের ব্যাপারে কিছু জানাননি অর্থমন্ত্রী, তবে নতুন এই সরকারি মুদ্রা 2022-23 এর মধ্যেই চালু হয়ে যাবে বলে ঘোষণা করে দিয়েছেন। যদিও বিভিন্ন মহল থেকে শোনা যাচ্ছে যে, একবার কেন্দ্রীয় ভার্চুয়াল কারেন্সি শুরু হলেই Bitcoin ও অন্যান্য কারেন্সিগুলি এই দেশে ব্যান করা হতে পারে। যা ক্রিপ্টো দুনিয়ায় চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। ভারতীয় ভার্চুয়াল কারেন্সির ইনভেস্টররা রীতিমতো আতঙ্কিত এই বিষয়টি নিয়ে।
Crypto Currency হল একপ্রকার ডিজিটাল কারেন্সি যা ফিজিক্যালি আপনি কোনোদিন ফিল করতে পারবেননা, তবে সঠিক পদ্ধতিতে চললে আপনার অনলাইন ওয়ালেট ফুলে ফেঁপে উঠবে। ক্রিপ্টো কারেন্সি প্রথম যখন আসে মানুষ সেভাবে সিরিয়াসলি নেয়নি, কিন্তু পরবর্তীকালে এই ভার্চুয়াল কারেন্সিই ঘুম কেরেছে গোটা বিশ্বের। এটির কোনো ব্যাঙ্কিং পরিষেবা নেই, পুরোটাই ভার্চুয়ালি মেন্টেন হয়।
সাধারণ টাকা ও ক্রিপ্টো কারন্সির মধ্যে গোলালে সমস্যা। নগদ টাকা আপনি যেকোনো জায়গায় ব্যবহার করতে পারবেন। সেখানে কিছু ব্যবসায় লেনদেনে ডিজিটাল কারেন্সি ব্যবহার হলেও তা সব জায়গায় ব্যবহার করা যায়না। বেগুলি পার্সোনালি বানানো সম্পদ। এই কারেন্সি অনেক দেশেই বেআইনি অথবা গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু ভারতীয় ভার্চুয়াল কারেন্সি যেটি আসতে চলেছে তা ভারতীয় সরকার অনুমোদিত, অর্থাৎ এটি আইনত ব্যবহার যোগ্য। সুতরাং একবার এই কারেন্সি লঞ্চ হয়ে গেলে দেশের মানুষ দুই ধরনের কারেন্সি ব্যবহার করতে পারবে। একটি ছাপানো কাগজে ফিজিক্যাল কারেন্সি, আরেকটি পুরোপুরি অনলাইনে ডিজিটাল কারেন্সি। এবং এই দুই কারেন্সিই দেশের নাগরিক যেকোনো কাজে ব্যবহার করতে পারবে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অসংখ্য বার এই ক্রিপ্টো কারেন্সি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ক্রিপ্টো কারেন্সির সিকিউরিটি বা সেফটি নিয়ে একদিকে যেমন প্রশ্ন করা হয়েছে, তেমনি অন্যদিকে, বিভিন্ন ক্রিমিনাল অ্যাক্ট, বেআইনি কাজ, ট্যাক্স ফাঁকি, টেরোরিসিমে সাহায্য ইত্যাদি নিয়েও চিন্তিত রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এইসকল কারণের জন্যেই নিজস্ব কারেন্সি এনে কেন্দ্রীয় সরকার এইসকল বেআইনি কাজের মোকাবিলা করতে চায়।ব্লকচেইন টেকনোলজির জন্য ডিজিটাল কারেন্সিরও যাবতীয় ডেটা কালেক্ট করবে সরকার। তাই কোনো ভুল-ত্রুটি করাও যাবেনা। এই কারেন্সি সাধারণ মানুষের যেকেউ ব্যবহার করতে পারবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভবিষ্যতে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির কারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট অনেকটা দখল করতে চলেছে।