1997 সালে মুক্তি পেয়েছিল এক কালজয়ী ছবি। যা দর্শককে প্রেমের এক নতুন মানে শিখিয়েছিল। দুটো কাল্পনিক চরিত্র অসংখ্য মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছিল। জেমস ক্যামেরনের টাইটানিক দীর্ঘ থেকে পঁচিশ বছর আগে মুক্তি পেয়েছিল বড় পর্দায়। একটা ডুবে যাওয়া জাহাজে দুই যুবক যুবতীর প্রেমের গল্প পৃথিবীর অসংখ্য দর্শককে দারুন মুগ্ধ করেছিল। রোজ আর জ্যাকের চরিত্র এই ছবির মতোই কালজয়ী হয়ে উঠেছিল।
জেমস ক্যামেরনের সেই ছবিতে জ্যাকের চরিত্রে লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও আর রোজের চরিত্রে কেট উইন্সলেটকে দেখা গিয়েছিল। টাইটানিক মোট 11টি অ্যাকাডেমিক পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিল। এর মধ্যে ছিল সেরা ছবি, পরিচালক, সেরা অরিজিন্যাল সং বিভাগ। ইতিহাস রচনা করেছিল লিওনার্দো এবং কেট অভিনীত এই ছবি।
এবার সেই ছবিরই রিমাস্টার্ড ভার্সন আসতে চলেছে। টাইটানিকে দেখে গিয়েছিল জাহাজ ডুবির পর অতলান্তিক মহাসাগরের ঠাণ্ডা জলে চিরতরে তলিয়ে যায় জ্যাক। অনেক কষ্ট সহ্য করে ফিরে আসে রোজ। কিন্তু তার মনে অমলিন থেকে যায় জ্যাকের স্মৃতি। কিন্তু জ্যাক সত্যি মরে গিয়েছিল? ওদের এত সুন্দর সম্পর্কটা অসমাপ্ত থেকে যাবে এই প্রশ্ন দর্শকদের মনে বারবার ঘুরে ফিরে এসেছে।
কেট উইন্সলেট বহুবার বহু ইন্টারভিউতে অকপটে স্বীকার করেছেন রোজের চরিত্রের জন্যই তিনি এতটা খ্যাতি, পরিচিতি পেয়েছেন। এই ছবিই তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে তুলেছে। টাইটানিকে কেটের রূপ, গ্ল্যামার চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছিল দর্শকদের।
কেট একবার একটি ইন্টারভিউতে বলেছিলেন তিনি একবার যখন ভারতে আসেন তখন তিনি একাই হিমাচলের একটি পাহাড়ি জায়গায় গিয়েছিলেন। সেখানে এক বয়স্ক তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলেন তিনিই টাইটানিকের সেই রোজ কিনা। তাঁর কথা অনুযায়ী বয়স্ক লোকটির বয়স 85 হবে, এক চোখে দেখতেও পান না তবুও তিনি কেটকে চিনেছিলেন, এবং সেই টাইটানিক ছবির জন্যই চিনেছিলেন। এই ঘটনা কেট উইন্সলেটকে দারুন ভাবে নাড়া দিয়ে যায়। তিনি এই ঘটনার পর বোঝেন সিনেমাটা আসলেই বহু মানুষের পছন্দের।
শোনা যাচ্ছে 2023 এ মুক্তি পাবে Remastered version of Titanic। ভ্যালেন্টাইন্স ডের আগেই প্রেমের এই ছবি নতুন করে গোটা পৃথিবীকে মাতাতে আসছে। 10 ফেব্রুয়ারি 2023 এ মুক্তি পাবে এই ছবিটি। ডিজনির ব্যানারেই মুক্তি পাবে। বিশ্ব জুড়েই মুক্তি পাবে টাইটানিকের রিমাস্টার্ড ভার্সন।
কাদের রোজ এবং জ্যাকের চরিত্রে দেখা যাবে তা এখনও জানা যায়নি। আগামীদিনে প্রকাশ্যে আসবে।
টাইটানিক ছবিটি স্বর্ণাক্ষরে যেন তার নাম সিনেমার ইতিহাসে লিখে রেখেছে। এই ছবির যা রেকর্ড তা খুব কম ছবির আছে। গ্লোবাল বক্স অফিসে টাইটানিকের মোট কালেকশন হল 2.2 বিলিয়ন। বক্স অফিসে দারুন হিট করেছিল এই প্রেমের উপাখ্যান। সেরা উপার্জন করা ছবির তালিকায় তিন নম্বরে নাম রয়েছে টাইটানিকের। এবার আসছে সেই ছবির রিমাস্টার্ড ভার্সন।
টাইটানিক ছবিটি বিশ্বব্যাপী সিনেমা প্রেমিকদের কাছে পছন্দের। নস্টালজিয়াও বলা চলে। সেই কালজয়ী ছবি সবার নস্টালজিয়া উস্কে দিতে আরও একবার বড় পর্দায় আসছে। এই কথা ঘোষণা করতে Lightstorm Entertainment এর সিওও 36 ঘণ্টার বিমান যাত্রা করে আসেন। এমনই সম্পর্ক ক্যামেরন এবং Lightstorm এন্টারটেইনমেন্টের। এখন শুধু এই ছবির মুক্তি পাওয়ার অপেক্ষা।