আমরা জানি যে পৃথিবীর উষ্ণায়নের ফলে বাড়ছে দূষণের মাত্রা। আর তার ফলে বিপদে আমাদের প্রিয় গ্রহ। কিন্তু সাম্প্রতিক একটি খবরে আরও ভয়ঙ্কর সত্যি উঠে এসেছে। সম্প্রতি বিজ্ঞান বিষয়ক আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘নেচার’ য়ে প্রকাশিত একটি গবেষনা থেকে এই খবরটি জানা গেছে। একে অবশ্য খবর না বলে বিপদ বলাই ভাল।
এখানে বলা হয়েছে যে পৃথিবীর ভেতরে অবস্থিত টেকটনিক প্লেট একে অপরের নীচে আসছে আর ফল স্বরূপ টান পড়ছে মহাসাগরের জলে। পৃথিবীর সাগর আর মহাসাগরের জলে ব্যাপক পরিমাণে টান হচ্ছে। এই জল চলে চাচ্ছে পৃথিবীর ভুগর্ভের গভীরে, কমছে জলস্তর। আর এর ফলে এমন দিন আসতেই পারে যখন এই গ্রহে প্রানের অন্যতম প্রধান কারন জলই আর থাকবেনা।
আসলে পৃথিবীতে হতে থাকা ভূমিকম্পের সুত্র ধরে বৈজ্ঞানিকরা এই তথ্যে পৌঁছেছেন। সিসমোগ্রাফিতে দেখা গেছে যে প্রশান্ত মহাসাগরের ম্যারিনাস ট্রেঞ্চ অঞ্চলের প্যাসিফিক প্লেট ফিলিপাইন প্লেটের নীচে ঢুকে যাচ্ছে। আর এর ফলে মহাসাগরের জল ভুগর্ভের ভেতরে হারিয়ে যাচ্ছে । আমেরিকার ওয়াশিংটান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভু-বিজ্ঞানের গবেষক ওয়েইসেন শেন, ডাগলাস এ ইউয়েন অনেকেই এই ঘটনাকে যথেষ্ট চিন্তার বিষয় বলেছেন। আর এর জন্য পৃথিবীতে ভুমিকম্পের প্রবনতা বাড়ছে বলে তাঁরা মনে করেন।
তাঁরা এও জানিয়েছেন যে কী পরিমাণ সমুদ্র জল ভূগর্ভের ভেতরে প্রবেশ করেছে সেই হিসাবে পাওয়া সম্ভবনা।
তবে এই গবেষনার বিরুদ্ধে কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন যে যে পরিমাণ জল পৃথিবীর ভূগর্ভে প্রবেশ করছে সেই পরিমাণ জল কী আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত থেকে বেরিয়ে আসেনা? আর তাই এই বিষয়ে তাঁরা আবার গবেষণা করবেন বলে জানিয়েছেন গবেষক দলের সদস্য চেন কাই।
তবে যাই হোক না কেন আমাদের জন্য যে এই তথ্য কপালে আরও বেশি চিন্তার ভাঁজ ফেলবে সেই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।