RBI Digital Currency: দেশের চার শহরে রিটেইল ডিজিটাল রুপি লঞ্চ, জানুন কোন কোন ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন হবে?

Updated on 02-Dec-2022
HIGHLIGHTS

ভারতে চালু হয়ে গেল ডিজিটাল মুদ্রার পাইলট প্রকল্প

কোনও ভারতীয় এই ডিজিটাল মুদ্রা কিনতে পারবেন না

ক্যাশ বা নগদ অর্থের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হবে এই ডিজিটাল মুদ্রা

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) বহুদিন আগেই ডিজিটাল ইন্ডিয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন এবার সেই দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল ভারত। Digital India এর ক্ষেত্রে 1 ডিসেম্বর থেকে এক নতুন যুগের সূচনা ঘটল। এখন থেকে টাকার ডিজিটাল (Digital Rupee) রূপ আসতে চলেছে। RBI ইতিমধ্যেই নিয়ে এসেছে টাকার ডিজিটাল রূপ। এবার ডিজিটালি আর্থিক লেনদেন আরও সহজ হয়ে গেল।

1 ডিসেম্বর থেকে পাইলট (Digital Rupee pilot) প্রকল্প চালু করা হল ডিজিটাল মুদ্রার। আপাতত আগে পরীক্ষা করে দেখা হবে গোটা বিষয়টাকে। কিন্তু আদতে জিনিসটা কী এটা কি UPI বা ওই ধরনের কিছু? নাকি ক্রিপ্টোকারেন্সির (Crypto currency) মতো কিছু? সাধারণ নাগরিকদের মনে তৈরি হয়েছে নানান প্রশ্ন। কী করে ব্যবহার করে এটিকে। আসুন এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর জেনে নেওয়া যাক এই প্রতিবেদন থেকে।

আগে জেনে নিই এই ডিজিটাল মুদ্রা কী? সেটা ক্রিপ্টোকারেন্সি বা UPI এর মতো কিনা?

আমরা যে অর্থ বা টাকা দিয়ে জিনিস পত্র কিনি সেটারই ডিজিটাল রূপ হচ্ছে এই E-Rupee বা ডিজিটাল মুদ্রা। পাতি কথায়, ক্যাশের ডিজিটাল অবতার। রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার (Reserve Bank of India) যে সেন্ট্রাল ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি সেটাই হচ্ছে ভারতীয় নগদ অর্থের ইলেকট্রিক বা ডিজিটাল রূপ। এই অর্থকে মূলত খুচরো লেনদেনের জন্য ব্যবহার করা হবে। আপনি যেভাবে ক্যাশ টাকা খরচ করেন এটাও সেই একই ভাবে খরচ করতে পারবেন। তবে এটার সঙ্গে ক্রিপ্টোকারেন্সি বা UPI এর যেমন মিল নেই আলাদা, আবার তেমনই কিছু কিছু মিল আছে। সেগুলো কী দেখুন।

UPI থেকে কতটা আলাদা ডিজিটাল মুদ্রা?

UPI পেমেন্ট যে করেন সেটায় কিন্তু আদতে আপনার ব্যাংকে যে গচ্ছিত নগদ টাকা আছে সেখান থেকেই লেনদেন হয়। কিন্তু ডিজিটাল মুদ্রার ক্ষেত্রে সেটা হবে না। অর্থাৎ একবার এই ডিজিটাল মুদ্রা এসে গেলে নগদ মুদ্রায় আর লেনদেন করতে হবে না।

ডিজিটাল মুদ্রা কী কেনা যাবে?

না, কোনও ব্যক্তি বা নাগরিক এই মুদ্রা কিনতে পারবেন না। ক্রিপ্টোকারেন্সির সঙ্গে এটার এখানেই তফাৎ। এটা কোনও জিনিস নয় যে আপনি এটা কিনতে পারবেন। আদতে এই ডিজিটাল মুদ্রা হচ্ছে একটি টোকেন ভিত্তিক মুদ্রা। ভবিষ্যতে অন্য কোনও মুদ্রা কিনতে চাইলে এটা ব্যবহার করতে পারবেন। এই মুদ্রা সঞ্চিত থাকবে আপনার ডিজিটাল ওয়ালেটে। ফলে সেখান থেকে ডিজিটাল পদ্ধতি স্থানান্তর করতে পারবেন কিন্তু কেনা যাবে না। আপনার ব্যাংক আপনাকে ডিজিটাল ওয়ালেট দেবে, আর আপনি সেখান থেকে আপনার সঞ্চিত অর্থ খরচ করতে পারবেন খালি।

এতে কী সুবিধা হবে?

ডিজিটাল মুদ্রার সব থেকে বড় সুবিধা হল এটা চলে এলে আর নগদ টাকা ছাপানোর খরচ করতে হবে না। টাকা পুরনো হয়ে গেলে ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কিংবা ব্যাংকে ব্যাংকে নোট এবং কয়েন পৌঁছানোর ঝামেলা তো আছেই। ফলে সব থেকে মুক্তি মিলবে বলে মনে করা হচ্ছে এই ডিজিটাল মুদ্রার সাহায্যে। একই সঙ্গে অনলাইন প্রতারণার ভয় কমবে।

এই পাইলট প্রকল্প চালু হয়েছে। ডিজিটাল মুদ্রা আপাতত মুম্বাই, নয়াদিল্লি, বেঙ্গালুরু এবং ভুবনেশ্বরে ব্যবহার করা যাবে 1 ডিসেম্বর থেকে। সঙ্গে চারটি ব্যাংক যুক্ত থাকবে এই গোটা বিষয়ের সঙ্গে, SBI, ICICI, Yes, IDFC First Bank। যেহেতু সময়ের চাহিদা এটাই, তাই যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে RBI এই প্রকল্প নিয়ে এল। এই ডিজিটাল মুদ্রা খুচরো বাজারে ব্যবহার করা হবে। বাজেটেও এই ডিজিটাল মুদ্রার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ক্রিপ্টোকারেন্সি ভারতে ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবে গণ্য হবে না বলেই ভারতের অর্থমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন। তার জায়গায় থাকবে এক সিবিডিসি বা সেন্ট্রাল ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি। আর এটার দায়িত্বে থাকবে RBI।

Subhasmita Kanji

I am Subhasmita Kanji from Kolkata. I have completed my Masters in Geography from University of Calcutta. In Media sector I have worked for several eminent houses like 4th Pillars, Bangla Jago Tv, Hindustan Times Bangla, and Digit Bangla.

Connect On :