দেশজুড়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট অ্যাক্সেস প্রসারিত করতে, সরকার বিভিন্ন পাবলিক ডেটা অফিস (PDO) এর মাধ্যমে একটি পাবলিক ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক বসানোর অনুমতি দিয়েছে। পিডিওগুলি একটি ছোট দোকান বা শেয়ার্ড সার্ভিস সেন্টার (CSC) হতে পারে, যার জন্য লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশন প্রয়োজন হবে না। এছাড়াও, এগুলির জন্য কোনও চার্জ নেওয়া হবে না। পাবলিক ওয়াই-ফাই অ্যাক্সেস নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস (PM-WANI) দেশে একটি বড় ওয়াই-ফাই বিপ্লব আনতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা জনসাধারণের ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের ডিজাইনের অনুমতি দিয়েছে।
এটি সারাদেশে পাবলিক ওয়াই-ফাই পরিষেবাদির একটি বৃহত নেটওয়ার্ক তৈরি করতে সহায়তা করবে, যা মানুষের কর্মসংস্থান এবং আয় বৃদ্ধির মাধ্যম হয়ে উঠবে। পাবলিক ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক পরিষেবাটি প্রধানমন্ত্রী-ওয়ানি (PM-WANI: Prime Minister Wi-Fi Access Network Interface) হিসাবে পরিচিত হবে। এটি পাবলিক টেলিকম পরিষেবা প্রদানকারীদের মাধ্যমে পরিচালিত হবে।
https://twitter.com/narendramodi/status/1336705755404148736?ref_src=twsrc%5Etfw
প্রধানমন্ত্রী টুইট করেছেন, "এই প্রকল্পটি আমাদের ছোট দোকানীদের ওয়াই-ফাই সুবিধা প্রদান করবে। এটি তাদের আয় বৃদ্ধি করবে এবং যুবকদের মসৃণ, নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট পরিষেবা সরবরাহ করবে। এটি আমাদের ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রচারকে আরও জোরদার করবে।"
রবিশঙ্কর প্রসাদ আরও যোগ করে বললেন, 'করোনা নামক অতিমারি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যে, নিরবচ্ছিন্ন হাইস্পিড ইন্টারনেট দেশবাসীর জন্য কতটা জরুরি। কোভিডের কারণে বহু মানুষ ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছেন। অনলাইনে পড়াশোনাও করতে হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের। পিএম-ওয়ানি একবার চালু হয়ে গেলেই গ্রামে বসেই ছাত্র-ছাত্রীরা যেমন পড়াশোনাও করতে পারবেন, তেমনই আবার চাকুরিজীবীরা গ্রাম থেকেই ওয়ার্ক ফ্রম হোম করার সুযোগ পাবেন।'
রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছেন যে এই খরচের সিদ্ধান্ত নেবে টেলিকম সংস্থাগুলি। এর আগে বলেন যে যখন গ্রামে গ্রামে একের পর এক সংস্থারা তাঁদের Wi-Fi নেওয়ার্ক বসাবে এবং প্রতিযোগিতা বাড়বে, তখন আপনা থেকেই এই খরচ কম হয়ে যাবে।