কেন্দ্রীয় সরকারের মত বদলে যাচ্ছে এই কঠিন পরিস্থিতিতে। জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার কঠিন নিয়ম আনতে চলেছে Online Gaming-এর ক্ষেত্রে। শুধু তাই নয় ভারতের অনলাইন গেমিং বাজারে একটি নতুন বিল নিয়ে আসতে চলেছে এই সরকার। কোনও অনলাইনে গেম খেলে যদি টাকা উপার্জন করতে পারে ব্যবহারকারীরা সেটার উপর এবার নজরদারি চালাবে সরকার। সরকারি নিয়ন্ত্রণ থাকবে অনলাইন গেম খেলে টাকা রোজগারের ক্ষেত্রে।
কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে ভারতের যে অনলাইন গেমিংয়ের ভবিষৎ রয়েছে সেটাকে কন্ট্রোল করতে। এই বিষয়ে সরকারের তরফে সকলের থেকে মতামত চাওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, কোনও রকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সরকারের তরফে বিশেষজ্ঞদের তরফে মতামত নেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে যেহেতু বর্তমান সময়ে দেশে অনলাইনে গেমিংয়ের ব্যবসা খুব বেড়ে গিয়েছে সেহেতু সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই বিলের খসড়া বানানো হয়েছে। আগামী দিনে এটাই বিল হিসেবে আসতে পারে।
অনেক সময় যে অনলাইন গেম খেলে টাকা রোজগার করা যায় সেগুলোকে জুয়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়ে থাকে। আর জুয়া ভারতের বিভিন্ন জায়গায় নিষিদ্ধ। সেই কারণে এই গেমগুলো দেশের সেই সমস্ত জায়গাতেও নিষিদ্ধ। তাই কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে এই অপরচুনিটি এবং স্কিল গেম দুটোকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। আসলে কোন রাজ্যে কোনও গেম নিষিদ্ধ হবে সেটা রাজ্য সরকার নিয়ন্ত্রণ করে। সেটাকে এবার খানিকটা কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে।
দেশে এখন অনলাইন গেম নিয়ে একটা বিতর্ক বেশ জোর দানা বেঁধে উঠেছে। এবার সেই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট রায় দান করল। কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে কার্ড গেম রামি সহ অন্যান্য যে ফ্যান্টাসি গেমগুলো আছে সেগুলো খেলোয়াড়দের দক্ষতা উপর নির্ভর করে তৈরি হয়েছে। এই অনলাইন গেমগুলো আইনি বৈধতাও পেয়ে গিয়েছে। পোকার গেমের বিষয়ে বিভিন্ন রাজের হাইকোর্ট বিভিন্ন মতামত জানিয়েছে। রয়টার্সের খবর অনুযায়ী এই গেমগুলো নিষিদ্ধ করার অধিকার রাজ্য সরকারগুলোকে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ইতিমধ্যেই এই ব্যাপার খসড়া তৈরি করতে শুরু করেছে।
সরকারের তরফে সমস্ত সতর্কতা নেওয়া হয়েছে নতুন আইন আনার ক্ষেত্রে। যুবক থেকে তরুণরা যে এই গেমগুলোর দিয়ে ভীষণ রকম প্রভাবিত হয় সেটা সরকার ভালো মতোই জানে। অনেক সময় বয়ঃসন্ধির সময় শিশুরাও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে এই গেমের নেশায়। শুধু তাই নয়, PUBG, ইত্যাদি গেমের নেশায় অনেককে আত্মহত্যা পর্যন্ত করতে দেখা গিয়েছে।
রেডসিয়ার নামক একটি গবেষণা সংস্থা বলছে 2026 সালের মধ্যে এই অনলাইন গেমের ব্যবসা 7 বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যেতে পারে। শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রে আগামীতে আসল টাকা গেমের গুরুত্ব পাবে। আর সেই কারণেই তো বহু প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা এই গেমিং ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে টাইগার গ্লোবাল অ্যান্ড সিকোয়ার ক্রিকেট স্টার্টআপ ড্রিম 11 বা মোবাইল প্রিমিয়ার লিগের মতো একাধিক অনলাইন গেম বানিয়েছে।