ভারতের মহাকাশ গবেষণাওয়ার মুকুটে নতুন পালক যোগ হল
এই ঝাঁকে আছে বিশাল তিনটি গ্যালাক্সির ঝাঁক। প্র্যতেকটি ঝাঁকে আছে কম করে 500টি গ্যালাক্সি
এর আগেও এরকম হয়েছে যে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে ভারত নতুন কৃতিত্ত অর্জন করেছে। আর এবার ভারতের গর্বের উপগ্রহ ‘অ্যাস্ট্রোস্যাট’ এমন এক বিষয়ের সন্ধান পেয়েছে যার পরে ভারতের মহাকাশ গবেষনার মুকুটে আরও একবার নতুন এক পালক যোগ হল। আপনাদের মনে নিশ্চই এই প্রশ্ন আসছে যে কি করল ভারতের এই উপগ্রগ যে ‘ইসরো’ ই শুধু নয় মহাকাশ গবেষনার ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ হল? আসুন আমরা সেই প্রশ্নের উত্তরই আজকে এই আর্টিকেলে জানার প্রয়াস করা হচ্ছে।
আসলে একটি অদ্ভুত গ্যালাক্সির ঝাঁক মানে বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলে গ্যালাক্সি ক্লাস্টার তার হদিশ পেয়েছে ভারতের উপগ্রহ ‘অ্যাস্ট্রোস্যাট’। এই গ্যালাক্সি ক্লাস্টারকে ভবিষ্যতের একটি গ্যালাক্সি সুপার ক্লাস্টার বলা যায়।
কী আছে এই গ্যালাক্সি ক্লাস্টারে? এই ঝাঁকে আছে বিশাল তিনটি গ্যালাক্সির ঝাঁক। প্র্যতেকটি ঝাঁকে আছে কম করে 500টি গ্যালাক্সি। আর আজকে তারা নিজেদের মধ্যে প্রবল ধাক্কা ধাক্কিত্যে লিপ্ত। আর এই ঝাঁক গুলি একে অপরের সঙ্গে মিশে একটি বিশাল গ্যালাক্সির ঝাঁক বানানোর দিকে এগিয়ে চলেছে।
যেমন ঝাঁকে প্রচুর মাছ থাকে তেমনি গ্যালাক্সির একটি ঝাঁকে থাকে প্রচুর গ্যালাক্সি। আর অনেকগুলি এরকমের ঝাঁক নিয়ে তৈরি হয় গ্যালাক্সিদের মহাঝাঁক বা সুপার ক্লাস্টার।
আমাদের নিজেদের অবস্থান ‘ মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সি’ বা ‘আকাশগঙ্গা’ র থেকে এই অদ্ভুত ঝাঁকটি চেহায়ারা প্রায় 100 গুন বড়। আর আমদাএর গ্যালাক্সির থেকে এটি কম করে দেড় হাজার গুন ভারী। আর এর অবস্থান আমাদের থেকে 80 কোটি আলোকবর্ষ দূরে। মানে আলোর গতিতেতে ছুটলে আমরা ঐ গ্যালাক্সিতে পৌঁছাব 80 কোটি বছর পরে। এই সন্ধান পাওয়া গ্যালাক্সির নাম রাখা হয়েছে ‘অ্যাবেল-2256’।
এর আগেও আমাদের এই উপগ্রহ আমাদের অনেক ধরনের গ্যালাক্সির খবর দিয়েছে। তার মধ্যে দুটি গ্যালাক্সির মিশে যাওয়ার মতন গ্যালাক্সিও আছে। তবে এক সগে তিনটি গ্যালাক্সির ঝাঁকের একে অপরের সঙ্গে মিশে একটি মহাঝাঁক বানানোর এই ঘটনা এর আগে দেখা যায়নি।
ইসরো বলেছে যে উপগ্র ‘অ্যাস্ট্রোস্যাট’ য়ের আলট্রা- ভায়োলেট ইমেজিগ টেলিস্কোপ দিয়েই এই অদ্ভুত বিশাল গ্যালাক্সির সন্ধান পাওয়া গেছে।