হাবাল স্পেস টেলিস্কোপ আমাদের সৌর জগতের কিছু গ্রহে প্রবল ঝঞ্ঝা দেখতে পেয়েছে, নেপচুন আর ইউরেনাসের আবহাওয়া খুব একটা ভাল নয়। NASA অনুসারে এই টেলিস্কোপ একটি নতুন “মিস্ট্রিরিয়াস ডার্ক স্ট্রম’ নেপচুনে দেখেছে আর সেখানে ইউরেনাসের নর্থ পোলে “লং লাইভড” স্ট্রম দেখা গেছে।
হাবাল টেলিস্কোপ নেপচুনের গ্রীষ্মের সময়ে গ্রহের দখিনের দিকে কালো ঝড় দেখিয়েছিক। NASA খেয়াল করেছে যে 1993 থেকে আজ পর্যন্ত এটি হাবালের রেকর্ড কজ্রা চতুর্থ “মিস্ট্রিয়াস ডার্ক ভোর্টেক্স”। আর এই ঝড় 6800 মাইলের। এই ডার্ক ভোর্টেক্সের কাছে একটি ফিচার চোখে পড়েছে তা হল এই যে- এখানে এই ডার্ক ভোর্টেক্স একটি “companion clouds” যুক্ত আর যা এই ভোর্টেক্সের মেঘের মতন একই রকমের। এই মেঘ যখন বায়ুমন্ডলের হাওয়াতে আসে তখন তা অন্ধকার ভার্টেক্সের ওপরে থাকে, আর এই জন্য গ্যাসের মিথেন বরফ হিসাবে জমা হতে থাকে। “এটা একটা ঝড়ের ফর্ম সেবিষয়ে নিশ্চিত, তবে এটি বৃহস্পতির গ্রেট রেড স্পটের মতন যা অন্ধকারে খুব জোরে সাইক্লোনিক গতিতে এগোয়। আর বরফ বায়ুমন্ডলের খুব গভীর স্তরে ধাক্কা মারে বলে” NASA তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে।
আর একই রকম ভাবে ইউরেনাসেও ঝড়ের দ্বারা ডমিনেটেড আর আর এর উত্তর পোলের মেঘে তাই দেখা যায়। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে ইউরেনাসের এই ফিচার একটি ইউনিক রোটেশান। আর গ্রহের গ্রীষ্মের সময়ে, সূর্যের আলো প্রায় সোজাসুজি নর্থ পোলে যায়। NASA র বিজ্ঞানীরা এর সঙ্গে এও দেখেছেন যে এই ঝড়ের মধ্যে মিথন বরফের মেঘ।
এটা দেখা গেছে যে দুটি গ্রহের বরফের কোন সলিড সারফেস নেই। আর এর সঙ্গে এতে “ জলে ভরা হাইড্রোজেন আর হিলিয়াম আছে, আর এটি খুব সম্ভবত পাথুরে কোরে আছে আর বায়ুমন্ডলের মিথেন লাল আলোতে শোষণ করলেও নিল আর সবুজ আলোকে মহাকাশে বিছিন্ন করে চদেয় আর এই জন্য গ্রহগুলি cyan যুক্ত হয়”।
বিজ্ঞানীরা আশা করেছেন যে এই ওয়েদার অ্যানালেসিস করে এই দুই গ্রহের বিষয়ে জানতে সাহায্য করবে আর এর সঙ্গে পৃথিবী সহ অন্য গ্রহের বিষয়ে জানতেও সাহায্য করবে।