মহাকাশচারীদের ক্লান্তি কাটাতে মঙ্গলে ‘জোকার’ পাঠাবে NASA!

মহাকাশচারীদের ক্লান্তি কাটাতে মঙ্গলে ‘জোকার’ পাঠাবে NASA!
HIGHLIGHTS

আসলে বিজ্ঞানীরা ভিনগ্রহে জোকার পাঠানোর কথা ভাবছেন। কারন মহাকাশ যাত্রার উদ্বেগ, উত্তেজনা কমাতে তাঁদের মজা আর হাসি ঠাট্টায় ভুলিয়ে রাখতেই এই চেষ্টায় আছেন বিজ্ঞানীরা

‘লাল গ্রহ’ মঙ্গলে এবার জোকার দেখা যেতে পারে! প্রথম লাইন পড়েই চমকে গেছেন? অবাক হওয়াই স্বাভাবিক। হ্যাঁ আপনারা ঠিকই পড়েছেন আমরা জোকার বা ক্লাউনের কথাই বলছি। সেই আমাদের চেনা জানা জোকার যে লাল রঙের নাক নিয়ে আমাদের অনাবিল আন্দ দিয়ে যায়। কিন্তু সেই জোকার হটাত মঙ্গলে যেতে যাবে কেন? কেই বা পাঠাবে তাঁকে?

আসলে বিজ্ঞানীরা ভিনগ্রহে জোকার পাঠানোর কথা ভাবছেন। কারন মহাকাশ যাত্রার উদ্বেগ, উত্তেজনা কমাতে তাঁদের মজা আর হাসি ঠাট্টায় ভুলিয়ে রাখতেই এই চেষ্টায় আছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা খতিয়ে দেখেছেন যে টাকা এক দুমাস মঙ্গলে থাকার ক্ষেত্রে জোকারদের ভূমিকা মহাকাশ্চারীদের জন্য কতটা কার্যকর হতে পারে।

কী করবেন জোকাররা?

মহাকাশের বা আমাদের সৌর মন্ডলের এই লাল গ্রহ মঙ্গল একটি রুক্ষ গ্রহ আর এই গ্রহে মানুষের পা পরলে অনেক বিপদও অপেক্ষা করে আছে। খতিগ্রস্থ তেজস্ক্রিয় বিকিরণের ঝড় ঝাপ্টা সামলাতে হবে নভসচর এর। আর সঙ্গে আছে অন্য গ্রহানু বা উল্কার আছড়ে পরার সম্ভাবনা। সেই সব উদ্বেগ আর চিন্তা থেকে মহাকাশচারিদের যতটা সম্ভব দূরে রাখার জন্যই বিজ্ঞানীরা মঙ্গলে জোকার পাটানো দরকার বলে মনে করছেন।

এই বিষয়ে NASA যাদের গবেষনা চালাতে দিয়েছেন তাঁদের অন্যতম ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্ববিদ জেফ্রি জনসন বলেছেন,” একমাত্র জোকার বা ক্লাউনরাই মজা করতে পারেন যা মহাকাশচারীডের সব রকমের টেনশান কাটিয়ে দিতে পারবে। চার দিক বন্ধ এমনএকটা জায়গায় দীর্ঘ দিন থাতে হলে টেনশান, ক্লানি অবসাদ হবেই। আর যা মহাকাশে আরও বেশি বিপদ জনক। কারন ক্ষিপ্রতাই মহাকাশচারীদের সব থেকে বড় গুন। যা ক্লান্তি,অবসাদ্ম টেনশ্ন সব কমিয়ে দেবে। একমাত্র জোকাররাই তা কমাতে পারেন”।

কিন্তু এক্ষেত্রে একটা প্রশ্ন আসতেই পারে যে আজ থেকে 50 বছর আগে মানুষের চন্দ্রাভিজানে কেন জোকারের দরকার হয়নি? এর কারন হিসাবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে চাঁদে যাওয়ার সময়ে মহাকাশচারীদের দীর্ঘ সময় ধরে মহাকাশে কাজ করতে হয়নি বা সেখানে বেশিক্ষণ থাকতেও হয়নি। চাঁদের মাটিতে মানুষ খুব বেশি হলে সারে 21 ঘন্টা কাটিয়েছিল।

কিন্তু মঙ্গলে যারা যাবেন তাঁদের অনেক বেশি কাজ করতে হবে। আর 40/50 বছরের মধ্যে লাল গ্রহে “মানুষের দ্বিতীয় উপনিবেশ” গড়ে তুলতে মঙ্গলের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার দরকার আর এই সবেরই ওপরেই সেখান গবেষনা করা হবে। সম্ভত লাল গ্রহে তিনজন মহাকাষচারী যাবেন আর যখন তাঁরা কালন্ত হয়ে পরবেন তখনই দরকার হবে ক্লাউন্ডের। 2033 সালের মধ্যেই মঙ্গলে মানব সভ্যতার বিজয় পতাকা ওড়াতে চায় NASA।

জোকার ও অন্যান্য শিল্পীরা আন্টার্টিকার অভিযাত্রী দলের সঙ্গে থাকেন

জনসন নিজে দীর্ঘ 4 বছর আন্টার্টিকায় কাটিয়েছেন, আর তাই তিনি জানেন যে এই ধরনের শিল্পীদের এই রকম অভিযাত্রী দলে থাকা কতটা দরকার। তিনি এও জানান যে আন্টার্টিকার বিভিন্ন অভিযাত্রী দলের সঙ্গে জোকার, চিকিতস, সাইকোলজিস্টরা থাকেন।

পৃথিবী টু মঙ্গল

খুব কাছ দিয়েও যদি যাওয়া হয় তবে পৃথিবী থেকে মঙ্গলে এখনকার মহাকাশ জান গুলির পৌঁছাতে সময় লাগে  7/8 মাস। আর আবহাওয়ার কারনে তা 9 মাসও হতে পারে। সেখানে যেতেই এক বছর সময় লাগে আর ফেরার সময়ও এক।

সোর্সঃ

নোটঃ Digit Bangla এখন Telegram য়েও, সারা দিনের সেরা টেক খবর পেতে আমাদের সাবস্ক্রাইব করুন।

Digit.in
Logo
Digit.in
Logo