আজকাল কতজন ব্যাংকে যান বলুন তো? কিংবা ক্যাশে লেনদেন কতজন করেন? অধিকাংশ মানুষই ডিজিটাল মাধ্যমে টাকা লেনদেন করে থাকেন। কিংবা অনলাইন পেমেন্ট। ফলে এই ডিজিটাল লেনদেন যত জনপ্রিয় ততই মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে অনলাইন প্রতারণা। ছড়িয়ে পড়ছে অনলাইন জালিয়াতির জাল, বাড়ছে সংখ্যাও। আর এই বাড়তে থাকা সাইবার অপরাধের কারণে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। অনেকে তো অনলাইন প্রতারণার শিকার হওয়ার পর বুঝেই উঠতে পারেন না যে কী করবেন, কী করা উচিত। কিন্তু এখন আর চিন্তা নেই। এসে গিয়েছে একটি ফাটাফাটি উপায়। এই উপায়ে আপনি আপনার হারানো টাকা ফিরে পেতে পারেন!
ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে একটি নতুন নম্বর, বলা ভাল হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। এই নম্বরের সাহায্যে সাইবার অপরাধ রোধ করতে তৎপর সরকার। সরকারের তরফে সাইবার অপরাধের কথা জানানোর জন্য যে নম্বর চালু হয়েছে সেটা হল 1930। এবার আপনি কোনও রকম প্রতারণার শিকার হলে সোজা ফোন করুন এই নম্বরে। এবং অভিযোগ জানান।
1930 নম্বরে ফোন করে বিস্তারিত ভাবে সমস্ত ঘটনা জানান। আপনি যে অভিযোগ জানাবেন সেটার ভিত্তিতে সরকার ব্যবস্থা নেবে। এমনকি আপনি আপনার টাকা ফেরত পেয়ে যেতে পারেন! কিন্তু হ্যাঁ, একটা কথা মাথায় রাখবেন, অনলাইন প্রতারণার শিকার হওয়ার পর দ্রুত এই কাজটি করতে হবে। দেরি করলে চলবে না। আপনি যত দেরি করবেন তত টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা কমবে। ফলে চেষ্টা করুন দুর্ঘটনা ঘটার 1 ঘণ্টার মধ্যে ফোন করতে।
আগেও এই অভিযোগ জানানোর জন্য একটি বিশেষ নম্বর ছিল, 155360। এখন তার বদলে 1930 সংখ্যাটি ডায়াল করতে হবে। DoT এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে এই নতুন নম্বরের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে এবার থেকে যিনি বা যাঁরা Cyber Crime -এর শিকার হবেন তাঁদের এই উল্লিখিত নম্বরে ফোন করতে হবে। আপনি এই নম্বরে ফোন করার পর National Cyber Crime Reporting Port- এ অভিযোগ জানান। এমনটাই আপনাকে নির্দেশ দেওয়া হবে। এরপর আপনি যেই অভিযোগ করবেন তখন একটি টিকিট তৈরি করা হবে। এবং এটা হবে Financial Intermediaries -এর উদ্যোগে।
মনে রাখবেন আপনি যে অনলাইন প্রতারণার শিকার হয়েছেন সেটা টিকেট ডেবিট অর্থাৎ ভিক্টিমের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং ক্রেডিটেড এফ আই বা প্রতারকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ড্যাশবোর্ডে দেখা যায়। এমনকি কী ধরনের জালিয়াতি হয়েছে সেটাও দেখা যাবে।