ভারতীয় নাগরিকদের অন্যতম জরুরি প্রমাণপত্র হল ভোটার আইডি কার্ড। হ্যাঁ, আজকাল অবশ্য আধার কার্ড থাকলেই অনেক কাজ হয়ে যায়। কিন্তু তাই বলে তো আর ভোটার কার্ডের গুরুত্ব কমে যায় না। এটাও ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ নথি একটা। ভোট দেওয়া হোক বা প্রমাণপত্র হিসেবে এখনও এটা ভীষণই জরুরি। কিন্তু কোনও কারণবশত যদি এই ভোটার কার্ড হারিয়ে যায় তাহলে চিন্তা হয় কী! ছোটাছুটি, সহ অনেক ঝামেলা পোহানোর কথা মাথায় আসে। কিন্তু না, এখন আর সেসব কিছুই করতে হবে না। অকারণ চিন্তা করারও প্রয়োজন নেই। একেই আধার কার্ডের সঙ্গে ভোটার কার্ড লিংক করিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবুও ভোটার কার্ড থাকা ভাল।
কিন্তু যদি ভোটার কার্ড হারিয়ে যায় তাহলে কী করবেন ভাবছেন? কোনও অসুবিধা নেই। ভোটার কার্ড হারিয়ে গেলেও এখন বাড়ি বসেই এই কার্ড আপনি পেয়ে যাবেন। এখন ডিজিটাল ভোটার কার্ড ডাউনলোড করার সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। ভারতের নির্বাচন কমিশন এই ডিজিটাল ভোটার কার্ড ডাউনলোড করার সুযোগ দিচ্ছে এখন নাগরিকদের। তাই যদি আপনি ফিজিক্যাল ভোটার কার্ড হারিয়ে ফেলেন তখন এই ডিজিটাল ভোটার কার্ড দিয়ে কাজ সারতে পারবেন। এটাই তখন আপনাকে নানা বিপদ থেকে বাঁচাবে। কারণ মনে রাখবেন এই ডিজিটাল ভোটার কার্ডের গুরুত্ব ফিজিক্যাল ভোটার কার্ডের থেকে কম নয়। একই সঙ্গে নিজের সঙ্গে এই জরুরি তথ্য নিয়ে ঘোরার থেকে ফোনে সেই তথ্য রাখা অনেক সহজ এবং নিরাপদ। এবার আসুন দেখে নেওয়া যাক কীভাবে আপনার ডিজিটাল ভোটার কার্ড ডাউনলোড করবেন।
মনে রাখবেন ডিজিটাল ভোটার কার্ড ডাউনলোড করতে চাইলে ফোন নম্বর লিংক থাকা বাধ্যতামূলক ভোটার কার্ডের সঙ্গে। তাই যদি সেটা না করা থাকে তাহলে সবার আগে KYC বা নো ইয়োর কাস্টমার আপডেট করান নির্বাচন কমিশনে কাছে গিয়ে। একবার সেটা হয়ে গেলে আর কোনও দৌড়াদৌড়ি নয়। বাড়ি বসেই হবে সব কাজ।
সবার আগে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে যেতে হবে। অর্থাৎ https://eci.gov.in/e-epic/. Url দিয়ে সেখানে যান।
এবার দেখুন সেখানে গিয়ে একটা অপশন পাবেন ডাউনলোড E Epic বলে। সেটাকে ক্লিক করুন।
এবার আপনার সামনে যে পেজ খুলবে সেটার উপরের দেখুন ডাউনলোড E Epic বলে একটা অপশন দেখতে পাবেন। সেটাকে ক্লিক করুন।
এবার আপনাকে আপনার সমস্ত লগইন ডিটেল দিতে হবে এখানে। আর যদি প্রথমবার এই সাইটে এসে থাকেন তাহলে আপনাকে আপনার ফোন নবর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সারতে হবে।
রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাওয়ার পর আপনি যে ডাউনলোড E Epic এ ক্লিক করবেন তখন আপনাকে আপনার যে দশ সংখ্যার EPIC নম্বর আছে সেটা দিতে হবে।
আপনি সমস্ত তথ্য দেওয়ার পর নির্বাচন কমিশন তথ্যগুলো ভেরিফাই করবে। এবার সেই প্রসেস শেষ হলে আপনি আপনার ডিজিটাল ভোটার কার্ড দেখতে পাবেন।
সেখান থেকে ডাউনলোড করে নিন ডিজিটাল ভোটার আইডি কার্ড।
মনে রাখবেন এই পদ্ধতির জন্য কিন্তু আপনার কাছে OTP যাবে, তাই রেজিস্টার্ড ফোন নম্বরটি হাতের কাছে রাখবেন। সেই OTP দিলেই ডাউনলোড হয়ে যাবে আপনার ডিজিটাল ভোটার কার্ড।