তথ্য জানার জন্য যে কোনও ওয়েবসাইটে ঢুকে পড়বেন না। এতে কিন্তু আপনার চরম ক্ষতি হতে পারে। প্রতারণার শিকার হতে পারেন আপনি। তাই কোনও তথ্য জানার জন্য কোনও ওয়েবসাইটে ঢোকার আগে যাচাই করে নিন আদৌ সেই ওয়েবসাইট আসল না নকল। দেখুন সঠিক ওয়েবসাইট চেনার উপায়।
ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। যে কোনও সমস্যার সমাধান পাওয়া যায় চটজলদি। কিন্তু মনে রাখবেন যে কোনও ভালো জিনিসের সঙ্গে কিন্তু বিপদও আসে। ফলে আপনার সামান্য ভুলে কিন্তু হতে পারে সর্বনাশ। ইন্টারনেটে যেমন সঠিক ওয়েবসাইট থাকে, তেমনই থাকে জাল ওয়েবসাইট। আর এই ভুয়ো ওয়েবসাইটের সাহায্যেই ছড়ানো হয় প্রতারণার জাল। যদিও এই ওয়েবসাইটগুলোকে আসল ওয়েবসাইটের মতোই দেখতে হয়। অনেকেই তখন আসল বা নকল ওয়েবসাইট চিনতে পারেন না। তখনই তৈরি হয় সমস্যা। আমরা তো ইন্টারনেটে কত কীই না খুঁজি! পড়াশোনার জিনিস থেকে গানের লাইন বা কোনও প্রশ্নের উত্তর, সবের জন্যই আমরা এখন সিধু জ্যাঠা, তথা ইন্টারনেটের সাহায্য নিই। তাই সেক্ষেত্রে একটি সচেতন থাকা প্রয়োজন। আসুন দেখে নেওয়া যাক কী করে আসল বা নকল ওয়েবসাইটের ফারাক করবেন।
ওয়েবসাইটে যাওয়ার পর যদি কাস্টমার কেয়ার নম্বর, যোগাযোগের ঠিকানা বা ফোন নম্বর, ইত্যাদি না দেখতে পান তাহলে বুঝবেন এই ওয়েবসাইট ভুয়ো। এটা বিশেষ করে E-commerce সাইট বা অনলাইন জিনিস কেনার সময় খেয়াল রাখবেন।
যখন দেখবেন একই ধরনের ডোমেন নেম আছে দুটো ওয়েবসাইটের তাহলে বুঝবেন কিছু গন্ডগোল আছে। এই দুটো অ্যাকাউন্টের একটি ভুয়ো। ফলে সতর্ক হয়ে যান।
ডোমেন নেম খুঁটিয়ে দেখুন। তালা চিহ্ন আছে কিনা দেখে নেবেন লিংক খোলার পর।
সেফ ব্রাউজিং টুল ব্যবহার করুন।
কাঁচা ডিজাইন, বানান ভুল নজরে এলে বুঝবেন এই অ্যাকাউন্ট ফেক না হয়ে যায় না।
কোনও ওয়েবসাইটের বয়স জানতে হলে আগে ইন্টারনেটে যাচাই করে নিন।
কোনও জিনিস অনলাইন কেনার আগে ভালো করে রিটার্ন পলিসি পরে নিন।
কী কী পেমেন্ট অপশন আছে দেখুন। পারলে ক্যাশ অন ডেলিভারি নিন।
কোনও রকমের প্রলোভনে পা দেবেন না।