স্মার্টফোন কখনও কারও ক্ষেত্রে বহুদিন চলে, কারও ক্ষেত্রে আবার কয়েক মাসেই বিগড়ে যায়। মূলত চার্জিংয়ের সমস্যা দেখা দেয়। নতুন ফোন কেনার কয়েকদিনের মধ্যেও অবশ্য অনেক ক্ষেত্রে ব্যাটারির দফারফা হতে দেখা যায়। তখন অনেকেই আবার রাগ করে কোম্পানির ঘাড়ে দোষ চাপান যে এক ব্যাটারি বলে আরেক ব্যাটারি দিয়েছে, বা ব্যাটারি শক্তিশালী নয়, ইত্যাদি। কিন্তু সেটা কিন্তু আসল ব্যাপার নয়। সমস্যা লুকিয়ে আছে আমাদের ব্যবহারে। আপনি কীভাবে ফোনের ব্যাটারির যত্ন নিচ্ছেন সেটার উপর নির্ভর করে আপনার ফোনের সুস্থতা।
এবার আপনি নিশ্চয় ভাবছেন ফোনের ব্যাটারির যত্ন! সেটা কীভাবে নেওয়া যায়। দেখুন এটার জন্য আপনার উচিত ফোনের ব্যাটারিকে উত্তপ্ত না করা। বারবার চার্জ না দেওয়া। এটা তো একদমই নিশ্চিত যে অনেকেই আছেন আমাদের মধ্যে যাঁরা ফোনের ব্যাটারি যতক্ষণ না পুরো নিঃশেষ হচ্ছে ততক্ষণ চার্জ দেন না, অনেকে আবার ব্যাটারি একটু কমতেই চার্জ দিয়ে দেন। এটার কোনওটাই ঠিক নয় আসলে। তাহলে এখন প্রশ্ন কত শতাংশ ব্যাটারি থাকলে চার্জ দেব উচিত যাতে ফোন দীর্ঘদিন ভালো থাকে। দেখুন সহজ কিছু টিপস।
সকালে ফোনে চার্জ দিয়েই আবার দু ঘণ্টা পর চার্জ দেবেন না। ঘন ঘন চার্জ দেওয়া একদমই উচিত নয় ফোনে। এটা ভীষণ বড় ভুল একটি। ফোনে সামান্য ব্যাটারি কমলে বারবার চার্জ দেবেন না।
কখনও ফোনে 100% চার্জ দেবেন না। এটা ক্ষতিকর। আপনি হয়তো ভাবছেন 100% চার্জ থাকা মানেই ফোন অনেকক্ষণ ব্যবহার করা যাবে। নিশ্চিন্ত থাকা যাবে। এটা কিন্তু ঠিক নয়। লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি পুরোপুরি চাটন হলে সেটা ভীষণ গরম হয়ে যায়। এমনকি বিস্ফোরণ পর্যন্ত হতে পারে।
100% চার্জ যেমন ফোনের জন্য ঠিক নয়, তেমনই 0% চার্জও ফোনের জন্য একদম ঠিক নয়। কখনও ফোনকে পুরোপুরি চার্জ আউট হতে দেবেন না। মনে রাখবেন 0% থেকে চার্জ শুরু করবেন যতবার ততবার লিথিয়াম আয়ন সেলের সাইকেলের সংখ্যা কমবে। আর যতবার এই জিনিস ঘটবে তত দ্রুত আপনার ব্যাটারির আয়ু শেষ হবে।
এখন বাজারে যে ফোন পাওয়া যায় সেগুলোর ফোনের ব্যাটারির আয়ু গড়ে 2 থেকে 3 বছর হয়। এখানে এক একটি চার্জিং সাইকেল থাকে 300 থেকে 500 মতো। এরপর ব্যাটারির কাজ করার ক্ষমতা কমে যায় অনেকটাই। তা ধরুন 20% মতো। ফোন চার্জ দিন 20% ব্যাটারি থাকাকালীন। ঘন ঘন চার্জ দেওয়া একদম ঠিক নয়। চেষ্টা করুন 80 থেকে 20% -এর মধ্যে ফোনের চার্জ রাখতে।