একটা সময়ে গোটা ভারতের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় যানবাহন ছিল Kinetic Luna মোপেড। এটার কারণ প্রধানত দুটো। এক এটি সহজেই বহনযোগ্য ছিল। ফলে যুবক হোক বা প্রৌঢ় সকলেই এটিকে সহজে চালাতে পারতেন। দ্বিতীয়ত, এই বাহনের দাম ভীষণ কম থাকায় এটি সকলের সাধ্যের মধ্যে ছিল। এবার সেই জনপ্রিয় মোপেডটিকেই Kinetic নতুন ভাবে আনতে চলেছে। Kinetic ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের একটি রেগুলেটরি ফাইলিং থেকে এমনই আভাস মিলেছে। Kinetic Luna বাইকটি এবার ইলেকট্রিক রূপে আসতে চলেছে। আর Kinetic-এর এই নতুন এবং প্রথম ইলেকট্রিক মোপেডটির নাম হবে E-Luna।
Kinetic গ্রুপের একটি আলাদা কোম্পানি আছে, যার মাধ্যমে দুই চাকা এবং চার চাকা গাড়ি তৈরি করা হয় এবং একই সঙ্গে বিক্রিও করা হয়। Kinetic E-Luna মোপেড যে আসতে চলেছে সেই কথা জানিয়েছে খোদ Kinetic Green Energy and Power Solutions। জানা গিয়েছে Kinetic-এর যে মূল সংস্থা অর্থাৎ Kinetic ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ইতিমধ্যেই এই নতুন মোপেডটির অংশগুলোর উৎপাদন শুরু করে দিয়েছে।
চ্যাসিস, মূল স্ট্যান্ড, সাইড স্ট্যান্ড, ইত্যাদির মতো একাধিক জরুরি যে অংশগুলো আছে এই মোপেডের সেগুলোর উৎপাদন শুরু হয়েছে। এই ইলেকট্রিক মোপেড তৈরি করার জন্য Kinetic একটি আলাদা প্রোডাকশন লাইন তৈরি করে ফেলেছে। আর সেখানেই 5000টি করে ইলেকট্রিক মোপেড তৈরি করবে এই সংস্থা। এমনটাই জানা গিয়েছে।
তবে কত দাম হবে এই মোপেডের সেই বিষয়ে এখনও তেমন কিছু জানা যায়নি। আজ থেকে 50 বছর আগে Kinetic Luna লঞ্চ করেছিল। সেই বাইকের বাজারমূল্য ছিল 2,000 টাকা। একটা সময় এই মোপেডের 2,000 ইউনিট বিক্রি হতো প্রতিদিন। মার্কেটে 95% ধরে রেখেছিল এটি। ফলে বুঝতে পারছেন তখন কেমন দাপট ছিল এই মোপেডের। এটি তখনকার সময় ভারতের সেরা মোপেড ছিল। এই সংস্থার যিনি ম্যানেজিং ডিরেক্টর, অজিঙ্কা ফিরোদিয়া বলেন, Kinetic Luna-এর মতো Kinetic Luna EV ও একই রকম জনপ্রিয় হবে। শুধু তাই নয়, তিনি আরও বলেন, Kinetic ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড বর্তমানে দেশের দুই এবং তিন চাকার যে জরুরি পার্টসগুলো আছে সেগুলোর সাবঅ্যাসেম্বলিগুলোর জন্য একটি ওয়ান স্টপ সলিউশন হয়ে উঠেছে। আর এটি গত 1 বছরে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
অজিঙ্কা ফিরোদিয়া আরও বলেন তাঁরা আশাবাদী যে এটি 30কোটি টাকা যোগ করবে ব্যবসায় আগামী 2-3 বছরে। শুধু তাই নয় তিনি জানান সময়ের জন্য এই E-Luna গাড়িটির বিক্রি বাড়বে। ফলে ইলেকট্রিক গাড়ির বিভাগে এটির উপস্থিতি আরও শক্তিশালী হবে।