অস্কারের (Oscar) মঞ্চে ছবি মনোনীত হয়েছে মানেই একটা বিশাল ব্যাপার। যে কোনও দেশের কাছে তাদের ছবি অস্কারে মনোনীত হয়েছে মানে বেশ গর্বের বিষয়। কিন্তু এবার যেন সেখানে কোথাও ছন্দপতন ঘটল। এবার ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র, পাকিস্তানের একটি ছবি, নাম জয়ল্যান্ড অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে। কিন্তু ছবিটিকে খোদ পাকিস্তানেই নিষিদ্ধ করে দেওয়া হল। আগামী 18 নভেম্বর জয়ল্যান্ড পাকিস্তানে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। তবে মুক্তির আগেই ছবিটিকে সেই দেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল। পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক ছবিটি মুক্তির স্রেফ কয়েক আগে পাকিস্তানের 11টি রাজ্যে জয়ল্যান্ড ছবিটিকে নিষিদ্ধ করে দিল।
এর আগে জয়ল্যান্ড ছবিটিকে কান চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয়। এই ছবিটির পরিচালনা করেছেন পরিচালক সইম সাদিক (Saim Sadiq)। কান চলচ্চিত্র উৎসবের হাত ধরেই এই ছবিটির অভিষেক হয় বলা যায়। তবে সইম সাদিকের এটাই প্রথম ছবি নয়, তিনি এর আগে 2019 সালে একটি শর্ট ফিল্ম বানিয়েছিলেন, সেই ছবিটিও ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয়েছিল। তবে পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি বললে এই ছবিটিই প্রথম ছবি সইমের। আর সেটাই কিনা মনোনীত হল অস্কারের জন্য!
কিন্তু পাকিস্তানে কেন নিষিদ্ধ করা হল এই ছবি? হবে না কেন বলুন দেখি? রাষ্ট্রের অন্ধকার দিকের দিকে আঙুল তুললে, মাশুল তো দিতেই হবে! আসলে এই ছবিতে পাকিস্তানের পুরুষতান্ত্রিকতার উপর আঘাত হেনেছে। এই ছবির গল্পের যে প্রধান চরিত্র সে পাকিস্তানের একটি কট্টরপন্থী পরিবারের ছেলে। স্বাভাবিক ভাবেই সেই পরিবারের ইচ্ছে ছিল যে ছেলে বিয়ে করবে, পুত্রসন্তান হবে তাঁর, বংশ এগোবে। কিন্তু ছেলেটি সেসব কিছু না করেই লুকিয়ে একটি ইরোটিক ড্যান্স গ্রুপে নাম লেখায়। আর সেখানেই তাঁর প্রেম হয় এক রূপান্তরকামী মহিলার সঙ্গে। তারপর? সেটা তো ছবি দেখলে বোঝা যাবে।
এই ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে আলি জুনেজা, আলিনা খান, রাস্তি ফারুক, সলমন পীরজাদা, সোহেল সমীর, প্রমুখকে। কিন্তু পাকিস্তান সরকারের তরফে নিষিদ্ধ কেন করা হল এই ছবি? সরকারের তরফে জানানো হয়েছে এই ছবি নাকি সেই দেশের সংস্কারের পরিপন্থী। ফলে দেখানো যাবে না এই ছবি। এবং এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর স্বাভাবিক ভাবেই পাকিস্তান সরকারকে তীব্র কটাক্ষ এবং সমালোচনার মুখে পড়তে হয় সেই দেশের একাংশ দর্শকদের কাছে।