KYC-স্ক্যামের চক্করে হতে পারে আপনার ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স শূন্য! সতর্ক করল Jio

KYC-স্ক্যামের চক্করে হতে পারে আপনার ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স শূন্য! সতর্ক করল Jio
HIGHLIGHTS

টেলিকম জায়ান্ট জিও সোমবার ই-কেওয়াইসি এবং অন্যান্য স্ক্যামের বিরুদ্ধে একটি সতর্কতা জারি করেছে

Jio হাইলাইট করেছে যে প্রতারকরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে Jio প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করতে পারে

সাধারণত ডিটেইলস শেয়ার করার জন্য একটি কল ব্যাক নম্বরও উল্লেখ করা হয়

টেলিকম জায়ান্ট জিও (Jio) সোমবার ই-কেওয়াইসি এবং অন্যান্য স্ক্যামের বিরুদ্ধে একটি সতর্কতা জারি করেছে যা গ্রাহকের তথ্যের সাথে কম্প্রোমাইজ করতে পারে। গ্রাহকদের একটি ইমেলের মাধ্যমে Jio হাইলাইট করেছে যে প্রতারকরা আধারের বিবরণ, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণের মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে জিও প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করতে পারে। জিও গ্রাহকদের শেয়ার করা নম্বরে কল করা বা অচেনা লিঙ্কে ক্লিক করার থেকে সতর্ক করেছে। টেলকো জানায় যে এটি গ্রাহকদের তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করতে বলে না কারণ প্রাসঙ্গিক তথ্য MyJio অ্যাপে পাওয়া যেতে পারে।

Jio তার গ্রাহকদের একটি ইমেল বিজ্ঞপ্তিতে বলে,"Jio-এ আমাদের জন্য, আপনার নিরাপত্তা সবসময়ই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক অতীতে, সাইবার জালিয়াতির সাথে সম্পর্কিত কয়েকটি ঘটনা আমাদের কাছে রিপোর্ট করা হয়েছে, যেখানে, প্রতারকরা নিজেদেরকে জিও প্রতিনিধি হিসাবে চিত্রিত(portray) করে এবং আপনার আধার, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ওটিপি ইত্যাদি সম্পর্কিত তথ্য পাওয়ার জন্য জোর দেয় প্রধানত e-KYC (Know Your Customer) আটকে থাকার অজুহাতে।"  

Jio উল্লেখ করেছে যে গ্রাহকদের সন্দেহজনক লিঙ্ক, অ্যাটাচমেন্টে ক্লিক করা উচিত নয় কারণ এর ফলে প্রতারকরা ব্যবহারকারীর ফোনের তথ্য অ্যাক্সেস করতে পারে। টেলিকম ব্যবহারকারীরা প্রায়ই কেওয়াইসি যাচাইকরণের জন্য জিজ্ঞাসা করে ম্যাসেজ পান যাতে বলে যে ব্যবহারকারীরা 24 ঘন্টার মধ্যে তাদের নম্বরে অ্যাক্সেস হারাবেন। এই ম্যাসেজগুলি একটি নম্বর পাঠিয়ে দাবি করে যে এটি নাকি কাস্টোমার কেয়ারের অন্তর্গত এবং ব্যবহারকারীদের তাদের কল করা উচিত। ব্যবহারকারীরা সহজেই স্ক্যাম ম্যাসেজগুলি স্পট করতে পারবে কারণ তাদের বানান ভুল এবং ব্যাকরণগত ত্রুটি থাকবে, এমনকি কোম্পানির নামও সঠিকভাবে লেখা হবে না।

“সাধারণত ডিটেইলস শেয়ার করার জন্য একটি কল ব্যাক নম্বরও উল্লেখ করা হয়। যখন গ্রাহক সেই নম্বরে কল করেন, তখন তাকে একটি তৃতীয় পক্ষের (third-party)  অ্যাপ ইনস্টল করতে বলা হয় যা প্রতারকদের গ্রাহকের ফোন এবং ডিভাইসের সাথে সম্পর্কিত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে দূরবর্তী অ্যাক্সেস নিতে দেয়,” Jio ব্যাখ্যা করেছে।

অক্টোবর মাসের শুরুতে, এয়ারটেল লক্ষ করেছিল যে একজন সাইবার-প্রতারক নিজেকে একজন এয়ারটেল এক্সিকিউটিভ হিসাবে জাহির করেছিল এবং KYC ফর্ম আপডেট করার অজুহাতে একজন এয়ারটেল গ্রাহককে ফোন করেছিল। তাকে প্রতারণা করে তার ব্যাঙ্কের ডিটেইলস জানার পর, প্রতারক তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচুর অর্থ লুটে নেয়। যদিও এয়ারটেল এবং অন্যান্য টেলিকম সংস্থাগুলি আগে এই প্রতারণার বিষয়ে ব্যবহারকারীদের সতর্ক করেছে, তবুও কিছু গ্রাহক এই কেলেঙ্কারির শিকার হয়৷

 

Digit.in
Logo
Digit.in
Logo