আকাশ গঙ্গার সঙ্গে LMC ক্র্যাশ হওয়ার সম্ভবনা!! তবে!!

আকাশ গঙ্গার সঙ্গে LMC ক্র্যাশ হওয়ার সম্ভবনা!! তবে!!
HIGHLIGHTS

লার্জ ম্যাগেলানিক ক্লাউড আমাদের গ্যালাক্সির সঙ্গে ক্র্যাশ করার সম্ভবনায় আছে

Cautun এর সঙ্গে আরও বলেন যে “এই আবিষ্কার আমায় উত্তেজিত করেছে”

এটি অন্য নক্ষত্রকে তাদের স্বাভাবিক কক্ষপথ থেকে দূরে করতে পারে

আমাদের এই মহাবিশ্বের যত ঘটনার ঘনঘটা হয়ে চলেছে আমাদের জানার থেকে অজানার সংখ্যাই হয়ত বেশি। কিন্তু মানুষের হাজারও উৎসাহ আর জানার ইচ্ছে একাধিক বিষয়ে কিন্তু এই সব কিছুর মধ্যে থেকে মহাবিশ্ব বা মহাকাশ চিরকালই মানব সভ্যতার কাছে এক রহস্যের আকর হয়ে অবস্থান করছে। আর তাই সারা পৃথিবীর একাধিক দেশ থেকে একাধিক উপ্রগহ বারংবার পাঠানো হয় মহাকাশের উদ্দেশ্যে।

শুধু যে মহাকাশ আর গ্রহ উপগ্রহ নিরীক্ষণের জন্য মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ বা কিছু পাঠানো হয় তাই নয়। এর সঙ্গে আছে একাধিক এমন জিনিস যা হয়ত আমরা জানি না আর সেই সবের জন্য চলে নিরন্তর গবেষণা।

আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি নিয়ে একাধিক গবেষনা হয়ে চলেছে আর এর মধ্যে এর ওরিয়ান স্পার বিষয়ে একটি জায়গায় বলা হয়েছে। এই লোকেশানটি সেফ নয়। এখানে গ্যালাক্সি সব সময়ে চলমান আর Durham বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির গবেষনা পত্রের একটি মান্থলি নোটিফিকেশানে বআল হয় যে আমাদের নিকটতম লার্জ ম্যাগেলানিক ক্লাউড আমাদের গ্যালাক্সির সঙ্গে ক্র্যাশ করার সম্ভবনায় আছে।

একজন গবেষক জানিয়েছেন যে আজ থেকে চার বিলিয়ান বছর পর্যন্ত যে কোন জায়গায় আমাদের মিল্কি ওয়ে এভাবে ভেঙ্গে পড়তে পারে। তিনি এও জানান যে এই ধরনের ক্র্যাশ হলে তা পৃথিবীর জন্য বিপদ জনক হতে পারে আর এর থেকে এও বোঝা গেছে যে আমরা আমাদের নিজদের ছায়াপথের বিষয়ে এখনও কতটা কম জানি।

Cautun এর সঙ্গে আরও বলেন যে “এই আবিষ্কার আমায় উত্তেজিত করেছে” আর পেপারে বলা হয় যে, “ আমরা প্রথমে অবাক হয়েছিলাম কারন আমরা এমনটা শা করিনি , আমাদের কাছে এটি প্রথমে সন্দেহজনক ছিল। নতুন আবিষ্কার সেই সন্দেহ দূর করে।“

এবার প্রশ্ন ওঠে যে আমরা কেন এটি দেখতে পাইনি?

একটা সময়ে মনে করা হত যে LMC পৃথিবীর সঙ্গে আমাদের মিল্কিওয়ের মাধ্যমে কানেক্টেড। তবে আবারও Cautun জানান যে “ যদি সত্যি তাই হত তবে LMC সত্যি কিছু না করেই কয়েক লক্ষ মিলিয়ান বছর ধরে মিল্কি ওয়েকে প্রদক্ষিণ করবে।“ তবে LMC বিষয়ে নতুন তথ্য থেকে জানা গেছে যে এটি খুব তাড়াতাড়ি তবে আর বিজ্ঞানীরা বোঝেন যে LMC ঘিরে আছে অন্ধকার পদার্থের একটি দ্বিগুণ বড় ছায়া পথে প্রবেশ করবে।

ক্র্যাশ হলে কি হবে?

এই ক্র্যাশের সময়ে মানুষ যদি সেই আকাশপথে থাকে তবে আর কিছুই থাকবে না।

Cautun এও বলেন যে “এই ক্র্যাশ ডিরেক্টলি সোলার সিস্টেমে এফেক্ট করবে না, তবে এটি দ্বিতীয় কাজ হিসাবে জীবন নাশ করতে পারে”

মিল্কিওয়ের দিকে LMC এলে দুটি জিনিস হতে পারে তা এই যে এটি অন্য নক্ষত্রকে তাদের স্বাভাবিক কক্ষপথ থেকে দূরে করতে পারে, আর এর একটি প্রভবা আমাদের  সূর্যের ওপর পড়তে পারে। আর যদি আর একটি নক্ষত্র সূর্যের কাছ দিয়ে যায় তবে সেই গ্রহের কক্ষপথ তবে পরিবর্তন হবে।

এমনিতে আমাদের ওপরে এর কোন ডিরেক্ট প্রভাব পড়ার কথা না তবে 1-3 শতাংশ এরকম হবার সম্ভবনা আছে। আর এই সময়ে যদি আমাদের ডিস্টেন্স ম্যানেজমেন্ট কাজ করে তবে আমরা বেঁচে যাব। আর না হলে কি হবে তা অনুমান করা যায়।

তবে একটা কথা বলে রাখার যে গ্যালাক্সি গুলি প্রায়ই একে অপরের সঙ্গে ক্র্যাশ করতে থাকে।

ভায়াঃ

Aparajita Maitra
Digit.in
Logo
Digit.in
Logo