বিজ্ঞনীরাই শুধু নন সাধারন মানুষদের মনেও সেই কবে থেকে জানার ইচ্ছে যে অন্য কোথাউ অন্য কোন গ্রহে আছে কি অন্য কোন প্রানী? মানে যাকে আমরা এলিয়ান বা ভিনগ্রহীপ্রানী বলিতা! এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টায় মানুষ বহুদিন ধরেই। আর এবার সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে মহাসমুদ্রের নীচে কিছু অবাক কারার মতন তথ্য পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি একটি খবরে তেমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
অক্টোপাস নাকি এই পৃথিবীর প্রানীই নয়! কোনও কল্পবিজ্ঞানের কাহিনি নয়, সত্যিই এমন চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন গবেষকরা। কেবল অক্টোপাসই নয়, স্কুইড, কাটল ফিশ জাতীয় সেফালপড প্রজাতির প্রাণীরাও নাকি আদৌ এই পৃথিবীর কেউ নয়— এমনই দাবি গবেষকদের।
কেন কিসের ভিত্তিতে এই ধরনের কথা বলছেন বিজ্ঞানীরা? আসুন দেখা যাক সেই কারন।
মার্কিন মেরিন বায়োলজিক্যাল ল্যাবরেটরির গবেষক জোশুয়া রোসেন্থাল বলেছেন যে, গবেষণা থেকে উঠে আসছে অক্টোপাসের আরএনএ সংক্রান্ত আশ্চর্য তথ্য। গত বছরের এপ্রিলে গবেষকরা লক্ষ করেছিলেন, নিজেদের শরীরের আরএনএ-তে ইচ্ছেমতো বদল আনতে পারে এরা! কীভাবে এটা তারা পারে সেটা ধরতে পারছেন না গবেষকরা। অভিব্যক্তি বা বিবর্তনের সূত্র অনুযায়ী তাদের এই আচরণকে ব্যাখ্যা করা যাচ্ছে না। কেননা, এই গ্রহের আর কোনও প্রজাতির প্রাণীরই এই ক্ষমতা নেই।
তাহলে কী অক্টোপাসই আমাদের সঙ্গে এত কাল বসবাস করা অচেনা সেই এলিয়ান! যার অনুসন্ধান আমরা এত দিন করে চলেছি গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে আর তা আমাদের সামনেই থেকে গছে এত দিন!
অবশ্য অক্টোপাসদের নিয়ে এই ধরনের খবর এই প্রথম নয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার এই অক্টোপাস নিয়ে এই ধরনের বিভিন্ন খবর বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেছে।
তবে সাম্প্রতিক এই গবেষনা থেকে উঠে এসেছে আরও কিছু চমকপ্র তথ্য। বিজ্ঞানীদের অনুমান এই যে আজ থেকে প্রায় আড়াইশো কোটি বছর আগে পৃথিবীর জন্মের সময়ে মহাকাশ থেকে অক্টোপাসের ডিম এসে পড়েছিল পৃথিবীতে। পরে সমুদ্র্রের তাপমাত্রায় সেই ডিম ফুটে বেরিয়ে আসে অক্টোপাস। আসলে তারা অন্য কোনও গ্রহের প্রাণী। আর এর কারন এই যে অক্টোপাসের এই ক্ষমতা কিন্তু আসলে অত্যাধুনিক জৈব ক্ষমতা যা এই বিশ্বের আর কোন প্রানীর নেই। তা হলে অক্টোপাসই কী আমাদের গ্রহের মধ্যে বেরে ওঠা এলিয়ান!
আর যদি তাই হয় তবে এরা আসলে কোন গ্রহের প্রানী? আর এদের খোজে এদের গ্রহের প্রানীরা কী এসেছে কখনো আমাদের পৃথিবীতে? নাকি ভবিষ্যতে আসবে তারা?
আপাতত এই সবই প্রশ্ন উত্তর নেই আমাদের কাছে। এখন শুধু অপেক্ষা বিজ্ঞানীদের গবেষনার। আর যদি এটি সত্যি হয় তবে চমকের অন্ত নেই। আর এটা সত্যি হলে তৈরি হবে আরও প্রশ্ন। আপাতত অসংখ্য প্রশ্নের সঠিক উত্তর না থাকলেও উত্তর খোজার চেষ্টায় তামাম বিজ্ঞানী মহল।