ই-কারই কি ভবিষ্যতের গাড়ি!! মিটবে জ্বালানি আর দূষণের সমস্যা!!

ই-কারই কি ভবিষ্যতের গাড়ি!! মিটবে জ্বালানি আর দূষণের সমস্যা!!
HIGHLIGHTS

অ্যামাজন ইন্ডিয়া ভারতে ই কার আনতে চলেছে

দূষণ আর জ্বালানি সমস্যার সমাধান হতে পারে

এক সময়ে পৃথিবীতে গ্যাসোলিন গাড়ি চলত

বিশ্বের চারিদিকে সব ক্ষেত্রে প্রযুক্তি আর উন্নতির মুকুটে যখন একের পরে এক পালক যোগ হচ্ছে। ঠিক সেই সময়ে একাধিক জিনিস কপালের ভাঁজ বাড়িয়ে দিচ্ছে। আর এসবের মধ্যে আছে গাড়ি বা আরও স্পস্ট করে বলতে গেলে গাড়ির জ্বালানি। সারা বিশ্বের জ্বালানি সমস্যা না জ্বালানির ফলে তৈরি হওয়া দূষণই এই আলোচনার কেন্দ্রে।

এই সময়ে সারা বিশ্বে আর আমাদের দেশে যে সব যানবাহন চলে তা পেট্রোল, ডিজেল আর CNG তে চলে। আর এই তিনের মধ্যেই ঝামেলা, ঝামেলা এই নিয়ে যে পেট্রোল ডিজেল আর CNG র মধ্যে কিসে দূষণ বেশি আর কিসে ক? ডিজেল আর LPG র বদলে উচ্চ চাপের মিথেন গ্যাসও জ্বালানি হিসাবে ব্যাবহার করা যায়। আর মিথেন যেহেতু একটি প্রাকৃতিক গ্যসা তাই এটি থেকে দূষণের স্মভবনাও কম বলে মনে করা হয়। কিন্তু বাস্তব কি?

ভারতে আজ থেকে দশ পনেরো বছর আগে CNG আশা শুরু করে। আর রাজধানি দিল্লিতে একাধিক CNG গাড়ি আছে। কিন্তু রাজধানি দিল্লির দূষণের মাত্রা যে ঠিক কতটা ভয়াবহ তাও আমরা জানি। যদিও দিল্লি দূষণের আরও একাধিক কারন থাকলেও CNG গাড়ি চালিয়ে যে সে দূষণ খুব একটা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে বা কমেছে তা বলা জায়না। আর তাই গাড়ির জ্বালানি কি হবে সেই নিয়ে বিতর্কও সমানে চলেছে।

2011 সালের একটি রিপোর্ট অনুসারে সারা বিশ্বে 14.8 বিলিয়ানের মতন ন্যাচারাল গ্যাস যান আছে। আর তা যে এই কয়েক বছরে পরিমাণে আরও বেড়েছে সেই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।

আর এসবের মধ্যে একটি গবেষনা থেকে জানা গেছে যে দূষণের মাত্রা শুন্যের কাছে শুধু সালফার ডাই অক্সাইডের ক্ষেত্রেই অন্যান্য গ্যাস ক্ষতিকারক গ্যাসের সংজ্ঞা কমের দিকে হলেও তা শুন্য নয়। CNG থেকে তৈরি হওয়া ন্যানো কার্বন ক্রিঙ্ক পালমোনারি ডিজঅর্ডার আর ক্যান্সারের অন্যতম বড় কারন হিসাবে উঠে এসেছে।

আবারও সেই প্রশ্ন তা হলে উপায়!! কারন এই সময়ে শুধু যে নিজস্ব গাড়ি না বরং সমস্ত ধরনের(ট্রেন, ট্রাম ছাড়া) বাকি সব কিছুই কিছু জ্বালানি বা বলা ভাল এই ধরনের জ্বালানিতে চলে। আর এখানেই বারবার প্রশ্ন উঠছে যে কি করে CNG বা পেট্রোল ডিজেলের দূষণের হাত থেকে বাঁচা সম্ভব।

আর   এই সবের উত্তর হিসাবে এসেছে ব্যাটারি চালিত গাড়ি। দূষণ আর পেট্রোলিয়াম জাতীয় জ্বালানির মুলধন শেষ হওয়ার সমস্যার হাত থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হয়ে দেখা যাচ্ছে ব্যাটারি চালিত বা ইলেক্ট্রনিক গাড়ি। এই ভাবনা উনিশ শতকের প্রথমে দেখা যায়। সেই সময়ে গ্যাসোলিন আর গাড়ি আর বাষ্প চালিত গাড়ি ছি। আর এই থেকেই কিন্তু জ্বালানি সমস্যা কমানো আর দূষণের হাত থেকে বাঁচার উপায় দেখা যায়।

এর মধ্যে আমরা আপনাদের আমাদের একটি আর্টিকেলে এও জানিয়েছিলাম যে অ্যামাজন ইন্ডিয়া ভারতে ইলেক্ট্রনিক গাড়ি নিয়ে আসবে। এও সেই জ্বালানি আর দূষণের হাত থেকে বাঁচার এক উপায় হিসাবেই সামনে আসবে বলেই মনে হয়।

গ্যাসোলিনের গাড়ি না চলার কারন ছিল গাড়ি চালনোর সমস্যা। কিন্তু প্রযুক্তি এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধিরে ধিরে পেট্রোল চালিত গাড়ি আর উন্নত প্রযুক্তি গ্যাসোলিন গাড়ি 1920 সালের মধ্যে শেষ করে দেয়। আবার প্রায় একশ বছর পরে আবার সেই পেট্রোল বিহীন গাড়ি র চাহিদা আর দরকার দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে একাধিক বড় কোম্পানি ই-কার নিয়ে এসেছে। ই রিক্সা নামের যান আমাদের দেশে স্বল্প দূরত্বে এর মধ্যে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আর ভারতে অ্যামাজনের মতন ই কম পোর্টাল আর দেশের জ্বালানি সমস্যা আর দূষণের জন্য “ন্যাশানাল ইলেক্ট্রিক মোবিলিটি মিশান প্ল্যান ২০২০” 2013 সালে ঘোষিত হয় আর এর উদ্দেশ্য এই যে 2030 সালের মধ্যে দেশে শুধুমাত্র ব্যাটারি চালিত গাড়ি আনা।

দূষণ আর জ্বালানি সমস্যার হাত থেকে বাঁচতে ব্যাটারি গাড়ি বা ই কার্স কত পরিমাণে আসবে বা তা কতটা জনপ্রিয় হবে, বা এদের দামই বা কেমন হবে ? যা ব্যাক্তিগত আর কমার্শিয়ালি ব্যাবহার করা যাবে কিনা সেই সব প্রশ্নের উত্তর ভবিষ্যতের গর্ভে লুকিয়ে আছে। আর এসব উত্তর পেতে হলে আমাদের আরও কিছু সময়ের অপেক্ষা করতে হবে। আশা করা যায় যে দ্রুত বদলাতে থাকা প্রযুক্তির কল্যানে আমরা হয়ত খুব তাড়াতাড়ি এর অনেক অপশান পাওয়া শুরু করব। তবে আপাতত অপেক্ষা ছাড়া গতি নেই। 

নোটঃ ওপরের ছবিটি একটি কাল্পনিক ছবি

 

Aparajita Maitra
Digit.in
Logo
Digit.in
Logo